A
জ্যোতির্বিজ্ঞান
B
দর্শন
C
চিকিৎসাবিজ্ঞান
D
ভূগোল
উত্তরের বিবরণ
মিশরীয় সভ্যতা
-
মিশরীয় সভ্যতা খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ থেকে ৫২৫ অব্দ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
-
এটি নীলনদের অববাহিকায় গড়ে ওঠা এক প্রাচীন ও সমৃদ্ধ সভ্যতা।
-
খ্রিস্টপূর্ব ৩২০০ অব্দে নারমার বা মেনেস উচ্চ ও নিম্ন মিশরকে একত্রিত করে প্রথম ফারাও হন এবং ঐক্যবদ্ধ মিশরের সূচনা করেন।
উল্লেখযোগ্য দিকসমূহ
-
লিখনপদ্ধতি ও কাগজ আবিষ্কার মিশরীয় সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ অর্জন।
-
তারা প্রথম ২৪টি ব্যঞ্জনবর্ণের বর্ণমালা তৈরি করে।
-
শুরুতে চিত্রের মাধ্যমে ভাব প্রকাশ করত, যা ‘হায়ারোগ্লিফিক’ নামে পরিচিত।
-
‘প্যাপিরাস’ নামে এক ধরনের কাগজ তৈরি করে তাতে লেখা শুরু করে।
মেটেরিয়া মেডিকা
-
মিশরীয় সভ্যতায় ‘মেটেরিয়া মেডিকা’ হলো ঔষধের একটি তালিকা।
-
এতে চিকিৎসাশাস্ত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন ওষুধ ও তাদের গুণাগুণের বর্ণনা ছিল।
-
মিশরীয়রা অস্ত্রোপচার করত, হাড় জোড়া লাগাত এবং হৃদপিণ্ডের গতি নির্ণয় করত।
-
‘মেটেরিয়া মেডিকা’ তাদের চিকিৎসাবিজ্ঞানের অগ্রগতির সুস্পষ্ট প্রমাণ।

0
Updated: 1 week ago
মিশরীয় সভ্যতায় পাতালের দেবতা কে ছিলেন?
Created: 1 day ago
A
হোরাস
B
শেঠ
C
আনুবিস
D
ওসিরিস
মিশরীয় সভ্যতা (Ancient Egyptian Civilization)
বিস্তারকাল: খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ – ৫২৫ অব্দ
উদ্ভব: খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০ অব্দে, মিশরের উত্তর ও দক্ষিণ অংশে
শ্রেষ্ঠ অবদান:
স্থাপত্য ও ভাস্কর্যে অসামান্য দক্ষতা
লিখন পদ্ধতির উদ্ভাবন (চিত্রলিপি / হায়ারোগ্লিফিক)
সেচ ব্যবস্থা, চিকিৎসা বিজ্ঞান, জ্যোতিষশাস্ত্র, অঙ্ক শাস্ত্র
লিপি বা অক্ষর: প্রথমে ২৪টি ব্যঞ্জনবর্ণের বর্ণমালা
প্রথম লিখন পদ্ধতি: ছবি আঁকার মাধ্যমে ভাব প্রকাশ (চিত্রলিপি)
প্রতিমূর্তি ও স্থাপত্য নিদর্শন:
পিরামিড: গিজার গ্রেট পিরামিড পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্য
স্ফিংস: ফারাও খাফরের শাসনকালে নির্মিত বিশাল মূর্তি
দেবতাপূজা:
পাতালের দেবতা: ওসিরিস
যুদ্ধ ও শিকার ও আকাশের দেবতা: হোরাস
সহিংসতা, মরুভূমি ও ঝড়ের দেবতা: শেঠ
শেয়াল দেবতা: আনুবিস
জ্ঞানের দেবতা: থোথ
তথ্যসূত্র: ব্রিটানিকা, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, এসএসসি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 day ago
প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার শাসকদের কী বলা হতো?
Created: 1 week ago
A
সম্রাট
B
ফারাও
C
জার
D
কাইজার
মিশরীয় সভ্যতা
-
প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার বিস্তৃত সময়কাল ছিল খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ থেকে ৫২৫ অব্দ পর্যন্ত।
-
এটি আফ্রিকা মহাদেশের উত্তর-পূর্ব অংশে (বর্তমান ইজিপ্ট/মিশর) গড়ে ওঠে।
-
খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০ অব্দে মিশরে প্রথম সাম্রাজ্যের উদ্ভব ঘটে।
-
স্থাপত্য ও ভাস্কর্যে মিশরীয়দেরকে ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ নির্মাতা বলা হয়।
-
চিত্রকলায় তাদের বিশেষ বৈচিত্র্যময় অবদান ছিল।
-
লিখন পদ্ধতির উদ্ভাবন, সেচ ব্যবস্থা চালু, চিকিৎসাশাস্ত্র, জ্যোতিষশাস্ত্র ও অংকশাস্ত্রে তাদের অবদান সভ্যতার ইতিহাসে এক গৌরবময় অধ্যায় সৃষ্টি করে।
-
মিশরীয় সভ্যতার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল লিপি বা অক্ষরের আবিষ্কার।
-
তারা প্রায় পাঁচ হাজার বছর পূর্বে সর্বপ্রথম ২৪টি ব্যঞ্জনবর্ণের বর্ণমালা আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়।
-
প্রথমে তারা ছবি এঁকে মনের ভাব প্রকাশ করত, এই লিখন পদ্ধতির নাম ছিল চিত্রলিপি।
-
এই চিত্রলিপিকে বলা হয় ‘হায়ারোগ্লিফিক’ বা পবিত্র অক্ষর।
-
প্রাচীন মিশরের শাসকদের সাধারণত ফারাও বলা হতো।
অন্যান্য উপাধি
-
জার (Tsar): রাশিয়ার রাজাদের উপাধি।
-
কাইজার (Kaiser): জার্মানির সম্রাটদের উপাধি।

0
Updated: 1 week ago