কীসের স্রোতে নদীখাত গভীর হয়?
A
সমুদ্রস্রোত
B
নদীস্রোত
C
বানের স্রোত
D
জোয়ার-ভাঁটার স্রোত
উত্তরের বিবরণ
নদীখাত (Channel)
-
নদীখাত হচ্ছে এমন একটি প্রাকৃতিক পথ, যেটি প্রবাহিত পানির চাপ ও শক্তির কারণে তৈরি হয়। এই পথে পানি কখনো ধীরে, কখনো প্রবলবেগে সারা বছর বা নির্দিষ্ট সময়ে প্রবাহিত হয়। নদীখাত সরু বা চওড়া, গভীর বা অগভীর, সোজা বা বাঁকা হতে পারে।
-
জোয়ার-ভাঁটার কারণে পানির স্রোত শক্তিশালী হয় এবং এতে নদীখাত আরও গভীর হয়।
-
গঠনগত দিক থেকে নদীখাত বা প্রণালীকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়—
১) নদী গর্ভ,
২) সমুদ্রের দুই অংশকে যুক্ত করা সরু পথ,
৩) উপসাগরের নৌচলাচলযোগ্য গভীর অংশ (যেখানে পোতাশ্রয় থাকে)। -
বাংলাদেশের নদীগুলোর মধ্যে প্রথম ধরনের প্রণালী (নদী গর্ভ) সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
-
বিভিন্ন উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনের ভিত্তিতে বাংলাদেশের নদী প্রণালীকে নানা দিক থেকে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। যেমন— নদীখাত ও তীরের বৈশিষ্ট্য, নদীর জালিকার ধরণ, পাললিক পদার্থ ও প্রবাহের প্রভাব, নদীর ধারা বা স্থিতিশীলতা ইত্যাদি।
-
নদীখাতের ধরন অনুযায়ী বাংলাদেশের নদীগুলোকে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে—
-
সর্পিল নদী: যেমন পদ্মা ও মেঘনা, যেগুলো আঁকাবাঁকা বা বাঁকানো পথে প্রবাহিত।
-
চরোৎপাদী নদী: যেমন যমুনা, যেগুলোর মাঝে চর সৃষ্টি হয়।
-
বিন্ধনি নদী: বদ্বীপ সৃষ্টিকারী নদীর মোহনা, যেখানে নদী বিভাজিত হয়।
-
-
বাংলাদেশের উপকূলবর্তী কিছু গুরুত্বপূর্ণ নদীখাত হলো— মহেশখালী, কুতুবদিয়া, হাতিয়া, তেঁতুলিয়া ও সন্দ্বীপ।
উৎস: বাংলাপিডিয়া, জাগোনিউজ

0
Updated: 1 month ago
কোন খাদ্যে প্রোটিন বেশি?
Created: 1 month ago
A
ভাত
B
গরুর মাংস
C
মসুর ডাল
D
ময়দা
ডাল প্রোটিনে সমৃদ্ধ একটি খাবার। যদিও গরুর মাংসেও প্রোটিন থাকে, সেখানে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকায় ডাল তুলনামূলকভাবে বেশি প্রোটিন সাপ্লাই করে। উদাহরণস্বরূপ, প্রতি ১০০ গ্রাম মসুর ডালে প্রায় ২৫.১ গ্রাম প্রোটিন থাকে, যেখানে গরুর মাংসে প্রায় ২২.৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
সরকারের কৃষি তথ্য সার্ভিস (AIS) অনুযায়ী, বিভিন্ন খাবারে প্রোটিনের আনুমানিক পরিমাণ হলো:
-
ডাল বীজ: ২০–২৫%
-
লাল মাংস: ১২–১৬%
-
মাছ: ১৮–২৫%
-
মুরগির মাংস: ২০–২৫%
উৎস: ais.gov.bd

0
Updated: 1 month ago
প্রাণিজগতের উৎপত্তি ও বংশসম্মন্ধীয় বিদ্যাকে বলে-
Created: 1 month ago
A
বায়োলজী
B
জুওলজী
C
জেনেটিক
D
ইভোলিউশন
জেনেটিক্স (Genetics):
-
জেনেটিক্স বা বংশগতি হলো বাবা-মার বৈশিষ্ট্য জিনের মাধ্যমে সন্তানের মধ্যে চলে আসা। এর ফলে সন্তান ও বাবা-মার মধ্যে শারীরিক ও চারিত্রিক মিল পাওয়া যায়।
-
আবার, জীব ও প্রাণীর উৎপত্তি ও বংশগত বৈশিষ্ট্য কিভাবে এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ে তা নিয়ে যে শাখা আলোচনা করে, সেটিই হলো জেনেটিক্স বা বংশগতিবিদ্যা।
ইভোলিউশন (Evolution)
-
বিবর্তন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ধরে জীবের গঠন ও স্বভাব ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয় এবং নতুন বৈশিষ্ট্য দেখা দেয়।
-
জুওলজি (Zoology)-এর বাংলা নাম হলো প্রাণিবিজ্ঞান, যেখানে প্রাণী ও তাদের গঠন, জীবনধারা ও বিবর্তন নিয়ে আলোচনা করা হয়।
উৎস: জীববিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
জীবজগতের জন্যে সবচেয়ে ক্ষতিকারক রশ্মি কোনটি?
Created: 2 months ago
A
আলট্রা-ভায়োলেট রশ্মি
B
বিটা রশ্মি
C
আলফা রশ্মি
D
গামা রশ্মি
জীবজগতের জন্য গামা রশ্মি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর।
-
গামা রশ্মির ভেদ করার ক্ষমতা আলফা ও বিটা রশ্মির চেয়ে অনেক বেশি।
-
এটি সীসা প্রায় কয়েক সেন্টিমিটার পর্যন্ত পার করতে পারে।
-
সূর্যের আলট্রাভায়োলেট (অতিবেগুনি) রশ্মি তেজস্ক্রিয় রশ্মির তুলনায় কম ক্ষতিকর।
-
গামা রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে ছোট হওয়ায় এর ভেদন ক্ষমতাও সবচেয়ে বেশি।
-
পারমাণবিক বিস্ফোরণের সময় গামা রশ্মি মুক্ত হয়।
-
বিটা ও আলফা রশ্মি গামার তুলনায় কম ক্ষতি করে।
উৎস: নাসা ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 months ago