'সাম্যবাদী' কাব্যগ্রন্থের লেখক কে?
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
প্রমথ চৌধুরী
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
কাজী মোতাহার হোসেন
উত্তরের বিবরণ
কাজী নজরুল ইসলাম
বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব কাজী নজরুল ইসলাম।
তিনি ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
নজরুলের ডাকনাম ছিল ‘দুখু মিয়া’।
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি পরিচিত ‘বিদ্রোহী কবি’ নামে এবং আধুনিক বাংলা গানের জগতে খ্যাত ‘বুলবুল’ নামে।
তাঁর প্রথম গদ্য রচনা হলো ‘বাউন্ডুলের আত্মকাহিনী’।
তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
অগ্নিবীণা
-
বিষের বাঁশি
-
ভাঙার গান
-
সাম্যবাদী
-
সর্বহারা
-
ফণীমনসা
-
জিঞ্জির
-
প্রলয় শিখা
-
সন্ধ্যা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 1 month ago
"তবুও থামে না যৌবন বেগ জীবনের উল্লাসে
চলেছে চন্দ্র মঙ্গল গ্রহে স্বর্গে অসীমাকাশে।" - কে লিখেছেন?
Created: 2 weeks ago
A
সুকান্ত ভট্টাচার্য
B
হেলাল হাফিজ
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
ফররুখ আহমদ
কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ‘জীবন-বন্দনা’-এর এই অংশে কবি জীবনের অদম্য গতি ও যৌবনের অনিঃশেষ উদ্দীপনাকে তুলে ধরেছেন। মানুষের অগ্রযাত্রা যে কখনো থামে না, বরং সে চন্দ্র, মঙ্গল, গ্রহ ও স্বর্গ পর্যন্ত ছুটে চলে—এই ভাবকেই কবি চিত্রিত করেছেন তাঁর কবিতার পংক্তিতে।
‘জীবন-বন্দনা’ কবিতা সম্পর্কিত তথ্য:
-
‘জীবন-বন্দনা’ কবিতাটি কাজী নজরুল ইসলামের ‘সন্ধ্যা’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত।
-
কবিতাটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
-
‘সন্ধ্যা’ কাব্যগ্রন্থটি ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
-
বাংলাদেশের রণসংগীত “চল চল চল, উর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল” এই কাব্যগ্রন্থ থেকেই নেওয়া হয়েছে।
‘জীবন-বন্দনা’ কবিতার ভাব:
-
কবি এখানে মানুষের শ্রম, সাহস ও সৃষ্টিশীল শক্তির বন্দনা করেছেন।
-
তিনি সেই সব মানুষকে স্মরণ করেছেন, যারা কঠিন পরিশ্রমে পৃথিবীকে ফলবান করেছে।
-
মানুষের অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও অগ্রযাত্রাই ধরণিকে করেছে “কুসুমিতা মনোহরা”।
-
কবির ভাষায়, এই জীবনের চলা যেন উল্কার মতো—অবিরাম, অপ্রতিরোধ্য।
-
শেষে তিনি ঘোষণা করেছেন যে, যৌবনের বেগ থামে না—মানবজীবনের উল্লাস অনন্ত, যা চন্দ্র, মঙ্গল ও স্বর্গ পর্যন্ত ছুটে চলে।
কাজী নজরুল ইসলামের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
অগ্নিবীণা
-
বিষের বাঁশি
-
ভাঙার গান
-
সাম্যবাদী
-
সর্বহারা
-
সন্ধ্যা
-
ঝিঙেফুল
-
ফণি-মনসা
-
জিঞ্জিরা
-
প্রলয়শিখা ইত্যাদি

0
Updated: 2 weeks ago
'বাঁধন হারা' কাজী নজরুল ইসলামের কোন ধরনের রচনা?
Created: 1 month ago
A
ভ্রমণ কাহিনী
B
উপন্যাস
C
নাটক
D
কবিতা
‘বাঁধন-হারা’ উপন্যাস
-
লেখক: কাজী নজরুল ইসলাম
-
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম উপন্যাস।
-
বাংলা সাহিত্যে এটি প্রথম পত্রোপন্যাস, এতে মোট ১৮টি চিঠি রয়েছে।
-
উপন্যাস রচনা শুরু হয়েছিল করাচীতে অবস্থানের সময়।
-
এটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল ‘মোসলেম ভারত’ পত্রিকায়।
-
-
প্রধান চরিত্র: নুরুল হুদা
-
অন্য চরিত্রসমূহ: রবিউল, রাবেয়া, সােফিয়া, মাহবুবা প্রমুখ
কাজী নজরুল ইসলাম
-
পরিচয়: বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতির একজন অগ্রণী ব্যক্তিত্ব।
-
জন্ম: ২৪ মে ১৮৯৯, চুরুলিয়া, বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ
-
ডাক নাম: দুখু মিয়া
-
খ্যাতি:
-
বাংলা সাহিত্যের ‘বিদ্রোহী কবি’
-
আধুনিক বাংলা গানের জগতে ‘বুলবুল’ নামে পরিচিত
-
-
রচিত অন্যান্য উপন্যাস:
-
মৃত্যুক্ষুধা
-
কুহেলিকা
-
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
‘ধূমকেতু’ পত্রিকায় কোন কবিতা প্রকাশের কারণে কাজী নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছিল?
Created: 2 weeks ago
A
খেয়াপারের তরণী
B
প্রলয়োল্লাস
C
আনন্দময়ীর আগমনে
D
বিদ্রোহী
‘ধূমকেতু’ ছিল কাজী নজরুল ইসলামের এক বিপ্লবী সাহিত্য-উদ্যোগ, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১২ আগস্ট ১৯২২ সালে। এটি ছিল সপ্তাহে দু’বার প্রকাশিত একটি পত্রিকা, যার মাধ্যমে নজরুল তাঁর বিপ্লবী চেতনা ও রাজনৈতিক সচেতনতা তুলে ধরেন। বিশের দশকে অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলনের ব্যর্থতার পর যে সশস্ত্র বিপ্লববাদের নতুন জোয়ার দেখা দেয়, তাতে এই পত্রিকার ভূমিকা ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। এক কথায়, ‘ধূমকেতু’ সশস্ত্র বিপ্লবীদের মুখপত্রে পরিণত হয়েছিল।
-
পত্রিকার শীর্ষে মুদ্রিত হতো রবীন্দ্রনাথের আশীর্বাণী— “কাজী নজরুল ইসলাম কল্যাণীয়েষু, আয় চলে আয়রে ধূমকেতু। আধারে বাঁধ অগ্নিসেতু, দুর্দিনের এ দুর্গশিরে উড়িয়ে দে তোর বিজয় কেতন।”
-
‘ধূমকেতু’র আগমনী সংখ্যায় নজরুল প্রকাশ করেন তাঁর রাজনৈতিক প্রতীকময় কবিতা ‘আনন্দময়ীর আগমনে’। এই কবিতার কারণে ৮ নভেম্বর সংখ্যাটি ব্রিটিশ সরকার নিষিদ্ধ করে এবং নজরুলের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়।

0
Updated: 2 weeks ago