A
শুক্র
B
পৃথিবী
C
মঙ্গল
D
বুধ
উত্তরের বিবরণ
সৌরজগতের গ্রহগুলোর তাপমাত্রা
সূর্য থেকে যত দূরে কোনো গ্রহ অবস্থান করে, সাধারণত তার গড় তাপমাত্রা তত কমে যায়। তবে শুক্র এর ব্যতিক্রম। কারণ এর ঘন কার্বন ডাই অক্সাইডে ভরা বায়ুমণ্ডল ও সূর্যের সান্নিধ্য একে সৌরজগতের সবচেয়ে উষ্ণ গ্রহে পরিণত করেছে।
শুক্র পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটবর্তী গ্রহ এবং এটি আকাশে সবচেয়ে উজ্জ্বলভাবে দেখা যায়। এর ঘন মেঘাচ্ছন্ন বায়ুমণ্ডল প্রধানত কার্বন ডাই অক্সাইড দিয়ে গঠিত। তাই তাপ আটকে রেখে গ্রহটিকে ভীষণ উষ্ণ করে তোলে। অন্যদিকে পৃথিবী সূর্য থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
গ্রহগুলোর গড় তাপমাত্রা (প্রায়)
-
বুধ: ১৬৭° সেলসিয়াস
-
শুক্র: ৪৬৪° সেলসিয়াস
-
পৃথিবী: ১৫° সেলসিয়াস
-
মঙ্গল: –৬৫° সেলসিয়াস
-
বৃহস্পতি: –১১০° সেলসিয়াস
-
শনি: –১৪০° সেলসিয়াস
-
ইউরেনাস: –১৯৫° সেলসিয়াস
-
নেপচুন: –২০০° সেলসিয়াস
সব মিলিয়ে বলা যায়, সূর্য থেকে যত দূরে যাওয়া যায়, তাপমাত্রা তত হ্রাস পায়। তবে শুক্র তার ঘন বায়ুমণ্ডলের কারণে নিয়মের বাইরে থেকে সবচেয়ে উত্তপ্ত গ্রহ হিসেবে পরিচিত।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ (নবম-দশম শ্রেণি) এবং NASA ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 week ago
যে সকল নিউক্লিয়াসের নিউট্রন সংখ্যা সমান কিন্তু ভর সংখ্যা সমান নয়, তাদের কী বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
আইসোটোপ
B
আইসোটোন
C
আইসোমার
D
আইসোবার
আইসোটোন:
যেসব পারমাণবিক কণার নিউক্লিয়াসে নিউট্রনের সংখ্যা একই থাকে, কিন্তু প্রোটনের সংখ্যা বা ভর সংখ্যা ভিন্ন হয়, তাদেরকে আইসোটোন বলে।-
আইসোটোপ:
যেসব নিউক্লিয়াসে প্রোটনের সংখ্যা একই, কিন্তু ভর সংখ্যা বা নিউট্রনের সংখ্যা আলাদা হয়, তাদেরকে আইসোটোপ বলা হয়। -
আইসোবার:
যেসব নিউক্লিয়াসের ভর সংখ্যা বা মোট নিউক্লিয়ন সংখ্যা একই থাকে, কিন্তু প্রোটন সংখ্যা ভিন্ন হয়, তাদেরকে আইসোবার বলে। -
আইসোমার:
যেসব নিউক্লিয়াসের পারমাণবিক সংখ্যা ও ভর সংখ্যা উভয়ই একই, কিন্তু তাদের ভৌত বা রাসায়নিক গঠন আলাদা, তাদেরকে আইসোমার বলা হয়।
সূত্র: রসায়ন, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago
চাঁদ দিগন্তের কাছে অনেক বড় দেখায় কেন?
Created: 1 month ago
A
বায়ুমণ্ডলীয় প্রতিসরণে
B
আলোর বিচ্ছুরণে
C
অপাবর্তনে
D
দৃষ্টিভ্রমে
চাঁদ থেকে আলোক রশ্মি পৃথিবীপৃষ্ঠে আসার সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আলোর প্রতিসরণ ঘটে অর্থাৎ আলোক রশ্মি বেঁকে যায়।
চাঁদ যখন দিগন্তের কাছে থাকে তখন আলোক রশ্মি তুলনামূলকভাবে অধিক পরিমাণে বেঁকে যায়।
বায়ুমণ্ডলীয় প্রতিসরণের কারণে দিগন্তের নিকটে চাঁদ ও সূর্যকে ডিম্বাকৃতি এবং তুলনামূলকভাবে বড় দেখা যায়।
উৎস: scientificamerican.com

0
Updated: 1 month ago
সংকর ধাতু পিতলের(Brass) উপাদান-
Created: 2 weeks ago
A
তামা ও টিন
B
তামা ও দস্তা
C
তামা ও সীসা
D
তামা ও নিকেল
সংকর ধাতু পিতলে ৬৫% তামা এবং ৩৫% দস্তা মিশ্রিত থাকে।
• সংকর ধাতু:
- বিভিন্ন ধাতু একত্রে মিশিয়ে সংকর ধাতু তৈরি করা হয়।
- এই সংকর ধাতু তৈরিতে সকল ধাতুকে সমান পরিমাণে মেশানো হয় না।
- সংকর ধাতুর মধ্যে একটি থাকে প্ৰধান ধাতু এবং অন্য এক বা একাধিক পদার্থ থাকে অপ্রধান ধাতু বা অধাতু।
যেমন - পিতলের মধ্যে প্রধান ধাতু কপার থাকে 65% এবং জিংক 35% থাকে।
- প্রধান ধাতুর নাম অনুসারে সংকর ধাতুর নামকরণ করা হয়।
যেমন-
• স্টিলের মধ্যে লোহা প্রধান ধাতু এবং কার্বন অপ্রধান অধাতু। স্টিলে লোহা থাকে 99% এবং কার্বন থাকে 1% এজন্য স্টিলকে লোহার সংকর ধাতু বলা হয়।
• কাঁসার মধ্যে প্রধান ধাতু কপার থাকে 90%, টিন থাকে 10%। এজন্য কাঁসা কপারের সংকর ধাতু।
• আবার, পিতলে প্রধান ধাতু কপার থাকে 65% এবং অপ্রধান ধাতু জিংক থাকে 35%। এজন্য পিতলও কপারের সংকর ধাতু।
- কপারের দুইটি সংকর ধাতু আছে। যথা: পিতল (ব্রাস) ও কাঁসা (ব্রোঞ্জ)।

উৎস: রসায়ন, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 2 weeks ago