'সুশাসন' শব্দটি সর্বপ্রথম কোন সংস্থা সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে?
A
জাতিসংঘ
B
ইউএনডিপি
C
বিশ্বব্যাংক
D
আইএমএফ
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন (Good Governance) এবং বিশ্বব্যাংক
-
সুশাসন শব্দটি প্রথমবারের মতো ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের একটি সমীক্ষায় ব্যবহার করা হয়।
-
বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা অনুযায়ী, সুশাসন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে একটি দেশ তার অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে দক্ষভাবে ব্যবস্থাপনা ও ক্ষমতার প্রয়োগ করে।
-
বিশ্বব্যাংক একটি উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথমবার উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে সুশাসনকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে তুলে ধরে।
-
১৯৯২ সালে প্রকাশিত ‘শাসন প্রক্রিয়া ও উন্নয়ন’ রিপোর্টে বিশ্বব্যাংক আরও স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে যে, অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে উন্নয়ন অবহেলা বা ব্যর্থতার পেছনে মূল কারণ হলো সুশাসনের অভাব।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন : একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণী : প্রথমপত্র, মো. মোজাম্মেল হক

0
Updated: 1 month ago
সরকারি সিদ্ধান্ত প্রণয়নে কোন মূল্যবোধটি গুরুত্বপূর্ণ নয়?
Created: 1 month ago
A
বিশ্বস্ততা
B
সৃজনশীলতা
C
নিরপেক্ষতা
D
জবাবদিহিতা
সরকারি সিদ্ধান্ত প্রণয়নে সৃজনশীলতার গুরুত্ব ও সুশাসন
সুশাসন হলো এমন একটি শাসনব্যবস্থা, যেখানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সঠিক ও ন্যায্যভাবে প্রয়োগ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় জনগণ সরকারের কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, নীতি ও সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবগত থাকে এবং নারী-পুরুষ সমানভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারে।
সুশাসন কেবল স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাই নয়, বরং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে, সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করে।
বাংলাদেশের বাস্তবতায় সুশাসন
আমাদের দেশে এখনও পূর্ণ সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়নি।
-
পুঁজিবাদের সঠিক বিকাশ হয়নি।
-
দাঙ্গা, হরতাল, অবরোধ রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে।
-
আন্তর্জাতিক সূচকে দুর্নীতি এখনো বেশ উচ্চমাত্রায় বিদ্যমান।
-
যদিও সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে, তবুও সার্বিকভাবে সুশাসনের মান এখনো সন্তোষজনক নয়।
সুশাসনের মূল বৈশিষ্ট্য
সাধারণভাবে সুশাসন একটি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। এতে জনগণ আত্মনির্ভরশীল হয় এবং সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠিত হলে সামাজিক ন্যায়বিচার ও বহুত্ববাদ নিশ্চিত হয়। তাই সুশাসনের ধারণা বহুমাত্রিক।
এটি মূলত চার ভাগে ভাগ করা যায়:
-
রাজনৈতিক সুশাসন → গণতন্ত্র ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ
-
অর্থনৈতিক সুশাসন → মুক্তবাজার অর্থনীতি ও বেসরকারিকরণ
-
সামাজিক-সাংস্কৃতিক সুশাসন → সামাজিক ন্যায়বিচার ও বহুত্ববাদ
-
প্রযুক্তিগত সুশাসন → বিশ্বব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার
সুশাসনের প্রধান উপাদান
১. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা
২. জনগণের অংশগ্রহণ
৩. আইনের শাসন
৪. নিরপেক্ষতা ও দায়িত্বশীলতা
৫. উন্নত জনপ্রশাসন ও বিকেন্দ্রীকরণ
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন (প্রথম পত্র), একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাণ?
Created: 1 week ago
A
নৈতিক মূল্যবোধ
B
বৈধতা
C
গনতন্ত্র
D
দায়িত্বশীলতা
গণতন্ত্র হলো সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাণ, এবং সুশাসনের জন্য গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিকল্প নেই।
সুশাসনের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
গণতন্ত্র
-
অংশগ্রহণ প্রক্রিয়া
-
নৈতিক মূল্যবোধ
-
আইনের শাসন
-
বৈধতা
-
স্বচ্ছতা
-
দায়িত্বশীলতা

0
Updated: 1 week ago
কোনটিকে সমাজের ভালো-মন্দের মানদণ্ড বলা হয়?
Created: 4 weeks ago
A
সাম্য
B
স্বাধীনতা
C
আইন
D
মূল্যবোধ
মূল্যবোধ (Moral Values):
মূল্যবোধকে সাধারণভাবে সমাজের ভালো-মন্দের মানদণ্ড বলা হয়।
মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য ও সংজ্ঞা:
-
মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড।
-
এটি হলো কতগুলো মনোভাবের সমন্বয়ে গঠিত অপেক্ষাকৃত স্থায়ী বিশ্বাস।
-
সমাজে প্রচলিত রীতিনীতি, প্রথা, আদর্শ ইত্যাদির বিকাশ ঘটানো শিক্ষাকেই মূল্যবোধ শিক্ষা বলা যায়।
-
মূল্যবোধ হলো রীতিনীতি ও আদর্শের মাপকাঠি, যা সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
-
মানুষের আচরণের সামাজিক মাপকাঠি হিসেবে কাজ করে।
-
এটি দেশের সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উৎকর্ষতার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক।
সমাজবিজ্ঞানী সংজ্ঞা:
-
আর. এম. উইলিয়াম (R. M. William) মতে,
“মূল্যবোধ মানুষের ইচ্ছার একটি প্রধান মানদণ্ড, যার আদর্শে মানুষের আচার-ব্যবহার ও রীতি-নীতি পরিচালিত হয় এবং যার মানদণ্ডে সমাজস্থ মানুষের কার্যাবলীর ভালো-মন্দ বিচার করা হয়।”

0
Updated: 4 weeks ago