বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'কৃষ্ণকান্তের উইল' উপন্যাসের প্রধান দুটি চরিত্রের নাম-
A
নগেন্দ্রনাথ ও কুন্দনন্দিনী
B
মধুসূদন ও কুমুদিনী
C
গোবিন্দলাল ও রোহিনী
D
সুরেশ ও অচেলা
উত্তরের বিবরণ
কৃষ্ণকান্তের উইল
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এবং সমকালীন সময়ে বিতর্কিত একটি উপন্যাস হলো কৃষ্ণকান্তের উইল। এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলেন বিধবা নারী রোহিনী। তাঁকে ঘিরেই লেখক নিজে শিল্পবোধ ও নৈতিক আদর্শের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন।
এই গ্রন্থটি ঔপন্যাসিকের জীবদ্দশাতেই চারবার মুদ্রিত হয়।
উপন্যাসটির প্রধান চরিত্রসমূহ:
-
রোহিনী
-
গোবিন্দলাল
-
ভ্রমর
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
জন্ম: ১৮৩৮ সালের ২৭ জুন, চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে।
-
উপাধি: বাংলা উপন্যাসের জনক হিসেবে পরিচিত।
-
বিখ্যাত ত্রয়ী উপন্যাস:
-
আনন্দমঠ
-
দেবী চৌধুরানী
-
সীতারাম
-
-
প্রবন্ধগ্রন্থ: সাম্য
তাঁর রচিত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ:
-
কপালকুণ্ডলা
-
মৃণালিনী
-
বিষবৃক্ষ
-
ইন্দিরা
-
যুগলাঙ্গুরীয়
-
চন্দ্রশেখর
-
রাধারানী
-
রজনী
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
-
রাজসিংহ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 5 months ago
'বিশ শতকের মেয়ে' - কোন ধরনের রচনা?
Created: 2 months ago
A
কাব্যগ্রন্থ
B
প্রবন্ধ
C
উপন্যাস
D
নাটক
‘বিশ শতকের মেয়ে’
-
‘বিশ শতকের মেয়ে’ নীলিমা ইব্রাহীম রচিত একটি উপন্যাস।
নীলিমা ইব্রাহিম
-
নীলিমা ইব্রাহিম ১৯২১ সালে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি মূলত একজন শিক্ষাবিদ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
-
সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি তিনি বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমাজকল্যাণ, নারী-উন্নয়ন এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
-
তিনি বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ও প্রবন্ধও রচনা করেছেন।
তাঁর রচিত উপন্যাসসমূহ
-
বিশ শতকের মেয়ে
-
এক পথ দুই বাঁক
-
কেয়াবন সঞ্চারিণী
-
বহ্নিবলয়
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
‘লালসালু’ উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদের নাম কী?
Created: 3 weeks ago
A
The Silent Village
B
The Red Cloth
C
Tree Without Roots
D
The River Cries
‘লালসালু’ হলো সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ রচিত একটি কালজয়ী বাংলা উপন্যাস, যা গ্রামীণ ধর্মীয় ভণ্ডামি, সমাজবাস্তবতা এবং নারীর প্রতিবাদী চেতনার এক জীবন্ত চিত্র। এটি বাংলা সাহিত্যেই নয়, বিশ্বসাহিত্যের পরিসরেও গভীর প্রভাব ফেলেছে। এর ইংরেজি অনুবাদ “Tree Without Roots” নামেই আন্তর্জাতিক পাঠকসমাজে পরিচিত।
-
‘লালসালু’ প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে কলকাতা থেকে।
-
এটি বাংলার গ্রামীণ সমাজজীবনের বাস্তবতা, কুসংস্কার, ধর্মীয় ভণ্ডামি ও নারীর জাগরণের কাহিনি।
-
গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র মজিদ, যিনি নোয়াখালি থেকে গারোপাহাড় অঞ্চলে এসে ধর্মের নামে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করেন।
-
উপন্যাসে ধর্মকে ব্যক্তিস্বার্থের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারকারী চরিত্রদের তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গচিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
-
মূল বিষয়: ধর্মের ছদ্মবেশে ভণ্ড ও স্বার্থপর চরিত্রের মুখোশ উন্মোচন এবং নারীর আত্মমর্যাদার জাগরণ।
-
জমিলা চরিত্রটি নারী প্রতিবাদের প্রতীক; তাঁর মধ্যে লুকিয়ে আছে প্রতিরোধ, আত্মসম্মান ও স্বাধীনতার চেতনা।
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র: মজিদ, খালেক ব্যাপারি, জমিলা, রহিমা, আমেনা, আক্কাস, তাহেরের বাবা, হাসুনির মা।
-
ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে লেখকের তীব্র ব্যঙ্গাত্মক উক্তি:
-
“খোদার এলেমে বুক ভরে না তলায় পেট শূন্য বলে।” — যা ধর্মের আড়ালে ব্যক্তিস্বার্থের নগ্ন বাস্তবতাকে তুলে ধরে।
-
অনুবাদ:
-
ইংরেজি অনুবাদ: Tree Without Roots (১৯৬৭)
-
ফরাসি অনুবাদ: Le Arbre Sans Mame (১৯৬১), অনুবাদ করেছেন লেখকের স্ত্রী অ্যান মেরি ওয়ালীউল্লাহ্।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ (১৯২২–১৯৭১):
-
জন্ম: ১৫ আগস্ট ১৯২২, চট্টগ্রামের ষোলশহরে সৈয়দ বাড়িতে।
-
ছিলেন একজন কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও সাংবাদিক।
-
ছাত্রজীবনে ফেনী হাইস্কুলে সাহিত্যচর্চা শুরু করেন এবং হাতে লেখা পত্রিকা ‘ভোরের আলো’ সম্পাদনা করেন।
-
তাঁর প্রথম গল্প ‘হঠাৎ আলোর ঝলকানি’ প্রকাশিত হয় ঢাকা কলেজ ম্যাগাজিনে।
-
তাঁর লেখায় ধর্ম, সমাজ, মানুষ ও মানসিক দ্বন্দ্ব অত্যন্ত বাস্তব ও গভীরভাবে চিত্রিত।
-
পুরস্কার:
-
বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬১)
-
আদমজি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৫)
-
একুশে পদক (১৯৮৩, মরণোত্তর)
-
-
মৃত্যু: ১০ অক্টোবর ১৯৭১, প্যারিসে।
উপন্যাসসমূহ:
-
লালসালু
-
চাঁদের অমাবস্যা
-
কাঁদো নদী কাঁদো
-
The Ugly Asian
গল্পগ্রন্থ:
-
নয়নচারা
-
দুই তীর ও অন্যান্য গল্প
নাটক:
-
বহিপীর
-
তরঙ্গভঙ্গ
-
উজান মৃত্যু
‘লালসালু’ শুধুমাত্র একটি উপন্যাস নয়, এটি বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজে ধর্মের অপব্যবহার ও নারীর প্রতিরোধচেতনার এক অনন্য দলিল, যার সার্বজনীনতা একে বিশ্বসাহিত্যের মর্যাদায় উন্নীত করেছে।
0
Updated: 3 weeks ago
'সংশপ্তক' উপন্যাসের রচয়িতা কে?
Created: 4 weeks ago
A
আলাউদ্দিন আল আজাদ
B
আবু ইসহাক
C
আল মাহমুদ
D
শহীদুল্লাহ কায়সার
'সংশপ্তক' উপন্যাসটি শহীদুল্লাহ কায়সারের রচিত একটি মহাকাব্যিক সাহিত্যকর্ম, যা হিন্দু-মুসলিম সম্মিলিত জীবনযাপন এবং অসাম্প্রদায়িক জীবনবোধকে কেন্দ্র করে রচিত। উপন্যাসের নাম সংশপ্তক মহাভারত থেকে নেওয়া হয়েছে, অর্থ “যে সৈনিকেরা জীবন-মরণ পণ করে যুদ্ধে লড়ে।” বিশ্বযুদ্ধ, দাঙ্গা, দুর্ভিক্ষ, সাম্প্রদায়িকতা ইত্যাদি প্রাসঙ্গিক সামাজিক ও ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোও এতে সংযুক্ত করা হয়েছে।
-
মূল বিষয়: হিন্দু-মুসলিম সম্মিলিত জীবন, অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ, সমাজের বিভিন্ন সংকট।
-
উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র: রাবেয়া খাতুন (রাবু), জাহেদ, সেকেন্দার, মালু, হুরমতি, লেকু, রমজান, রামদয়াল ইত্যাদি।
শহীদুল্লাহ কায়সার:
-
জন্ম: ১৯২৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি, ফেনি।
-
পূর্ণ নাম: আবু নঈম মহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
-
জহির রায়হানের সহোদর।
-
ভ্রমণবৃত্তান্তমূলক গ্রন্থ: পেশোয়ার থেকে তাসখন্দ।
-
স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থ: রাজবন্দীর রোজনমাচা (১৯৬২ সালে প্রকাশিত)।
রচিত উপন্যাসসমূহ:
-
সারেং বৌ
-
সংশপ্তক
-
কৃষ্ণচূড়া মেঘ
-
তিমির বলয়
-
দিগন্তে ফুলের আগুন
-
সমুদ্র ও তৃষ্ণা
-
চন্দ্রভানের কন্যা
-
কবে পোহাবে বিভাবরী (অসমাপ্ত)
রচিত ভ্রমণবৃত্তান্ত:
-
পেশোয়ার থেকে তাসখন্দ
রচিত স্মৃতিকথা:
-
রাজবন্দীর রোজনমাচা
0
Updated: 4 weeks ago