আকৃতি, অবস্থান ও কাজের প্রকৃতিভেদে আবরণী টিস্যু কত ধরনের?
A
২
B
৩
C
৪
D
৫
উত্তরের বিবরণ
আবরণী টিস্যুর প্রকারভেদ
কোষের আকার, প্রাণীদেহে অবস্থান ও কাজের ধরন অনুযায়ী আবরণী টিস্যু (Epithelium tissue) মূলত তিন ভাগে বিভক্ত—
স্কোয়ামাস (আইশাকার) আবরণী টিস্যু
-
এই টিস্যুর কোষগুলো খুব পাতলা ও চ্যাপ্টা, দেখতে মাছের আঁশের মতো।
-
এদের নিউক্লিয়াস তুলনামূলক বড় হয়।
-
উদাহরণ: বৃক্কের বোম্যান্স ক্যাপসুলের প্রাচীর।
কিউবয়ডাল (ঘনাকার) আবরণী টিস্যু
-
এই টিস্যুর কোষগুলোর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা প্রায় সমান হওয়ায় এগুলো ঘনক্ষেত্র বা কিউব আকৃতির দেখা যায়।
-
উদাহরণ: বৃক্কের সংগ্রাহক নালিকা।
কলামনার (স্তম্ভাকার) আবরণী টিস্যু
-
এই টিস্যুর কোষগুলো লম্বাটে ও সরু, স্তম্ভের মতো গঠনযুক্ত।
-
প্রধানত ক্ষরণ, রক্ষণ ও শোষণ কাজে যুক্ত থাকে।
-
উদাহরণ: প্রাণীর অন্ত্রের অন্তঃপ্রাচীরের কোষ।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
আকাশে রংধনু সৃষ্টির কারণ-
Created: 1 month ago
A
ধুলিকণা
B
বায়ুস্তর
C
বৃষ্টির কণা
D
অতিবেগুনি রশ্মি
সূর্যের আলো দেখতে সাদা রঙের হলেও আসলে এর ভেতরে সাতটি ভিন্ন রঙ লুকিয়ে থাকে—বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল। এই সাদা আলোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। যখন এটি কোনো প্রিজমের ভেতর দিয়ে যায়, তখন আলোটি ভেঙে সাত রঙে আলাদা হয়ে যায়।
আকাশে বৃষ্টি হলে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো ছোট ছোট প্রিজমের মতো কাজ করে। সূর্যের আলো ফোঁটার এক পাশ দিয়ে প্রবেশ করে এবং বের হওয়ার সময় সাত রঙের বর্ণালী তৈরি করে। ফোঁটা থেকে বের হওয়া এই রঙিন আলো আমাদের চোখে পৌঁছায় বলেই আমরা রংধনু দেখতে পাই। অর্থাৎ বৃষ্টির ফোঁটার ভেতরের প্রতিফলন ও প্রতিসরণের কারণে আকাশে সুন্দর রংধনু গঠিত হয়।
এছাড়া আলো যখন ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে যায়, আর যদি আপতন কোণ মাধ্যম দুটির সংকট কোণের চেয়ে বড় হয়, তখন পুরো আলোকরশ্মিই প্রতিফলিত হয়ে ঘন মাধ্যমের ভেতরেই ফিরে আসে। এই ঘটনাকে বলা হয় পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
চা পাতায় কোন ভিটামিন থাকে?
Created: 1 month ago
A
ভিটামিন 'ই'
B
ভিটামিন 'কে'
C
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স
D
ভিটামিন 'এ'
ভিটামিন ও তাদের উৎস
-
ভিটামিন B কমপ্লেক্স – চা পাতা ও বৃষ্টির পানিতে পাওয়া যায়।
-
ভিটামিন E – সবুজ শাকসবজি, তৈলবীজ ও হাঙ্গর মাছের যকৃতের তেলে রয়েছে।
-
ভিটামিন K – প্রধান উৎস হলো সবুজ শাকসবজি ও দুগ্ধজাত দ্রব্য।
-
ভিটামিন A – মাছের তেল, দুধ, মলা মাছ, মাছের মাথা এবং গাজরে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়।
ভিটামিনের দ্রাব্যতা অনুযায়ী ভাগ:
-
স্নেহে দ্রবণীয় (Fat-soluble) ভিটামিন: A, D, E, K
-
পানিতে দ্রবণীয় (Water-soluble) ভিটামিন: B কমপ্লেক্স ও C
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি, বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago
RFID বলতে বােঝায়-
Created: 1 month ago
A
Random Frequency Identification
B
Random Frequency Information
C
Radio Frequency Information
D
Radio Frequency Identification
RFID বা Radio-Frequency Identification একটি বেতার প্রযুক্তি যা ট্যাগ এবং রিডার এই দুটি উপাদান নিয়ে গঠিত। এটি তথ্য সঞ্চয় এবং প্রেরণের জন্য রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে এবং একে বারকোড বা QR কোডের তুলনায় উন্নত ধরণের কোড হিসাবে দেখা যায়, কারণ এটি বৃহৎ পরিমাণে তথ্য ধারণ ও পরিবর্তন করতে সক্ষম।
-
RFID ট্যাগগুলি রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে তাদের মধ্যে সংরক্ষিত তথ্য পাঠাতে সক্ষম।
-
RFID-তে তথ্য পড়া এবং লেখা যায়, অর্থাৎ ট্যাগের মধ্যে থাকা তথ্য পরিবর্তন করা সম্ভব।
-
এর তথ্য ধারণ ক্ষমতা হাজার হাজার ক্যারেক্টার পর্যন্ত হতে পারে।
-
বারকোড এক-মাত্রিক এবং QR কোড দ্বি-মাত্রিক হলেও, RFID ট্যাগকে ত্রিমাত্রিক কোড হিসাবে বিবেচনা করা যায়।

0
Updated: 1 month ago