সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (Millennium Development Goals) অর্জনে সুশাসনের কোন দিকটির উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে?
A
সুশাসনের সামাজিক দিক
B
সুশাসনের অর্থনৈতিক দিক
C
সুশাসনের মূল্যবোধের দিক
D
সুশাসনের গণতান্ত্রিক দিক
উত্তরের বিবরণ
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (MDG) ও সুশাসনের সামাজিক দিক
-
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (MDG) এর পূর্ণরূপ Millennium Development Goals। এগুলো মূলত বিশ্বে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ ও মানুষের জীবনমান উন্নত করার জন্য জাতিসংঘের উদ্যোগে ২০০০ সালে নির্ধারণ করা হয়।
-
৬–৮ সেপ্টেম্বর ২০০০ সালে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন সম্মেলনে (UN Millennium Summit) ৮টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় এবং তা অর্জনের জন্য ১৫ বছরের সময়সীমা দেওয়া হয়।
-
এই লক্ষ্যগুলো হলো:
-
চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নির্মূল
-
সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা
-
লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন
-
শিশু মৃত্যুহার হ্রাস
-
মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নতি
-
এইচআইভি/এইডস, ম্যালেরিয়া ও অন্যান্য মারাত্মক রোগ প্রতিরোধ
-
পরিবেশগত স্থায়িত্ব নিশ্চিতকরণ
-
উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব গঠন
-
-
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সুশাসনের গুরুত্ব
-
সুশাসন ও MDG অর্জনের মধ্যে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক আছে।
-
এখানে সামাজিক দিক বলতে বোঝানো হয় জনমত গঠন, সচেতনতা বৃদ্ধি, নীতি প্রণয়ন, এবং সামাজিক জবাবদিহি।
-
এছাড়াও আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সঠিকভাবে বজায় রাখাও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
-
মূলত, সুশাসনের সামাজিক ও আর্থ-সামাজিক দিকের সমন্বয় MDG অর্জনের জন্য প্রয়োজন।
-
উপসংহার:
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য সফল করতে সুশাসনের সামাজিক দিককে প্রাধান্য দিতে হবে। সরাসরি বলা না হলেও, এটি MDG অর্জনের মূল ভিত্তি।
উৎস: জাতিসংঘ (United Nations)

0
Updated: 1 month ago
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য কোনটি?
Created: 1 month ago
A
সামাজিক দায়িত্ব পালন
B
জাতীয় সম্পদ রক্ষা
C
আইন মান্য করা
D
উপরের সবগুলো
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য
মূল ধারণা:
-
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অধিকার ভোগের সাথে নাগরিকের কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্যও সংযুক্ত থাকে।
-
নাগরিক যে কোনো অধিকার ভোগ করতে চাইলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তব্য পালন করতে হয়।
নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য:
-
সামাজিক দায়িত্ব পালন
-
জাতীয় সম্পদ রক্ষা
-
আইন মান্য করা
-
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা
-
নিয়মিত কর প্রদান
-
রাষ্ট্রের সেবা করা
-
আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করা
-
সচেতন ও সজাগ থাকা
-
সংবিধান মেনে চলা
-
সুশাসনের প্রতি আগ্রহ রাখা
-
রাষ্ট্রের প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্য প্রদর্শন
-
সন্তানদের শিক্ষাদান করা
-
রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ
-
উদার ও প্রগতিশীল দলের প্রতি সমর্থন

0
Updated: 1 month ago
কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের অপরিহার্য শর্ত কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
জেন্ডার সমতা
B
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি
C
সরকার পরিবর্তন
D
সুশাসন
কল্যাণমূলক রাষ্ট্র
-
কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হলো সেই রাষ্ট্র, যার সমস্ত সম্পদ ও শক্তি জনকল্যাণের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়।
-
এ রাষ্ট্র জনগণের ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করে।
-
তবে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়; কারণ এটি ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য অক্ষুণ্ণ রেখে সমাজতান্ত্রিক কার্যাবলী সম্পাদন করে।
-
মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য এ রাষ্ট্র—
-
অধিক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে,
-
বেকারভাতা প্রদান করে,
-
বিনা খরচে শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করে,
-
বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
-
-
কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের জন্য সুশাসন প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য শর্ত।

0
Updated: 3 weeks ago
লর্ড ব্রাইস-এর মতে, একজন সুনাগরিকের মধ্যে কোন গুণ থাকা আবশ্যক?
Created: 1 week ago
A
বুদ্ধি
B
বিবেক
C
আত্মসংযম
D
উল্লিখিত সব
সুনাগরিক
সংজ্ঞা:
-
“সু” অর্থ হলো ভালো বা আদর্শ। সুতরাং সুনাগরিক বলতে বোঝায় এমন একজন নাগরিক যিনি আদর্শ নাগরিকের বৈশিষ্ট্য ধারণ করেন।
-
যেকোনো রাষ্ট্রের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য সুনাগরিক অপরিহার্য। তবে সুনাগরিক গড়ে তোলা রাষ্ট্রের দায়িত্বও।
-
শুধুমাত্র নাগরিক হওয়া যথেষ্ট নয়; রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সুনাগরিক হিসেবে পরিচিতি পান।
গুণাবলী (লর্ড ব্রাইস অনুসারে):
সুনাগরিক হওয়ার জন্য তিনটি মূল গুণ থাকা জরুরি: বুদ্ধি, আত্মসংযম, এবং বিবেক।
১. বুদ্ধি
-
ভালো চিন্তা-ভাবনা এবং যুক্তির দক্ষতা থাকা।
-
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিবেচনা করা।
২. আত্মসংযম
-
ব্যক্তিগত আবেগ বা তাড়না নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা।
-
সমাজে স্থিতিশীলতা, শান্তি ও সমন্বয় বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৩. বিবেক
-
নৈতিক মূল্যবোধ ও সঠিক-ভুলের বিচার করার ক্ষমতা।
-
সমাজের কল্যাণে কাজ করতে এবং অন্যদের ক্ষতি না করতে সাহায্য করে।

0
Updated: 1 week ago