ঘর্মাক্ত দেহে পাখার বাতাস আরাম দেয় কেন?
A
গায়ের ঘাম বের হতে দেয় না
B
বাষ্পায়ন শীতলতার সৃষ্টি করে
C
পাখার বাতাস শীতল জলীয়বাষ্প ধারণ করে
D
পাখার বাতাস সরাসরি লোমকূপ দিয়ে শরীরে ঢুকে যায়
উত্তরের বিবরণ
দেহের স্বাচ্ছন্দ্য এবং বায়ুর আর্দ্রতা
আমাদের শরীর কতটা আরামবোধ করে তা অনেকটাই নির্ভর করে চারপাশের বায়ুর আর্দ্রতার ওপর। যখন আমরা হাঁটাচলা করি, শারীরিক পরিশ্রম করি, বা দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, তখন আমাদের শরীরে ঘাম উৎপন্ন হয়। ঘাম মূলত শরীরের ভেতরের জলীয় কণার আকারে থাকে।
শরীরের সাথে সংস্পর্শে আসা বাতাস এই ঘামকে শোষণ করে এবং দেহ থেকে তাপ নিয়ে বাষ্পায়িত করে। বাষ্পায়ন প্রক্রিয়ায় দেহের তাপ হ্রাস পায়, ফলে আমরা শীতলতা অনুভব করি এবং স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।
কিন্তু গ্রীষ্ম বা বর্ষার সময় বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকে। এতে ঘাম বাষ্পায়িত হয় না বা খুব কম হয়। ফলস্বরূপ, ঘাম শুকায় না এবং দেহ অস্বস্তিকর অনুভব করে। তাই সেই সময় আমাদের স্বাচ্ছন্দ্য কমে যায়।
উৎস: পদার্থ প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
বর্তমানে পরিবেশ-বান্ধব কোন গ্যাসটি রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসরে ব্যবহার করা হয়?
Created: 1 month ago
A
টাইক্লোরোটাইফ্লুরো ইথেন
B
টেট্রাফ্লুরো ইথেন
C
ডাইক্লোরো ডাইফ্লুরো
D
ইথেন আর্গন
পরিবেশবান্ধব ফ্রিজ (Environmentally Friendly Refrigerators)
-
প্রচলিত এয়ার কন্ডিশনার এবং ফ্রিজে ব্যবহৃত অনেক রেফ্রিজারেন্টে ফ্লোরিনযুক্ত গ্যাস থাকে, যা ওজোন স্তর ক্ষয় করতে পারে এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
-
পরিবেশবান্ধব ফ্রিজ এই ক্ষতিকর গ্যাসগুলোর পরিবর্তে জলবায়ু-সুরক্ষামূলক বিকল্প রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করে।
-
এগুলি যদি শক্তি-দক্ষ প্রযুক্তির সাথে মিলিত হয়, তাহলে রেফ্রিজারেন্ট লিকেজের কারণে শক্তির অপচয় ও পরিবেশ দূষণ দুটোই কমানো সম্ভব।
পরিবেশ বান্ধব রেফ্রিজারেন্টের মানদণ্ড:
-
রেফ্রিজারেন্টের ওজোন ক্ষয় সম্ভাবনা (ODP) এবং গ্লোবাল ওয়ার্মিং সম্ভাবনা (GWP) দ্বারা তার পরিবেশগত প্রভাব পরিমাপ করা হয়।
-
সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব রেফ্রিজারেন্ট হলো হাইড্রোফ্লোরোকার্বন (HFC) এবং হাইড্রোফ্লোরো-ওলেফিনস (HFO)।
-
বর্তমানে ফ্রিজে হিমায়ক হিসেবে ফ্রেয়নের পরিবর্তে R-134a (টেট্রাফ্লোরোইথেন), R-290 (আইসোপ্রোপেন), এবং R-600a (আইসোবিউটেন) ব্যবহার করা হচ্ছে।
উৎস: Environmentally Friendly Refrigerants, American Biotech Supply

0
Updated: 1 month ago
সুনামির কারণ হলো-
Created: 1 month ago
A
ঘূর্ণিঝড়
B
চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ
C
সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্পন
D
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত
সুনামি
-
‘Tsunami’ শব্দটি জাপানি ভাষা থেকে এসেছে। এখানে ‘সু’ মানে বন্দর এবং ‘নামি’ মানে ঢেউ, অর্থাৎ ‘বন্দরের ঢেউ’।
-
এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা সমুদ্র বা মহাসাগরে ঘটে।
-
সুনামি সাধারণত সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস বা নভোজাগতিক ঘটনা ঘটলে তৈরি হয়।
-
পৃথিবীতে এটি তৃতীয় প্রধান প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে বিবেচিত।
-
যখন সুনামি গভীর সমুদ্রে থাকে, তখন এটি খুব দ্রুত এবং শক্তিশালী হয়, কিন্তু অগভীর পানিতে এলে এর শক্তি কমে যায়।
-
উদাহরণস্বরূপ, ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছে ভারত মহাসাগরের তলদেশে ভূমিকম্পের কারণে সুনামি সৃষ্টি হয়, যা অনেক ক্ষয়ক্ষতি এবং মৃত্যুর কারণ হয়।
-
বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত অগভীর পানির উপস্থিতি আমাদের দেশে সুনামির ধ্বংসাত্মক প্রভাবকে অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago
যে সকল নিউক্লিয়াসের নিউট্রন সংখ্যা সমান কিন্তু ভর সংখ্যা সমান নয়, তাদের কী বলা হয়?
Created: 2 months ago
A
আইসোটোপ
B
আইসোটোন
C
আইসোমার
D
আইসোবার
আইসোটোন:
যেসব পারমাণবিক কণার নিউক্লিয়াসে নিউট্রনের সংখ্যা একই থাকে, কিন্তু প্রোটনের সংখ্যা বা ভর সংখ্যা ভিন্ন হয়, তাদেরকে আইসোটোন বলে।-
আইসোটোপ:
যেসব নিউক্লিয়াসে প্রোটনের সংখ্যা একই, কিন্তু ভর সংখ্যা বা নিউট্রনের সংখ্যা আলাদা হয়, তাদেরকে আইসোটোপ বলা হয়। -
আইসোবার:
যেসব নিউক্লিয়াসের ভর সংখ্যা বা মোট নিউক্লিয়ন সংখ্যা একই থাকে, কিন্তু প্রোটন সংখ্যা ভিন্ন হয়, তাদেরকে আইসোবার বলে। -
আইসোমার:
যেসব নিউক্লিয়াসের পারমাণবিক সংখ্যা ও ভর সংখ্যা উভয়ই একই, কিন্তু তাদের ভৌত বা রাসায়নিক গঠন আলাদা, তাদেরকে আইসোমার বলা হয়।
সূত্র: রসায়ন, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 2 months ago