একটি সম্পূর্ণ মঙ্গলকাব্যের সাধারণত কয়টি অংশ থাকে?
A
২টি
B
৪টি
C
৫টি
D
৬টি
উত্তরের বিবরণ
মঙ্গলকাব্য:
- মঙ্গলকাব্য মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের এক বিশেষ ধারা। দেবমাহাত্ম্যমূলক সমাজচিত্রভিত্তিক এ কাব্যই বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও নিজস্ব কাহিনীকাব্য। এ কাব্য পাঠ বা শ্রবণ করলে সকল প্রকার অকল্যাণ নাশ ও সর্ববিধ মঙ্গল লাভ হয় এরূপ ধারণা থেকেই এর নাম হয়েছে মঙ্গলকাব্য।
- পনের থেকে আঠারো শতকের শেষ অবধি এই ধারার কাব্য বাংলায় রচিত হয়।- মঙ্গলকাব্যের প্রধান শাখা ৩টি। যথা: মনসামঙ্গল, চণ্ডীমঙ্গল, অন্নদামঙ্গল।
একটি সম্পূর্ণ মঙ্গলকাব্যে সাধারণত ৫টি অংশ থাকে।
যথা:
- বন্দনা,
- আত্মপরিচয়,
- দেবখণ্ড,
- মর্ত্যখণ্ড,
- শ্রুতিফল।

0
Updated: 1 month ago
১) কোনটি পৌরাণিক শ্রেণিভুক্ত মঙ্গলকাব্য?
Created: 2 months ago
A
মনসামঙ্গল
B
কালিকামঙ্গল
C
গৌরীমঙ্গল
D
সারদামঙ্গল
গৌরীমঙ্গল
গৌরীমঙ্গল হলো পৌরাণিক শ্রেণিভুক্ত একটি মঙ্গলকাব্য।
মঙ্গলকাব্য সম্পর্কে
-
বাংলা সাহিত্যের নানা ধরনের কাব্যে মঙ্গল শব্দের ব্যবহার থাকলেও, কেবল বাংলা লৌকিক দেবতাদের নিয়ে রচিত কাব্যকেই প্রকৃত অর্থে মঙ্গলকাব্য বলা হয়।
-
শ্রেণিগতভাবে মঙ্গলকাব্যকে মূলত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়:
-
পৌরাণিক মঙ্গলকাব্য
-
লৌকিক মঙ্গলকাব্য
-
পৌরাণিক শ্রেণির মঙ্গলকাব্য
উল্লেখযোগ্য উদাহরণ:
-
গৌরীমঙ্গল
-
ভবানীমঙ্গল
-
দুর্গামঙ্গল
-
অন্নদামঙ্গল
-
কমলামঙ্গল
-
গঙ্গামঙ্গল
-
চণ্ডিকামঙ্গল ইত্যাদি
লৌকিক শ্রেণির মঙ্গলকাব্য
উল্লেখযোগ্য উদাহরণ:
-
শিবায়ন বা শিবমঙ্গল
-
মনসামঙ্গল
-
চণ্ডীমঙ্গল
-
কালিকামঙ্গল (বা বিদ্যাসুন্দর)
-
শীতলামঙ্গল
-
রায়মঙ্গল
-
ষষ্ঠীমঙ্গল
-
সারদামঙ্গল
-
সূর্যমঙ্গল প্রভৃতি
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 2 months ago
বাইশা কী?
Created: 5 days ago
A
বাইশনল গ্রামের বাসিন্দা একজন কবি
B
মধ্যযুগের কাব্যে বাসিন্দা অর্থে ব্যবহৃত শব্দ
C
মৈমনসিংহ গীতিকায় ভেসে আসা অর্থে ব্যবহৃত শব্দ
D
বাইশ কবির মনসামঙ্গল কাব্য
বাইশা বলতে বোঝায় এমন একটি সংকলন যেখানে বাইশজন কবি রচিত মনসামঙ্গলের বিভিন্ন অংশ একত্রিত করা হয়েছে। এটি মূলত মনসামঙ্গলের নানা রূপ ও আঞ্চলিক বৈচিত্র্যকে একই জায়গায় উপস্থাপন করে।
-
“বাইশা” শব্দটি এসেছে “বাইশ” অর্থাৎ সংখ্যা ২২ থেকে, যা সংকলনের কবিদের সংখ্যাকে নির্দেশ করে।
-
এতে প্রতিটি কবির রচিত অংশে মনসার পূজা, জীবনকাহিনি ও ভক্তদের বিভিন্ন উপাখ্যান বর্ণিত হয়েছে।
-
এই সংকলনের মাধ্যমে বাংলা কাব্যধারায় মনসামঙ্গলের বৈচিত্র্যপূর্ণ আখ্যান ও আঞ্চলিক রূপ সংরক্ষিত হয়েছে।

0
Updated: 5 days ago
কোন মঙ্গলকাব্যে চাঁদ সওদাগরের বাণিজ্যিক অভিযান ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের জীবনধারা বর্ণিত হয়েছে?
Created: 3 weeks ago
A
ধর্মমঙ্গল
B
চণ্ডীমঙ্গল
C
কালিকামঙ্গল
D
মনসামঙ্গল
• সঠিক উত্তর: ঘ) মনসামঙ্গল
মঙ্গলকাব্য ও মনসামঙ্গল সম্পর্কিত আলোচনা:
-
মঙ্গলকাব্য বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা, যা মধ্যযুগে (প্রায় ১৩শ থেকে ১৮শ শতাব্দী) রচিত হয়।
-
এই কাব্যগুলো সাধারণত দেব-দেবীর গুণকীর্তন ও পূজার প্রচারের উদ্দেশ্যে রচিত হলেও এতে সমকালীন সমাজ, সংস্কৃতি, ও জীবনযাত্রার প্রতিফলন দেখা যায়।
মনসামঙ্গল কাব্য:
-
দেবী মনসার পূজা ও গুণকীর্তন নিয়ে রচিত।
-
কাব্যের প্রধান চরিত্র: চাঁদ সওদাগর, একজন ধনী বণিক, যিনি বাণিজ্যিক অভিযানের জন্য বিখ্যাত।
-
কাহিনী: চাঁদ সওদাগরের সমুদ্রযাত্রা, বাণিজ্য, মনসা দেবীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব, এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের জীবন ও ধর্মীয় বিরোধ।
-
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র: সাপের দেবী মনসা, বেহুলা, লখিন্দর, সনকা।
মনসামঙ্গল কাব্যের বিশেষত্ব:
-
চাঁদ সওদাগরের বাণিজ্যিক অভিযান: সমুদ্রযাত্রার বিপদ, সম্পদ, ও প্রভাবের বর্ণনা।
-
সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ: উচ্চবর্গ (বণিক), নিম্নস্তর (মাঝি, কৃষক), পারিবারিক জীবন, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব।
অন্য অপশন সংক্ষেপে:
-
ধর্মমঙ্গল: ধর্মঠাকুরের ভক্তি ও আধ্যাত্মিক বিষয়বস্তু; চাঁদ সওদাগর নেই।
-
চণ্ডীমঙ্গল: দেবী চণ্ডীর পূজা ও গুণকীর্তন; কালকেতু ও ফুল্লরার গল্প প্রধান।
-
কালিকামঙ্গল: দেবী কালির মাহাত্ম্য বর্ণনা; চাঁদ সওদাগর চরিত্র নয়।

0
Updated: 3 weeks ago