ডেটা ট্রান্সমিশন মোড এবং মোবাইল যোগাযোগ

মোবাইল ফোনে ফুল-ডুপ্লেক্স মোডে যোগাযোগ সম্পন্ন হয়।

ডেটা ট্রান্সমিশন মোড
যখন কোনও ডিভাইস থেকে ডেটা অন্য ডিভাইসে প্রেরণ করা হয়, তখন ডেটা প্রবাহের দিক অনুসারে ডেটা প্রেরণের পদ্ধতিকে ডেটা ট্রান্সমিশন মোড বলা হয়। এটি মূলত তিন ধরনের হতে পারে:

1. সিমপ্লেক্স (Simplex):

   • এই মোডে ডেটা কেবল একদিকে প্রেরণ করা যায়।

   • গ্রাহক ডিভাইস কখনো প্রেরক ডিভাইসে ডেটা পাঠাতে পারে না।

   • উদাহরণ: রেডিও, টেলিভিশন।

2. হাফ-ডুপ্লেক্স (Half-Duplex):

   • এখানে ডিভাইস ডেটা প্রেরণ বা গ্রহণ করতে পারে, কিন্তু একসাথে উভয় করা যায় না।

   • উদাহরণ: ওয়াকিটকি।

3. ফুল-ডুপ্লেক্স (Full-Duplex):

   • এই মোডে ডিভাইস একই সময়ে ডেটা প্রেরণ ও গ্রহণ করতে পারে।

   • প্রয়োজনে ডিভাইস ডেটা পাঠানোর সময় গ্রহণও করতে পারে এবং ডেটা গ্রহণের সময়ও প্রেরণ করতে পারে।

     উদাহরণ: টেলিফোন, মোবাইল ফোন।

উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

ইউনিকোড (Unicode) 

• ইউনিকোড হলো একটি 16-বিট আলফানিউমেরিক কোড, যার পূর্ণ নাম Universal Code।

• এটি পৃথিবীর সকল ভাষার বর্ণ, সংখ্যা ও চিহ্ন ডিজিটাল ডিভাইসে ব্যবহারের জন্য ব্যবহার করা হয়।

• ইউনিকোডে প্রতিটি বর্ণের জন্য একটি বিশেষ সংখ্যা নির্ধারিত থাকে, যা 0000₁₆ থেকে 10FFFF₁₆ পর্যন্ত সীমার মধ্যে থাকে।

• 16-বিটের কারণে ইউনিকোডের মাধ্যমে মোট 65,536টি (2¹⁶) ভিন্ন চিহ্ন নির্দিষ্ট করা যায়।

• এটি মানে, প্রতিটি ভাষার চিহ্নের জন্য সর্বোচ্চ 4 বাইট পর্যন্ত স্থান সংরক্ষণ করা সম্ভব।

উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মাহবুবুর রহমান।

একটি বাইনারি সংখ্যা ১০১১১০-এর সমতুল্য ডেসিমেল সংখ্যা হলো ৪৬। বাইনারি থেকে দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর করার প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ:

• বাইনারি সংখ্যার প্রতিটি অঙ্ককে ২-এর ঘাতের সাথে গুণ করতে হয়, যেখানে ঘাত শুরু হয় ০ থেকে এবং বামদিকে যত যায় তত বৃদ্ধি পায়।

• প্রতিটি অঙ্কের গুণফলকে যোগ করলে বাইনারি সংখ্যার সমতুল্য দশমিক মান পাওয়া যায়।

• উদাহরণস্বরূপ, বাইনারি ১০১১১০-এর ক্ষেত্রে:

  • $1 × 2^5 = 32$

  • $0 × 2^4 = 0$

  • $1 × 2^3 = 8$

  • $1 × 2^2 = 4$

  • $1 × 2^1 = 2$

  • $0 × 2^0 = 0$

• সবগুলো যোগ করলে: $32 + 0 + 8 + 4 + 2 + 0 = 46$

• তাই, ১০১১১০ বাইনারি = ৪৬ ডেসিমেল।