A
১
B
২
C
৩
D
৪
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সুন্দরবন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব-দ্বীপের অংশ। এর আয়তন প্রায় ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার। এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম লবণাক্ত জলাভূমি এবং সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্যের জন্য একটি অমূল্য ইকোসিস্টেম।
এখানে রয়েছে প্রায় ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ ও ৩৭৫ প্রজাতির প্রাণী। এর মধ্যে—
-
৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ,
-
৩১৫ প্রজাতির পাখি,
-
৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো রয়েল বেঙ্গল টাইগার, যা সুন্দরবনের বিশ্বখ্যাত প্রাণী।
সরীসৃপের মধ্যে পাওয়া যায়—
-
নোনা পানির কুমির,
-
অজগর,
-
গোখরা,
-
গুইসাপ,
-
সামুদ্রিক সাপ,
-
গিরগিটি,
-
কচ্ছপ প্রভৃতি।
হরিণের প্রজাতি
বাংলাদেশের সুন্দরবনে মূলত দুটি প্রজাতির হরিণ দেখা যায়—
-
চিত্রা হরিণ (সংখ্যায় বেশি),
-
মায়া হরিণ (সংখ্যায় খুব কম)।
এছাড়াও দেশে আরও তিনটি হরিণ প্রজাতি পাওয়া যায়, তবে সেগুলো প্রায় বিলুপ্তির পথে—
-
সাম্বার হরিণ,
-
বারোশিঙা বা সোয়াম্প হরিণ,
-
হগ হরিণ।
বিশেষ তথ্য
-
সুন্দরবনের প্রধান বৃক্ষ হলো সুন্দরী গাছ।
-
১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান (World Heritage Site) হিসেবে ঘোষণা করে।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ (নবম-দশম শ্রেণি), বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
মস্তিষ্ক কোন তন্ত্রের অঙ্গ?
Created: 5 days ago
A
স্নায়ুতন্ত্রের
B
রেচনতন্ত্রের
C
পরিপাকতন্ত্রের
D
শ্বাসতন্ত্রের
স্নায়ুটিস্যু বা নার্ভ টিস্যু
প্রাণীদেহে এমন এক বিশেষ কলা আছে, যা বাইরের বা ভেতরের পরিবেশ থেকে আসা উদ্দীপনা অনুভব করে এবং তার উপযুক্ত সাড়া প্রদান করে। একে বলা হয় স্নায়ুটিস্যু (Nervous tissue)।
উদাহরণ: মস্তিষ্ক, সুষুম্না কাণ্ড।
-
স্নায়ুটিস্যুর মৌলিক একক হলো নিউরন (স্নায়ুকোষ)।
-
মস্তিষ্ক অসংখ্য নিউরনের সমষ্টি।
-
প্রতিটি নিউরন আবার তিনটি প্রধান অংশে বিভক্ত—
-
কোষদেহ (Cell body)
-
ডেনড্রন (Dendron)
-
অ্যাক্সন (Axon)
-
স্নায়ুটিস্যুর কাজ
✔️ দেহের বিভিন্ন ইন্দ্রিয় ও সংবেদন অঙ্গ থেকে পাওয়া উদ্দীপনা মস্তিষ্কে প্রেরণ করে।
✔️ মস্তিষ্ক সেই সংকেত গ্রহণ করে এবং দেহের কার্যকর অঙ্গকে সাড়া দিতে বলে।
যেমন: মশা কামড়ালে ত্বক সেই সংকেত মস্তিষ্কে পাঠায় → মস্তিষ্ক হাতকে জানায় → হাত মশা মারতে নড়ে।
✔️ প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা বা উদ্দীপনাকে স্মৃতিতে সংরক্ষণ করে।
✔️ দেহের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপে সমন্বয় সাধন করে।
উৎস: বিজ্ঞান, সপ্তম শ্রেণি

0
Updated: 5 days ago
কোন মাধ্যমে শব্দের গতি সর্বাপেক্ষা কম?
Created: 4 weeks ago
A
শূন্যতায়
B
কঠিন পদার্থে
C
তরল পদাবায়বীয় পদার্থের্থে
D
বায়বীয় পদার্থে
শব্দের গতি:
- বায়বীয় পদার্থে শব্দের গতি সবচেয়ে কম।
- শব্দ এক প্রকার যান্ত্রিক তরঙ্গ। তাই শব্দ চলার জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন হয়।
- কঠিন পদার্থে শব্দের গতি সবচেয়ে বেশি। যেমন- ইস্পাত, লোহা ইত্যাদি।
- তরলে পদার্থে শব্দের গতি কঠিন পদার্থের চেয়ে কম। যেমন- পানি।
- বায়বীয় পদার্থে শব্দের গতি সবচেয়ে কম।
- শূন্য মাধ্যমে শব্দের বেগ শূন্য।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 4 weeks ago
বৈদ্যুতিক বাল্বের ফিলামেন্ট কী ধাতু দিয়ে তৈরি?
Created: 1 month ago
A
সংকর ধাতু
B
সীসা
C
টাংস্টেন
D
তামা
বৈদ্যুতিক বাল্ব
-
বৈদ্যুতিক বাল্বের ভিতরে একটা সরু তার থাকে, যেটা টাংস্টেন নামক ধাতু দিয়ে তৈরি।
-
এই তারের দুটো প্রান্ত বাল্বের সাথে যুক্ত থাকে এবং এটাকেই ফিলামেন্ট বলা হয়।
-
যখন বাল্বে বিদ্যুৎ পৌঁছায়, তখন এই ফিলামেন্ট গরম হয়ে জ্বলে ওঠে এবং আলো দেয়।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, সপ্তম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago