"আইনের চোখে সব নাগরিক সমান।"- বাংলাদেশের সংবিধানের কত নম্বর ধারায় এ নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে?
A
ধারা ০৭
B
ধারা ২৭
C
ধারা ৩৭
D
ধারা ৪৭
উত্তরের বিবরণ
সংবিধান সম্পর্কিত তথ্য
মৌলিক অধিকার ও সমতার নীতি:
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ে মৌলিক অধিকারগুলো বর্ণিত হয়েছে। এর মধ্যে ২৭ নং অনুচ্ছেদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী:
-
সব নাগরিক আইনসম্মতভাবে সমান।
-
আইনের রক্ষাকবচ প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।
অর্থাৎ, কোনও নাগরিককে আইন অনুসারে অন্যের তুলনায় বৈষম্যের শিকার হতে হবে না এবং সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে।
(উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান, অনুচ্ছেদ ২৭)
বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদসমূহ
অনুচ্ছেদ | বিষয়বস্তু (সহজ ভাষায়) |
---|---|
১৩ | ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রের মালিকানার নীতি নির্ধারণ |
১৯ | সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা |
২২ | বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করা |
২৮ | ধর্ম বা অন্যান্য কারণে বৈষম্য নিষিদ্ধ |
২৯ | সরকারি নিয়োগ ও সুযোগে সমতার নীতি |
৩১ | আইনের আশ্রয় ও সুরক্ষা লাভের অধিকার |
৩৩ | গ্রেপ্তার ও আটক সংক্রান্ত নাগরিক সুরক্ষা |
উৎস: বাংলাদেশ সংবিধান

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি সংস্কৃতির উপাদান নয়?
Created: 1 month ago
A
আইন
B
প্রতীক
C
ভাষা
D
মূল্যবোধ
সংস্কৃতি
-
Culture শব্দটির ইংরেজি অর্থ এসেছে to cultivate অর্থাৎ "চাষ করা" বা "কৃষিকাজ করা" থেকে।
-
মানুষ তার জীবনকে আরামদায়ক ও উন্নত করার জন্য এবং চারপাশের পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে যে সমস্ত কাজ বা প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, তাই হলো সংস্কৃতি।
সংস্কৃতির ধরন
সংস্কৃতি সাধারণভাবে দুই ভাগে বিভক্ত—
-
বস্তুগত সংস্কৃতি – যেসব সংস্কৃতি চোখে দেখা যায় ও স্পর্শ করা যায়। যেমন—বস্তু, শিল্পকর্ম, পোশাক ইত্যাদি।
-
অবস্তুগত সংস্কৃতি – যেসব সংস্কৃতি অনুভব করা যায় কিন্তু দেখা বা স্পর্শ করা যায় না। যেমন—ভাষা, বিশ্বাস, আচরণবিধি ইত্যাদি।
সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য
-
এক সমাজে যা সংস্কৃতি হিসেবে গ্রহণযোগ্য, অন্য সমাজে তা অপসংস্কৃতি বলে বিবেচিত হতে পারে।
-
রাষ্ট্রভেদে সংস্কৃতি ভিন্ন হয়।
-
সংস্কৃতিতে সর্বজনীন (Universal) কিছু নেই। তবে কয়েকটি সাধারণ উপাদান সব দেশে পাওয়া যায়।
সংস্কৃতির সাধারণ উপাদান
-
ভাষা
-
প্রতীক
-
আচরণবিধি
-
হস্তশিল্প
-
নৈতিকতা
-
মূল্যবোধ
-
পরিবর্তিত আচরণ ও বিশ্বাস
-
আচার-অনুষ্ঠান
তবে মনে রাখতে হবে—আইন সংস্কৃতির উপাদান নয়।
উৎস: সমাজবিজ্ঞান দ্বিতীয়পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
সুশাসনের স্তম্ভ হিসেবে ‘দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছতা, আইনি কাঠামো ও অংশগ্রহণ’—এই নীতি কোন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান প্রবর্তন করেছিল?
Created: 3 weeks ago
A
জাতিসংঘ
B
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক
C
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল
D
বিশ্বব্যাংক
বিশ্বব্যাংক ও সুশাসন
বিশ্বব্যাংকের মতে, “Governance is the manner in which power is exercised in the management of a country’s economic and social resources for development.”
-
সুশাসন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব ও প্রাতিষ্ঠানিক সম্পদ সমাজের সমস্যা ও চাহিদা পূরণে ব্যবহার করা হয়।
-
বিশ্বব্যাংক প্রথমবার সুশাসনের ধারণা প্রদান করে ১৯৮৯ সালে।
অন্যান্য তথ্য:
-
১৯৯২ সালে বিশ্বব্যাংক সর্বপ্রথম সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করে।
-
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের চারটি স্তম্ভ ঘোষণা করে।
-
চারটি স্তম্ভ হলো: দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছতা, আইনি কাঠামো, অংশগ্রহণ।

0
Updated: 3 weeks ago
জনগণ, রাষ্ট্র ও প্রশাসনের সাথে ঘনিষ্ঠ প্রত্যয় হলো-
Created: 1 month ago
A
সুশাসন
B
আইনের শাসন
C
রাজনীতি
D
মানবাধিকার
সুশাসন
- জনগণ, রাষ্ট্র ও প্রশাসনের সাথে ঘনিষ্ঠ প্রত্যয় হলো সুশাসন।
- সুশাসন হলো যৌক্তিক এবং দক্ষভাবে শাসন পরিচালনা।
- সুশাসন অবশ্যই আইনের শাসনের ওপর প্রতিষ্ঠিত।
- এটি রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক জবাবদিহিতার নিশ্চিত করে।
- জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা, আইনের শাসন, মানবাধিকার, প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ, সরকারের দক্ষতা ও সাড়া প্রদানের ক্ষমতার উপর নির্ভর করে সুশাসন প্রক্রিয়া।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago