নিম্নের কোনটি বেকিং পাউডারের মূল উপাদানের সংকেত?
A
CaCO3
B
NaHCO3
C
NH4HCO3
D
(NH4)2CO3
উত্তরের বিবরণ
আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করি। নিচে কিছু পরিচিত পদার্থ এবং তাদের রাসায়নিক সংকেত উল্লেখ করা হলো:
-
মিল্ক অফ লাইম (চুনাজল) – রাসায়নিক সংকেত: Ca(OH)₂
-
বেকিং সোডা / বেকিং পাউডার – রাসায়নিক সংকেত: NaHCO₃
-
চুনাপাথর – রাসায়নিক সংকেত: CaCO₃
-
ভিনেগার (সিরকা) – রাসায়নিক সংকেত: CH₃COOH
-
চুন (Quicklime) – রাসায়নিক সংকেত: CaO
অন্য সাধারণ রাসায়নিক পদার্থের সংকেত:
-
তুঁত (Blue Vitriol / Copper sulfate pentahydrate) – রাসায়নিক সংকেত: CuSO₄·5H₂O
-
ক্যালামিন – রাসায়নিক সংকেত: ZnCO₃
-
ফিটকিরি (Potash alum) – রাসায়নিক সংকেত: K₂SO₄·Al₂(SO₄)₃·24H₂O
-
গ্লুবার লবণ (Glauber’s salt) – রাসায়নিক সংকেত: Na₂SO₄·10H₂O
-
কাপড় কাচার সোডা (Washing soda) – রাসায়নিক সংকেত: Na₂CO₃·10H₂O
-
ক্লোরোফর্ম – রাসায়নিক সংকেত: CHCl₃
-
ব্লিচিং পাউডার – রাসায়নিক সংকেত: Ca(OCl)Cl
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি এবং বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
গাড়ির ব্যাটারিতে কোন এসিড ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
নাইট্রিক
B
সালফিউরিক
C
হাইড্রোক্লোরিক
D
পারক্লোরিক
এসিডের ব্যবহার
এসিড আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এবং বিভিন্ন শিল্প কারখানায় অপরিহার্য। কিছু উদাহরণ হলো:
-
সোনার গহনা তৈরিতে নাইট্রিক এসিড ব্যবহৃত হয়।
-
বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও যানবাহন, সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং মাইক্রোইলেকট্রনিক্সে সালফিউরিক এসিড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
বাসাবাড়িতে সাপ এবং অন্যান্য কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে কার্বোলিক এসিড ব্যবহৃত হয়।
-
পাকস্থলীর হজম প্রক্রিয়ার জন্য আমাদের শরীর হাইড্রোক্লোরিক এসিড ব্যবহার করে।
-
সার কারখানা, পেইন্ট, কাগজ, ডিটারজেন্ট, ঔষধ, কীটনাশক, বিস্ফোরক এবং রেয়ন উৎপাদনে সালফিউরিক এসিড অপরিহার্য।
-
কোনো দেশের শিল্পোন্নয়নের পরিমাপক হিসেবে সালফিউরিক এসিডের ব্যবহার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক।
-
ইস্পাত, চামড়া, ঔষধ শিল্পে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের ব্যবহার ব্যাপক।
-
সার উৎপাদন, বিস্ফোরক প্রস্তুতি, ধাতু আহরণ (যেমন সোনা) এবং রকেট জ্বালানিতে নাইট্রিক এসিড ব্যবহৃত হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
কোনো বস্তুতে আধানের অস্তিত্ব নির্ণয়ের যন্ত্র হলো-
Created: 1 month ago
A
অ্যামিটার
B
ভোল্টামিটার
C
অণুবীক্ষণ যন্ত্র
D
তড়িৎবীক্ষণ যন্ত্র
আধানের অস্তিত্ব সনাক্তকরণ (Detection of Charge)
কোনো বস্তুর মধ্যে আধান বা চার্জ আছে কিনা তা নির্ণয় করতে তড়িৎবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। এর পদ্ধতি হলো:
-
বস্তুর সাথে যন্ত্রের সোনার পাত যুক্ত ধাতব গোলক স্পর্শ করানো হয়।
-
যদি স্পর্শ করার পর সোনার দুটি পাতা একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তবে বোঝা যায় বস্তুর মধ্যে আধান আছে।
-
যদি পাত দুটি না ছড়িয়ে যায়, তবে বোঝা যায় বস্তুর মধ্যে আধান নেই।
উল্লেখযোগ্য বিষয়: তড়িৎবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে কেবল আধানের অস্তিত্বই নয়, আধানের ধরণও নির্ণয় করা সম্ভব।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়; পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago
জমির লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণ করে কোনটি?
Created: 2 months ago
A
কৃত্রিম সার প্রয়োগ
B
পানি সেচ
C
জমিতে নাইট্রোজেন ধরে রাখা
D
প্রাকৃতিক সার প্রয়োগ
জমির লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণের উপায়
-
জমির লবণ কমাতে পানি সেচের বিশেষ ভূমিকা থাকে। দুই-তিনবার স্বাদু পানি দিয়ে জমিতে সেচ দিলে জমির লবণ জমি থেকে ধুয়ে বের হয়ে যায় এবং লবণাক্ততা কমে।
-
এটা এক প্রাকৃতিক এবং সহজ পদ্ধতি।
-
লবণাক্ততার কারণে শুকনো মৌসুমে, বিশেষ করে রবি ও খরিফ-১ মৌসুমে ফসল চাষ কঠিন হয়ে পড়ে।
-
এ সময় মাটির লবণাক্ততার মাত্রা ৮.০ ডিএস/মি. এর বেশি হয়ে যায়।
-
নদীর পানির লবণাক্ততা এই সময় ২৫ থেকে ৩০ ডিএস/মি. পর্যন্ত হতে পারে।
জমির উর্বরতা রক্ষা ও বৃদ্ধি করার জন্য করণীয়
-
ভূমিক্ষয় (মাটি ক্ষয়) রোধ করা।
-
মাটিতে জৈব পদার্থ যেমন গোবর বা কম্পোস্ট ব্যবহার করা।
-
মাটির অম্লতা নিয়ন্ত্রণ রাখা।
-
শিম জাতীয় ফসল চাষ করা, কারণ এরা মাটির পুষ্টি বৃদ্ধি করে।
-
একই জমিতে বারবার একই ফসল না চাষ করে বিভিন্ন ধরণের ফসল চাষ করা।
-
পানি ও আগাছা নিয়ন্ত্রণ সঠিকভাবে করা।
উৎস: বাংলাদেশ কৃষি তথ্য সার্ভিস ও মাধ্যমিক কৃষিশিক্ষা, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago