গোয়েন্দা বিভাগে নিম্নের কোন রশ্মি ব্যবহৃত হয়?
A
বেকেরেল রশ্মি
B
গামা রশ্মি
C
X-রশ্মি
D
বিটা-রশ্মি
উত্তরের বিবরণ
এক্স-রশ্মি (রঞ্জন রশ্মি)
-
এক্স-রশ্মি আবিষ্কার করেন জার্মান পদার্থবিদ উইলহেলম রন্টজেন।
-
এটি আবিষ্কৃত হয় ১৮৯৫ সালে।
-
এক্স-রশ্মি আবিষ্কারের জন্য রন্টজেনকে ১৯০১ সালে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
-
এক্স-রশ্মি হলো তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের এক প্রকার।
-
এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রায় ১০⁻⁸ মি. থেকে ১০⁻¹³ মি. পর্যন্ত।
-
এক্স-রশ্মি উচ্চভেদন ক্ষমতাসম্পন্ন, অর্থাৎ কঠিন পদার্থের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে পারে।
এক্স-রশ্মির ব্যবহার
-
হীরক সনাক্তকরণ।
-
হাড়ে ফাটল বা দাগ শনাক্তকরণ, যেমন স্থানচ্যুত বা ভাঙা হাড়।
-
মানবদেহের ভিতরের অবস্থা নির্ণয়, যেমন ফুসফুস বা শরীরের ভেতরের ক্ষত।
-
গোয়েন্দা কাজে, যেমন কাঠের বাক্স বা চামড়ার ব্যাগে লুকানো বিস্ফোরক চিহ্নিত করা।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে বজ্রপাত ঘটে?
Created: 1 month ago
A
ট্রপোমণ্ডল (Troposphere)
B
স্ট্রাটোমণ্ডল (Stratosphere)
C
মেসোমণ্ডল (Mesosphere)
D
তাপমণ্ডল (Troposphere)
ট্রপোস্ফিয়ার এবং এর বৈশিষ্ট্য
বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে নিচের স্তরকে ট্রপোস্ফিয়ার বলা হয়। এখানে তাপীয় মিশ্রণ মুক্তভাবে ঘটে এবং দৈনন্দিন আবহাওয়ার সব ধরনের পরিবর্তন যেমন ঝড়, বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রপাতও ঘটে।
-
শব্দের উৎস: ট্রপোস্ফিয়ার নামটি গ্রিক শব্দ “ট্রপো (Tropo)” থেকে এসেছে, যার অর্থ হলো “পরিবর্তন”।
-
গঠন: এই স্তরে প্রায় ৭৮% নাইট্রোজেন, ২১% অক্সিজেন এবং ১% আর্গন, জলীয় বাষ্প ও কার্বন ডাই অক্সাইড থাকে।
-
উর্ধ্বসীমা: ট্রপোস্ফিয়ারের উপরের সীমাকে ট্রপোপজ বলা হয়। এই স্তরে বায়ুর উষ্ণতা প্রায় একরকম থাকে, তাই এটিকে সমতাপ অঞ্চলও বলা হয়।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
সুনামির (Tsunami) কারণ হলো-
Created: 2 months ago
A
আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত
B
ঘূর্ণিঝড়
C
চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ
D
সমুদ্র তলদেশের ভূমিকম্প
সুনামির কারণ হলো সমুদ্রের নিচে ভূমিকম্প হওয়া।
-
"সুনামি" শব্দটি জাপানি, যার অর্থ "বন্দরের ঢেউ" (tsu = বন্দর, nami = ঢেউ)।
-
এটি তখনই ঘটে, যখন সমুদ্রতলের নিচে খুব শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়।
-
ভূমিকম্পের ফলে পানিতে বড় ঢেউ সৃষ্টি হয়, যেটি তীরবর্তী অঞ্চলে দ্রুত আঘাত হানে।
-
প্রথম সুনামির তথ্য ইতিহাসে পাওয়া যায় খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ সালে।
উৎস: ভূগোল – ১ম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago
নিচের কোনটি ভাইরাসের (VIRUS) জন্য সত্য নয়?
Created: 1 month ago
A
ডিএনএ বা আরএনএ থাকে
B
শুধুমাত্র জীবদেহের অভ্যন্তরে সংখ্যাবৃদ্ধি করে
C
স্ফটিক দানায় রূপান্তরিত (CRYSTALIZATION)
D
রাইবোজোম (Ribosome) থাকে
ভাইরাসের জীব বৈশিষ্ট্য
-
ভাইরাসের ভেতরে জেনেটিক উপাদান হিসেবে DNA অথবা RNA থাকে।
-
এরা নিজে থেকে সংখ্যা বাড়াতে পারে না; কেবলমাত্র পোষক জীবের কোষের ভেতর প্রবেশ করলে বৃদ্ধি পায়।
-
ভাইরাসকে স্ফটিক বা ক্রিস্টালে রূপান্তর করা সম্ভব।
-
এদের মধ্যে জেনেটিক রিকম্বিনেশন বা বংশগত উপাদানের বিন্যাস পরিবর্তন হতে দেখা যায়।
-
ভাইরাসে মিউটেশন বা পরিবর্তন ঘটে এবং নতুন নতুন প্রকরণ (ভ্যারাইটি) তৈরি হয়।
-
একবার ভাইরাস সৃষ্টি হলে, সেটি তার মূল বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে অনুরূপ ভাইরাস উৎপন্ন করতে সক্ষম।
ভাইরাসের জড় বৈশিষ্ট্য
-
ভাইরাস আসলে অকোষীয় কণা; এদের সাইটোপ্লাজম, কোষ ঝিল্লি, মাইটোকন্ড্রিয়া, রাইবোসোম বা নিউক্লিয়াসের মতো কোনো কোষীয় গঠন নেই।
-
ভাইরাসের এনজাইম নেই, তাই এরা খাদ্য গ্রহণ, পরিপাক বা শক্তি উৎপাদনের মতো বিপাকীয় কাজ করতে পারে না।
-
ভাইরাস কখনোই নিজের থেকে প্রজনন করতে পারে না; এ কাজের জন্য সবসময় অন্য জীবন্ত কোষের ওপর নির্ভরশীল।
-
এদেরকে রাসায়নিক কণার মতোই কেলাসিত, সেন্ট্রিফিউজ, ব্যাপন, পানিতে মিশিয়ে সাসপেনশন তৈরি এবং তলানি করা যায়।
-
জীবকোষের বাইরে ভাইরাস একেবারে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে।
উৎস: উদ্ভিদবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago