A
গায়ের ঘাম বের হতে দেয় না
B
বাষ্পায়ন শীতলতার সৃষ্টি করে
C
পাখার বাতাস শীতল জলীয়বাষ্প ধারণ করে
D
পাখার বাতাস সরাসরি লোমকূপ দিয়ে শরীরে ঢুকে যায়
উত্তরের বিবরণ
দেহের স্বাচ্ছন্দ্য এবং বায়ুর আর্দ্রতা
আমাদের শরীর কতটা আরামবোধ করে তা অনেকটাই নির্ভর করে চারপাশের বায়ুর আর্দ্রতার ওপর। যখন আমরা হাঁটাচলা করি, শারীরিক পরিশ্রম করি, বা দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, তখন আমাদের শরীরে ঘাম উৎপন্ন হয়। ঘাম মূলত শরীরের ভেতরের জলীয় কণার আকারে থাকে।
শরীরের সাথে সংস্পর্শে আসা বাতাস এই ঘামকে শোষণ করে এবং দেহ থেকে তাপ নিয়ে বাষ্পায়িত করে। বাষ্পায়ন প্রক্রিয়ায় দেহের তাপ হ্রাস পায়, ফলে আমরা শীতলতা অনুভব করি এবং স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।
কিন্তু গ্রীষ্ম বা বর্ষার সময় বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে। এতে ঘাম বাষ্পায়িত হয় না বা খুব কম হয়। ফলস্বরূপ, ঘাম শুকায় না এবং দেহ অস্বস্তিকর অনুভব করে। তাই সেই সময় আমাদের স্বাচ্ছন্দ্য কমে যায়।
উৎস: পদার্থ প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
আকৃতি, অবস্থান ও কাজের প্রকৃতিভেদে আবরণী টিস্যু কত ধরনের?
Created: 1 week ago
A
২
B
৩
C
৪
D
৫
আবরণী টিস্যুর প্রকারভেদ
কোষের আকার, প্রাণীদেহে অবস্থান ও কাজের ধরন অনুযায়ী আবরণী টিস্যু (Epithelium tissue) মূলত তিন ভাগে বিভক্ত—
স্কোয়ামাস (আইশাকার) আবরণী টিস্যু
-
এই টিস্যুর কোষগুলো খুব পাতলা ও চ্যাপ্টা, দেখতে মাছের আঁশের মতো।
-
এদের নিউক্লিয়াস তুলনামূলক বড় হয়।
-
উদাহরণ: বৃক্কের বোম্যান্স ক্যাপসুলের প্রাচীর।
কিউবয়ডাল (ঘনাকার) আবরণী টিস্যু
-
এই টিস্যুর কোষগুলোর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা প্রায় সমান হওয়ায় এগুলো ঘনক্ষেত্র বা কিউব আকৃতির দেখা যায়।
-
উদাহরণ: বৃক্কের সংগ্রাহক নালিকা।
কলামনার (স্তম্ভাকার) আবরণী টিস্যু
-
এই টিস্যুর কোষগুলো লম্বাটে ও সরু, স্তম্ভের মতো গঠনযুক্ত।
-
প্রধানত ক্ষরণ, রক্ষণ ও শোষণ কাজে যুক্ত থাকে।
-
উদাহরণ: প্রাণীর অন্ত্রের অন্তঃপ্রাচীরের কোষ।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago
উদ্ভিদের পাতা হলদে হয়ে যায় কিসের অভাবে?
Created: 1 month ago
A
নাইট্রোজেনের
B
ফসফরাসের
C
ইউরিয়ার
D
পটাসিয়ামের
🔹 নাইট্রোজেনের অভাব
-
নাইট্রোজেন পাতায় সবুজ রঙ (ক্লোরোফিল) তৈরি করতে সাহায্য করে।
-
এর ঘাটতি হলে পাতার সবুজ রঙ ফিকে হতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে পাতাগুলো হলুদ হয়ে যায়।
-
এই হলুদ হওয়াকে বলা হয় ক্লোরোসিস।
🔹 ফসফরাসের অভাব
-
ফসফরাসের অভাবে পাতায় বেগুনি রঙ দেখা যায়।
-
পাতায় শুকিয়ে যাওয়া অংশ বা মৃত দাগ তৈরি হয়।
-
ফল, ফুল এমনকি পাতাও ঝরে পড়তে পারে।
-
গাছের বৃদ্ধি থেমে যেতে পারে।
🔹 পটাশিয়ামের অভাব
-
পটাশিয়ামের অভাবে পাতার মাথা ও ধারে হলুদ ছোপ দেখা দেয়।
-
পরে সেসব জায়গায় পোড়া দাগের মতো বাদামি রঙ হয় এবং পাতা কুঁকড়ে যায়।
-
গাছের বৃদ্ধি কমে যায় এবং ফুল বা ফলের কুঁড়ি শুকিয়ে যেতে পারে।
বুঝে রাখার মতো বিষয়:
-
নাইট্রোজেনের অভাবে সাধারণত পুরনো পাতা পুরোপুরি হলুদ হয়।
-
আর পটাশিয়ামের অভাবে পাতার ধারে পোড়া দাগের মতো চিহ্ন দেখা যায়, পুরো পাতা না।
উৎস: নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান বই।

0
Updated: 1 month ago
বৈদ্যুতিক হিটার ও ইস্ত্রিতে কোন ধাতুর তার ব্যবহার করা হয়?
Created: 1 month ago
A
তামা
B
নাইক্রোম
C
স্টেনিয়াম
D
প্লাটিনাম
নাইক্রোম তার
-
নাইক্রোম হলো এক ধরনের তার, যেটা অনেক বৈদ্যুতিক যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়, যেমন হিটার, ইস্ত্রি ইত্যাদি।
-
বৈদ্যুতিক হিটারের ভিতরে একটি গোল চাকতির মতো জিনিস থাকে, যা বিদ্যুৎ না চললে ঠান্ডা থাকে।
-
এই চাকতির ওপর নাইক্রোম তার পেঁচিয়ে রাখা হয়।
-
যখন বিদ্যুৎ চালানো হয়, তখন নাইক্রোম তার গরম হয়ে যায় এবং তাপ ছড়ায়।
-
ইস্ত্রির ভেতরেও এমন নাইক্রোম তার থাকে, যা নিচের লৌহের পাতাটিকে গরম করে তোলে।
-
এই তাপ বিদ্যুৎ প্রবাহের ওপর নির্ভর করে — যত বেশি বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়, তত বেশি গরম হয় ইস্ত্রি বা হিটার।
উৎস: পদার্থ বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago