বাংলায় মুসলমান শাসনের সূচনা করেন কে?
A
আলাউদ্দিন খলজি
B
মুইজুদ্দিন মোহম্মদ ঘুরি
C
খতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজি
D
গিয়াসউদ্দিন বালবান
উত্তরের বিবরণ
• বাংলায় মুসলমান শাসনের সূচনা:
বাংলায় মুসলমান শাসনের সূচনা হয় তুর্কি সেনাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজির মাধ্যমে।
ত্রয়োদশ শতকের শুরুতে তিনি বাংলার উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রাজত্বকারী সেন বংশের শাসনের অবসান ঘটান এবং মুসলমান শাসনের ভিত্তি স্থাপন করেন।
ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজির বাল্যকাল ও প্রারম্ভিক জীবনের বিস্তারিত তথ্য ইতিহাসে স্পষ্ট নয়।
জানা যায়, তিনি উত্তর আফগানিস্তানের গরমশির (বর্তমান দাস্ত-ই মার্গ) অঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন।
জাতিতে তিনি ছিলেন তুর্কি, বংশে খলজি এবং পেশায় একজন ভাগ্যান্বেষী সৈনিক।
সাহস, দূরদর্শিতা ও সামরিক দক্ষতার মাধ্যমে তিনি বঙ্গ বিজয় করে ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করেন।

0
Updated: 1 month ago
হিন্দু লেখকগণ কোন মুসলিম শাসককে 'জগৎভূষণ' উপাধিতে ভূষিত করেন?
Created: 2 weeks ago
A
গিয়াসউদ্দীন আজম শাহ
B
শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ
C
নুসরত শাহ
D
আলাউদ্দীন হোসেন শাহ
বাংলাদেশের ইতিহাসে আলাউদ্দীন হোসেন শাহের শাসনকালকে এক উজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতার মাধ্যমে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করে একটি শক্তিশালী রাজবংশের সূচনা করেছিলেন। নিচে তাঁর জীবন ও শাসন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো।
-
হোসেন শাহ সামান্য অবস্থা থেকে উঠে এসে বাংলাদেশে হাবশি শাসনের অবসান ঘটিয়ে হোসেন শাহী বংশ প্রতিষ্ঠা করেন।
-
তিনি আরবীয় বংশোদ্ভূত সৈয়দ পরিবারভুক্ত ছিলেন।
-
১৪৯৩ সালে তিনি 'আলাউদ্দীন হোসেন শাহ' উপাধি গ্রহণ করে সিংহাসনে আরোহণ করেন।
-
আধুনিক ঐতিহাসিকরা তাঁকে মধ্যযুগের ‘গোপাল’ বলে আখ্যায়িত করেছেন, কারণ তিনি নতুন এক স্থিতিশীল শাসনের সূচনা করেন।
-
সুলতান আলাউদ্দীন হোসেন শাহ প্রজাদের কল্যাণে বিভিন্ন জনহিতকর প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেন।
-
হিন্দু লেখকরা তাঁর সুশাসনে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে ‘নৃপতি তিলক’, ‘জগৎভূষণ’, ‘কৃষ্ণাবতার’ ইত্যাদি সম্মানসূচক উপাধি প্রদান করেন।
-
তিনি একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান ছিলেন এবং বহু মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও খানকাহ নির্মাণ করেন।
-
তিনি বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা করেন এবং প্রথমবারের মতো বাংলা ভাষাকে রাজদরবারে মর্যাদা দেন।
-
তাঁর সময় বহু আরবি, ফার্সি ও সংস্কৃত গ্রন্থ বাংলা ভাষায় অনুবাদ করা হয়, যা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 2 weeks ago
ইলিয়াস শাহ কোন দেশের অধিবাসী ছিলেন?
Created: 2 weeks ago
A
ইরাক
B
ইরান
C
আফগানিস্তান
D
সৌদি আরব
বাংলাদেশের ইতিহাসে ইলিয়াস শাহ ছিলেন এক গুরুত্বপূর্ণ সুলতান, যিনি প্রথমবারের মতো সমগ্র বাংলাকে একত্রিত করেন এবং এর রাজনৈতিক ঐক্যের ভিত্তি স্থাপন করেন। তাঁর আমল থেকেই বাংলাদেশ 'বাঙ্গালা' নামে পরিচিত হয় এবং এখানকার মানুষ 'বাঙালি' পরিচয়ে পরিচিতি পায়। নিচে তাঁর সিংহাসন লাভ ও রাজ্য বিস্তারের বিবরণ দেওয়া হলো।
-
ইলিয়াস শাহী বংশ বাংলাদেশে প্রায় ১২২ বছর শাসন করে।
-
এ বংশের প্রতিষ্ঠাতা সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ সর্বপ্রথম বাংলার বিচ্ছিন্ন অংশগুলো একত্র করেন।
-
এর আগে কোনো মুসলমান সুলতান সমগ্র বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেননি।
-
এই সময় থেকেই বাংলা ‘বাঙ্গালা’ নামে পরিচিত হয় এবং অধিবাসীরা ‘বাঙালি’ নামে পরিচিতি পায়।
-
ইলিয়াস শাহ মূলত ইরানের অধিবাসী ছিলেন।
-
তিনি লখনৌতির শাসনকর্তা আলী মুবারকের ধাত্রীমাতার পুত্র ছিলেন।
-
পরবর্তীতে আলী মুবারক বাংলাদেশে চলে আসেন এবং লখনৌতির শাসনকর্তা কদর খানের প্রধান সেনাপতি হন।
-
যখন ইলিয়াস শাহ সিংহাসনে বসেন, তখন পূর্ব ও দক্ষিণ বঙ্গ তাঁর রাজ্যের বাইরে ছিল।
-
প্রথমে তিনি সাতগাঁও দখল করেন।
-
১৩৫০ খ্রিস্টাব্দে নেপাল আক্রমণ করে প্রচুর ধনসম্পদ অর্জন করেন।
-
১৩৫২ খ্রিস্টাব্দে সোনারগাঁও অধিকার করে তিনি সমগ্র বাংলার সুলতান হন।
-
ঐতিহাসিক শামস-ই-সিরাজ আফীফ তাঁকে ‘শাহ-ই-বাঙ্গালাহ’ ও ‘সুলতান-ই-বাঙ্গালাহ’ উপাধিতে ভূষিত করেন।

0
Updated: 2 weeks ago