A
ধূসর পাণ্ডুলিপি
B
নাম রেখেছি কোমল গান্ধার
C
একক সন্ধ্যায় বসন্ত
D
অন্ধকারে একা
উত্তরের বিবরণ
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’ (১৯৩৬) জীবনানন্দ দাশের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ।
-
এই গ্রন্থের কবিতাগুলিতে জীবনানন্দীয় কাব্যের নিজস্ব বিষয়বস্তু, ছন্দের ভাঙন, ভাষার নির্মাণশৈলী এবং প্রতিমার স্বাতন্ত্র্যপূর্ণ রূপ স্পষ্টভাবে প্রকাশিত।
-
এই কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমেই বাংলা আধুনিক কবিতায় জীবনানন্দ দাশ তাঁর স্বতন্ত্র অবস্থান নিশ্চিত করেন।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই গ্রন্থ পাঠ করে একে ‘চিত্ররূপময় কবিতা’ বলে আখ্যা দেন।
● অন্যান্য কব্যগ্রন্থ:
-
‘নাম রেখেছি কোমল গান্ধার’ – রচয়িতা: বিষ্ণু দে
-
‘একক সন্ধ্যায় বসন্ত’ – রচয়িতা: সৈয়দ আলী আহসান
-
‘অন্ধকারে একা’ (১৯৬৬) – রচয়িতা: মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ
● জীবনানন্দ দাশ:
-
রূপসী বাংলার কবি, নির্জনতার কবি, তিমির হননের কবি, ধূসরতার কবি নামে পরিচিত জীবনানন্দ দাশ ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি ছিলেন একাধারে কবি ও শিক্ষাবিদ।
-
তাঁর আদি নিবাস ছিল বিক্রমপুরের গাঁওপাড়া গ্রামে।
-
পিতা সত্যানন্দ দাশ ছিলেন স্কুলশিক্ষক ও সমাজসেবক; তিনি ব্রহ্মবাদী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন।
-
মাতা কুসুমকুমারী দাশ ছিলেন একজন খ্যাতিমান কবি।
-
জীবনানন্দ ছিলেন তিরিশের কবিতা নামে পরিচিত রবীন্দ্র-প্রতিক্রিয়াশীল কাব্যধারার অন্যতম কবি।
-
তাঁর কবিতায় পাশ্চাত্য কবিদের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়:
-
‘মৃত্যুর আগে’ কবিতার সঙ্গে আইরিশ কবি W. B. Yeats-এর ‘The Falling of the Leaves’ কবিতার মিল রয়েছে।
-
‘হায় চিল’ কবিতার সঙ্গে ইয়েটসের ‘He Reproves the Curlew’ কবিতার সাদৃশ্য রয়েছে।
-
‘বনলতা সেন’ কবিতায় এডগার এলেন পো-র ‘To Helen’ কবিতার প্রভাব রয়েছে।
-
-
তাঁর লেখা ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংগ্রামী বাঙালি জাতিকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে।
-
‘বনলতা সেন’ কাব্যগ্রন্থটি ১৯৫৩ সালে নিখিলবঙ্গ রবীন্দ্রসাহিত্য সম্মেলনে পুরস্কৃত হয়।
-
তাঁর ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ গ্রন্থটি ১৯৫৪ সালে ভারতের সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার লাভ করে।
-
জীবনানন্দ দাশ ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
● জীবনানন্দ দাশের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ:
-
ঝরাপালক
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
বনলতা সেন
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
রূপসী বাংলা
-
বেলা অবেলা কালবেলা
উৎস:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
'সাত সাগরের মাঝি' কাব্যগ্রন্থটির কবি কে?
Created: 2 weeks ago
A
ফররুখ আহমদ
B
আহসান হাবিব
C
শামসুর রাহমান
D
হাসান হাফিজুর রহমান
‘সাত সাগরের মাঝি’ — ফররুখ আহমদের প্রধান কাব্যসংগ্রহ
মুসলিম পুনর্জাগরণের কবি ফররুখ আহমদ রচিত প্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ ‘সাত সাগরের মাঝি’ ১৯৪৪ সালে প্রকাশ পায়। এই গ্রন্থে মোট ১৯টি কবিতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ‘সাত সাগরের মাঝি’ নামে একটি কবিতা রয়েছে যা গ্রন্থের শেষ ভাগে স্থান পেয়েছে।
ফররুখ আহমদের লেখা ‘পাঞ্জেরি’ কবিতাটিও এই কাব্যগ্রন্থের অংশ। এর বাইরে গ্রন্থে আরও গুরুত্বপূর্ণ কবিতাগুলো হলো—‘সিন্দাবাদ’, ‘লাশ’, ‘আউলাদ’, ‘দরিয়ার শেষরাত্রি’ প্রভৃতি।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 2 weeks ago
কোন কবিতা রচনার জন্য কাজী নজরুল ইসলামের 'অগ্নিবীণা' কাব্য নিষিদ্ধ হয়?
Created: 1 week ago
A
বিদ্রোহী
B
আনন্দময়ীর আগমনে
C
রক্তাম্বরধারিণী মা
D
কোনটিই নয়
অনেক সময় বলা হয় যে কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’ ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল, কিন্তু এই তথ্য সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে ‘অগ্নিবীণা’ কখনও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়নি। তবে এই কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত ‘রক্তাম্বর-ধারিণী মা’ শীর্ষক কবিতাটি ব্রিটিশ শাসকদের দ্বারা নিষিদ্ধ হয়েছিল।
[এই তথ্যের ভিত্তিতে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য উত্তর হিসেবে ‘ঘ’ বিকল্পটি বিবেচিত হয়েছে]
‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
‘অগ্নিবীণা’ হচ্ছে কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
-
এই গ্রন্থের অন্যতম জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী কবিতা ‘বিদ্রোহী’, যার মাধ্যমে তিনি ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
-
গ্রন্থটির সূচনা কবিতা ‘প্রলয়োল্লাস’।
-
নজরুল এই কাব্যগ্রন্থটি বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষকে উৎসর্গ করেছিলেন।
‘অগ্নিবীণা’ কাব্যের অন্তর্ভুক্ত মোট ১২টি কবিতা:
-
প্রলয়োল্লাস
-
বিদ্রোহী
-
রক্তাম্বর-ধারিণী মা
-
আগমণী
-
ধূমকেতু
-
কামাল পাশা
-
আনোয়ার
-
রণভেরী
-
শাত-ইল-আরব
-
খেয়াপারের তরণী
-
কোরবানী
-
মহররম
তথ্যসূত্র:
-
বাংলা ভাষা সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
-
মূল ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থ

0
Updated: 1 week ago
বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য সংকলন 'চর্যাপদ' -এর আবিষ্কারক-
Created: 1 month ago
A
ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
B
ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
C
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
D
ডক্টর সুকুমার সেন
চর্যাপদ বাংলা ভাষার সর্বপ্রথম কাব্যগ্রন্থ হিসেবে পরিচিত। এটি কেবল বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন নয়, বরং এটি গানের সংকলন হিসেবেও বিবেচিত হয়। চর্যাপদের ভাষা প্রাচীন, রূপান্তরমান (আর্ন্ধবঙ্গীয় প্রাকৃতঘেঁষা) এবং এর মূল উপজীব্য ছিল বৌদ্ধ সহজিয়া সাধনার দার্শনিক ও গূঢ় ভাবধারা।
আবিষ্কার ও গুরুত্ব
১৯০৭ সালে বিশিষ্ট পণ্ডিত ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবার লাইব্রেরি থেকে চর্যাপদের পাণ্ডুলিপি আবিষ্কার করেন।
-
এই পাণ্ডুলিপি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।
পদকর্তা ও সংখ্যা
চর্যাপদে বৌদ্ধ সহজিয়াগণ বিভিন্ন গূঢ় তত্ত্ব তুলে ধরেছেন কবিতার মাধ্যমে।
-
ড. সুকুমার সেন তাঁর ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস (প্রথম খণ্ড)’ গ্রন্থে ২৪ জন পদকর্তার নাম উল্লেখ করেছেন। তবে তাঁর মতে চর্যাপদের মোট পদ সংখ্যা ৫১টি, যদিও তিনি নিজের রচিত ‘চর্যাগীতি পদাবলী’ গ্রন্থে ৫০টি পদের উল্লেখ করেন এবং আলোচনা অংশে মুনিদত্তের ৫০টি ব্যাখ্যার কথাও বলেন।
-
অপরদিকে, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ তাঁর সম্পাদিত ‘Buddhist Mystic Songs’ গ্রন্থে ২৩ জন কবির নাম এবং ৫০টি পদের কথা উল্লেখ করেন।
অনুবাদ ও ব্যাখ্যা
চর্যাপদের তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
-
১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
-
সংস্কৃত ভাষায় চর্যাপদের ব্যাখ্যা করেন মুনিদত্ত। তবে তিনি ১১ নম্বর পদের ব্যাখ্যা করেননি।
চর্যাপদ কেবল বাংলা ভাষার শুরুর ধাপেই একটি সাহিত্যিক চিহ্ন নয়, এটি বাঙালির আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক ঐতিহ্যের প্রাচীন প্রমাণও বটে। বৌদ্ধ সহজিয়া সাধনার গভীর অন্তর্দৃষ্টি এই পদগুলোর মধ্যে দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে, যা বাংলা সাহিত্যের গর্ব ও ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – মাহবুবুল আলম
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago