A
মানুষের আচরণের মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা প্রদান
B
মানুষের জীবনের সফলতার দিকগুলো আলোচনা
C
সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ ব্যাখ্যা
D
সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণের আলোচনা ও মূল্যায়ন
উত্তরের বিবরণ
নীতিবিদ্যা বা Ethics শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ Ethos থেকে, যার অর্থ “ঐচ্ছিক আচরণ” বা স্বেচ্ছায় করা আচরণ। এটি মূলত মানুষের আচরণের নৈতিক মূল্য ও আদর্শ নির্ধারণের বিজ্ঞান।
সহজভাবে বলতে গেলে, নীতিবিদ্যা হলো সেই বিজ্ঞান যা মানুষের আচরণের রীতিনীতি, ভালো-মন্দ, সঠিক-অসঠিক বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে।
আলোচ্য বিষয়:
নীতিবিদ্যার মূল লক্ষ্য হলো মানুষের ঐচ্ছিক আচরণ নিয়ে আলোচনা করা। ঐচ্ছিক আচরণ বলতে সেইসব কাজ বোঝায়, যা মানুষ স্বপ্রণোদিতভাবে বা ইচ্ছাকৃতভাবে করে।
উদাহরণস্বরূপ:
উইলিয়াম লিলি তার বই An Introduction to Ethics-এ নীতিবিদ্যা সংজ্ঞায়িত করে বলেন:
"নীতিবিদ্যা হলো সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞান, যেখানে আচরণের সঠিকতা বা অসঠিকতা, ভালো বা মন্দ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।"
নীতিবিদ্যার মূল চারটি ধারা:
১. পরানীতিবিদ্যা (Meta-ethics): নৈতিক ধারণা ও নীতির তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ।
২. ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা (Applied ethics): বাস্তব জীবনের নৈতিক সমস্যা সমাধান।
৩. বর্ণনামূলক নীতিবিদ্যা (Descriptive ethics): সমাজে মানুষের আচরণ পর্যবেক্ষণ ও বর্ণনা।
৪. মানমূলক নীতিবিদ্যা (Normative ethics): কোন আচরণ সঠিক বা ভুল তা নির্ধারণ।
উৎস: নীতিবিদ্যা, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, Encyclopaedia Britannica.

0
Updated: 1 week ago
মানুষের কোন ক্রিয়া নীতিবিদ্যার আলোচ্য বিষয়?
Created: 1 week ago
A
ঐচ্ছিক ক্রিয়া
B
অনৈচ্ছিক ক্রিয়া
C
ইচ্ছা নিরপেক্ষ ক্রিয়া
D
ক ও গ নামক ক্রিয়া
নীতিবিদ্যা (Ethics)
নীতিবিদ্যা বা Ethics শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ Ethos থেকে, যার অর্থ “আচরণের ধরন” বা “ঐচ্ছিক আচরণ”। নীতিবিদ্যার মূল কাজ হলো মানুষের আচরণের নৈতিক মূল্যায়ন করা এবং তার আদর্শ নির্ধারণ করা। এটি মানুষের আচরণের নিয়ম-কানুন বা রীতিনীতি সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞান।
নীতিবিদ্যা মানুষের ঐচ্ছিক আচরণ নিয়ে আলোচনা করে। ঐচ্ছিক আচরণ বলতে সেই আচরণকে বোঝায়, যা মানুষ নিজের ইচ্ছায়, সচেতনভাবে করে থাকে।
উদাহরণস্বরূপ, উইলিয়াম লিলি তাঁর বই An Introduction to Ethics-এ নীতিবিদ্যার সংজ্ঞা দিয়েছেন:
“নীতিবিদ্যা হলো সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান, যেখানে আচরণের সঠিকতা বা অসঠিকতা, ভালো বা মন্দ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।”
সংক্ষেপে বলা যায়,
নীতিবিদ্যা হলো এমন একটি জ্ঞানশাখা যা মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, উচিত-অনুচিত, যথার্থতা-অযথার্থতা নির্ধারণ করে, আচরণের মানদণ্ড ও নিয়মাবলী নির্ধারণ করে এবং এগুলোর প্রয়োগ বিশ্লেষণ করে।
উৎস: নীতিবিদ্যা, এসএসএইচএল, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, Britannica.

0
Updated: 1 week ago
ব্যক্তিগত মূল্যবোধ লালন করে -
Created: 5 days ago
A
সামাজিক মূল্যবোধকে
B
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে
C
ব্যক্তিগত মূল্যবোধকে
D
স্বাধীনতার মূল্যবোধকে
ব্যক্তিগত মূল্যবোধ ও সামাজিক মূল্যবোধ
সামাজিক মূল্যবোধ
-
সামাজিক মূল্যবোধ হলো সমাজের মূল ভিত্তি।
-
এটি হলো এমন বিশ্বাস, আদর্শ ও নীতির সমষ্টি যা ব্যক্তিকে আচরণে পরিচালিত করে এবং অন্যের কাজের ভাল-মন্দ বিচার করার মানদণ্ড হিসেবে কাজ করে।
-
সামাজিক মূল্যবোধ ব্যক্তি, পরিবার, পেশা, প্রতিষ্ঠান ও সমাজের সকল স্তরে প্রযোজ্য।
-
এটি সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হতে পারে, তবে সমাজের সাধারণ মানুষের সম্মত বিশ্বাস ও নীতিকে অন্তর্ভুক্ত করে।
-
সামাজিক মূল্যবোধ মানুষকে তার ব্যক্তিগত ও সামাজিক আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
-
এটি হলো সমাজ ও ব্যক্তির অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ এবং সমাজের মানুষের আচরণ যাচাই করার মানদণ্ড।
ব্যক্তিগত মূল্যবোধ
-
আধুনিক বিশ্বে ব্যক্তিগত মূল্যবোধকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
-
এটি ব্যক্তির স্বাধীনতা ও স্ব-পরিচয়কে সমর্থন করে।
-
ব্যক্তিগত মূল্যবোধ হলো ব্যক্তির নিজস্ব রুচি, বিশ্বাস, মনোভাব, ধারণা ও নীতি-নৈতিকতার ওপর ভিত্তি করে গঠিত আচরণ নিয়ন্ত্রণের মান।
-
প্রতিটি শিশুই কিছু ব্যক্তিগত মূল্যবোধ নিয়ে জন্মায় এবং পরিবার থেকে সে এগুলো শিখতে থাকে।
-
ব্যক্তির ব্যক্তিজীবন তার নিজস্ব মূল্যবোধের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে।
উৎস: সমাজকল্যাণ ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 5 days ago
সুশাসনের পথে অন্তরায় -
Created: 5 days ago
A
আইনের শাসন
B
জবাবদিহিতা
C
স্বজনপ্রীতি
D
ন্যায়পরায়ণতা
সুশাসনের পথে স্বজনপ্রীতির প্রভাব
সুশাসন হলো সমাজে শাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। এর অর্থ হলো শাসনযন্ত্রের কার্যক্রম ঠিকভাবে এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে পরিচালনা করা।
সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা। এগুলো ছাড়া দুর্নীতি রোধ করা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
সুশাসন নিশ্চিত করতে জনসাধারণের অংশগ্রহণ এবং ই-গভর্ন্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তবে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা এবং স্বেচ্ছাচারিতা হলো সুশাসনের প্রধান বাধা। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, দুর্নীতি সুশাসনের বড় অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত।
উৎস: মোঃ মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

0
Updated: 5 days ago