বিচ্ছিন্ন অবস্থায় একটি পরমাণুর শক্তি-
A
যুক্ত অবস্থার চাইতে কম
B
যুক্ত অবস্থার চাইতে অধিক
C
যুক্ত অবস্থার সমান
D
কোনোটিই সঠিক নয়
উত্তরের বিবরণ
পরমাণুর কেন্দ্র হলো শক্তির ভাণ্ডার। যখন একটি পরমাণু “যুক্ত অবস্থায়” থাকে, অর্থাৎ নিউক্লিয়াস এবং ইলেকট্রনগুলো একত্রিত ও স্থিতিশীল অবস্থায় থাকে, তখন এটি সবচেয়ে স্থিতিশীল অবস্থায় থাকে। এই অবস্থায় পরমাণুর ভেতরের আকর্ষণ শক্তি কাজ করে, যা পরমাণুকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখে।
অন্যদিকে, “বিচ্ছিন্ন অবস্থায়” বা অযৌগিক অবস্থায়, পরমাণুর কণিকাগুলো (প্রোটন, নিউট্রন এবং ইলেকট্রন) একে অপর থেকে আলাদা থাকে। এই অবস্থায় তাদের মধ্যে কোনো আকর্ষণ শক্তি কাজ করে না। ফলে পরমাণুর শক্তির পরিমাণ বেশি থাকে, কারণ যুক্ত অবস্থায় কণিকাগুলো একত্রিত থাকার কারণে কিছু শক্তি কমে যায়।
সংক্ষেপে: বিচ্ছিন্ন অবস্থায় একটি পরমাণুর শক্তি যুক্ত অবস্থার তুলনায় বেশি।
উৎস: Encyclopaedia Britannica

0
Updated: 1 month ago
কোনটি জৈব অম্ল?
Created: 2 months ago
A
নাইট্রিক এসিড
B
হাইড্রোক্লোরিক এসিড
C
এসিটিক এসিড
D
সালফিউরিক এসিড
দুর্বল এসিড
-
সাধারণভাবে বেশিরভাগ জৈব এসিড দুর্বল প্রকৃতির হয়।
-
এগুলো নানা রকম ফল, সবজি ও খাদ্যদ্রব্যে স্বাভাবিকভাবে পাওয়া যায়।
-
তাই এগুলো সাধারণত খাওয়ার উপযোগী ও নিরাপদ।
-
উদাহরণ: ইথানয়িক এসিড (ভিনেগারে), টারটারিক এসিড (আঙুরে), এসিটিক এসিড, সাইট্রিক এসিড (লেবুতে), এসকরবিক এসিড (ভিটামিন–সি), ম্যালিক এসিড (আপেলে) ইত্যাদি।
শক্তিশালী এসিড
-
সাধারণত বেশিরভাগ অজৈব এসিড শক্তিশালী হয়ে থাকে।
-
এগুলো মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর ও বিষাক্ত।
-
তাই এসব এসিড খাওয়া যায় না।
-
উদাহরণ: হাইড্রোক্লোরিক এসিড, সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড ইত্যাদি।
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago
ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত গামা বিকিরণের উৎস কী?
Created: 1 month ago
A
আইসোটোন
B
আইসোটোপ
C
আইসোবার
D
আইসোমার
ক্যান্সারের চিকিৎসায় গামা রশ্মি ব্যবহার করা হয়, এবং এর উৎস হিসেবে বিশেষ ধরনের আইসোটোপ ব্যবহৃত হয়। আইসোটোপ হলো সেই পরমাণু, যাদের প্রোটনের সংখ্যা একই কিন্তু ভরসংখ্যা ভিন্ন। ক্যান্সারের চিকিৎসায় সাধারণত কোবাল্ট-৬০ (⁶⁰Co) আইসোটোপ ব্যবহৃত হয়।
⁶⁰Co থেকে নির্গত গামা রশ্মি টিউমারের কোষ ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এছাড়া, টিউমারের অবস্থান শনাক্ত করতেও এই তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, দ্বিতীয় পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি,রসায়ন, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
অ্যানোডে কোন বিক্রিয়া সম্পন্ন হয়?
Created: 1 month ago
A
জারণ
B
বিজারণ
C
প্রশমন
D
পানিযোজন
তড়িৎদ্বার (Electrical Terminal)
একটি তড়িৎ রাসায়নিক কোষ বা ব্যাটারিতে তড়িৎদ্বার হলো দুটি ধাতব বা গ্রাফাইটের পরিবাহী যন্ত্রাংশ, যা কোষের ইলেকট্রনকে প্রবেশ এবং নির্গমন করার পথ দেয়। অর্থাৎ, এক তড়িৎদ্বার ইলেকট্রনকে কোষে প্রবেশ করায় এবং অন্যটি ইলেকট্রন বের করে নেয়।
তড়িৎদ্বার কোষের ইলেকট্রনিক পরিবাহী ও ইলেকট্রোলাইটকে সংযুক্ত করে এবং কোষের বর্তনী পূর্ণ করে। একটি তড়িৎ রাসায়নিক কোষে দুইটি তড়িৎদ্বারের প্রয়োজন হয়:
১। অ্যানোড তড়িৎদ্বার
২। ক্যাথোড তড়িৎদ্বার
অ্যানোড তড়িৎদ্বার (Anode Terminal):
-
অ্যানোড হলো সেই তড়িৎদ্বার যা ব্যাটারির ধনাত্মক প্রান্তের সাথে যুক্ত থাকে।
-
এর মাধ্যমে ইলেকট্রন দ্রবণে থেকে বের হয়ে যায়।
-
অ্যানোডে জারণ (Oxidation) ঘটে, অর্থাৎ অ্যানায়নগুলো ইলেকট্রন ত্যাগ করে আধান মুক্ত হয়।
ক্যাথোড তড়িৎদ্বার (Cathode Terminal):
-
ক্যাথোড হলো সেই তড়িৎদ্বার যা ব্যাটারির ঋণাত্মক প্রান্তের সাথে যুক্ত থাকে।
-
এর মাধ্যমে ইলেকট্রন ব্যাটারি থেকে দ্রবণে প্রবেশ করে।
-
ক্যাথোডে বিজারণ (Reduction) ঘটে, অর্থাৎ ক্যাটায়নগুলো ইলেকট্রন গ্রহণ করে আধান মুক্ত হয়।
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago