সুশাসনের পূর্বশর্ত হচ্ছে-
A
মত প্রকাশের স্বাধীনতা
B
প্রশাসনের নিরপেক্ষতা
C
নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা
D
নিরপেক্ষ আইন ব্যবস্থা
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন এবং এর পূর্বশর্ত
সুশাসন বলতে বোঝায় একটি দেশের প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থার এমন অবস্থা যেখানে সরকার এবং প্রতিষ্ঠানগুলো ন্যায়নিষ্ঠভাবে, স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধভাবে পরিচালিত হয়। সুশাসনের মূল লক্ষ্য হলো জনকল্যাণ নিশ্চিত করা এবং দুর্নীতি ও কুশাসন কমানো।
-
ইংরেজিতে: Good Governance
-
ধারণার উৎস: বিশ্বব্যাংক
-
১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংক প্রথম সুশাসনের ধারণা প্রদান করে।
-
১৯৯২ সালে বিশ্বব্যাংক প্রথম সুশাসনের সংজ্ঞা দেয়।
-
সুশাসনের গুরুত্ব:
-
দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক।
-
কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য।
-
সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সুশাসনের মূল নীতি:
-
জবাবদিহিতা (Accountability)
সুশাসনের পূর্বশর্তসমূহ:
-
আইনের শাসন – দেশের সকল নাগরিক এবং প্রতিষ্ঠান আইনের প্রতি সম্মান দেখায়।
-
স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা – প্রশাসন খোলামেলা এবং নাগরিকদের জন্য বোঝার উপযোগী হয়।
-
দুর্নীতিমুক্ত ও জনবান্ধব প্রশাসন – সেবা জনগণের কল্যাণমুখী হয়।
-
অংশগ্রহণমূলক সরকার ব্যবস্থা – জনগণ নীতি প্রণয়ন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নিতে পারে।
-
মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা স্বাধীন প্রচারমাধ্যম – জনগণ তথ্য পায় এবং নিজের মত প্রকাশ করতে পারে।
-
দায়বদ্ধতা (Responsibility) – কর্মকর্তারা তাদের কাজের জন্য জবাবদিহি থাকে।
-
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ – কেন্দ্রীয় শক্তি সীমিত করে স্থানীয় ও নিম্নতর স্তরে ক্ষমতা প্রদান।
-
রাজনৈতিক স্বাধীনতার সুরক্ষা – রাজনৈতিক অধিকার রক্ষা এবং স্বাধীন নির্বাচন।
-
বাকস্বাধীনতা – জনগণ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে।
-
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও বৈধতা – আইন প্রয়োগে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত।
উৎস: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি, পৌরনীতি ও সুশাসন; প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মো. মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 month ago
ইমানুয়েল কান্টের নীতিবিদ্যার মূলকথা নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
কর্তব্যের জন্য কর্তব্য
B
সৎ ইচ্ছা
C
শর্তহীন আদেশ
D
নৈতিকতার জন্য দায়িত্ব
ইমানুয়েল কান্ট
-
ইমানুয়েল কান্ট ছিলেন একজন প্রখ্যাত জার্মান দার্শনিক ও নীতিবিজ্ঞানী।
-
তিনি নীতিবিদ্যায় “কর্তব্যের জন্য কর্তব্য” (Duty for duty’s sake) ধারণার প্রবর্তক, যা নৈতিকতার ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত।
তার নীতিবিদ্যার মূলকথা তিনটি:
-
সৎ ইচ্ছা (Good Will)
-
কর্তব্যের জন্য কর্তব্য (Duty for Duty’s Sake)
-
শর্তহীন আদেশ (Categorical Imperative)
উল্লেখ্য: “নৈতিকতার জন্য কর্তব্য” ইমানুয়েল কান্টের নীতিবিদ্যার মূলকথা নয়।

0
Updated: 1 month ago
মূল্যবোধ শিক্ষা কীভাবে সুশাসনের পথকে প্রশস্ত করে?
Created: 1 week ago
A
ব্যক্তিসত্তার বিকাশ সাধন করে
B
অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করে
C
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখে
D
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে
মূল্যবোধ শিক্ষা মানুষের ব্যক্তিসত্তার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এটি সুশাসন প্রতিষ্ঠার ভিত্তি তৈরি করে। মূল্যবোধ শিক্ষা ও সুশাসন একে অপরের পরিপূরক ধারণা, কারণ সঠিক মূল্যবোধ ছাড়া সুশাসনের বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
-
মূল্যবোধ শিক্ষা মানুষকে দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করে, যা সুশাসনের ভিতকে শক্তিশালী করে।
-
এটি ব্যক্তির মানসিক ও নৈতিক বিকাশকে ত্বরান্বিত করে, ফলে সে সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়।
-
ব্যক্তিসত্তার বিকাশের মাধ্যমে মূল্যবোধ শিক্ষা সুশাসনের পথকে সুগম করে এবং সামাজিক অবক্ষয়ের অবসান ঘটায়।
-
আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর সমাজ ব্যবস্থায়ও এটি মানবজাতিকে নৈতিক অবক্ষয় থেকে রক্ষা করার একমাত্র কার্যকর উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়।

0
Updated: 1 week ago
লর্ড ব্রাইসের মতে সুনাগরিকের গুণাবলী হলো— বুদ্ধি, আত্মসংযম এবং আর কোন গুণ?
Created: 3 weeks ago
A
বিবেক
B
প্রজ্ঞা
C
নিষ্ঠা
D
জ্ঞান
সুনাগরিক ছাড়া কোনো সমাজ সুন্দর ও সার্থক হতে পারে না।
-
লর্ড ব্রাইসের মতে, কোন নাগরিক সুনাগরিক হিসেবে পরিগণিত হবে যদি তিনটি গুণ থাকে:
১. বুদ্ধি
২. আত্মসংযম
৩. বিবেক -
অধ্যাপক ই. এম. হোয়াইটের মতে, সুনাগরিকের গুণাবলী হলো:
-
জ্ঞান
-
প্রজ্ঞা
-
নিষ্ঠা
-

0
Updated: 3 weeks ago