পদ: বাক্যে ব্যবহৃত বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতুকে পদ বলে।

পদের শ্রেণিবিভাগ:
পদ প্রধানত দুই প্রকার—
১। সব্যয় পদ
২। অব্যয় পদ

সব্যয় পদ আবার চার প্রকার:

• বিশেষ্য

• বিশেষণ

• সর্বনাম

• ক্রিয়া

অতএব, পদ মোট পাঁচ প্রকার:
১। বিশেষ্য
২। বিশেষণ
৩। সর্বনাম
৪। ক্রিয়া
৫। অব্যয়

যেসব অব্যয় ধাতু বা শব্দের পূর্বে বসে নতুন শব্দ সৃষ্টি করে তাকে উপসর্গ বলে।

অনন্বয়ী অব্যয়

যে সকল অব্যয় বাক্যের অন্য কোনো পদের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক না রেখে স্বাধীনভাবে অনুভূতি বা ভাব প্রকাশ করে, তাদের অনন্বয়ী অব্যয় বলা হয়।

লক্ষণ:

• অনন্বয়ী অব্যয় সাধারণত বক্তার আনন্দ, উচ্ছ্বাস, হতাশা বা ঘৃণা ইত্যাদি মানসিক অবস্থা প্রকাশ করতে সাহায্য করে।

• উদাহরণ: মরি মরি, উঃ, বটে, ছিঃ।

বাক্যে ব্যবহার:

“মরি মরি! কী সুন্দর প্রভাতের রূপ!”
এখানে ‘মরি মরি’ অনন্বয়ী অব্যয়, কারণ এটি বাক্যের অন্য কোনো পদের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক রাখে না।

প্রশ্ন উদাহরণ:

“তুমি তো ভারি সুন্দর ছবি আঁক!”
এখানে ‘ভারি’ অনন্বয়ী অব্যয়, কারণ এটি বাক্যের অন্য কোনো শব্দের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়।

উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম–দশম শ্রেণি, ২০১৯ সংস্করণ।