বাংলা সাহিত্যের কোন দুই কবির মধ্যবর্তী সময়কে যুগসন্ধি বলা হয়?
A
মধুসূদন দত্ত - রবীন্দ্রনাথ
B
কায়কোবাদ - ঈশ্বরচন্দ্র
C
ভারতচন্দ্র - মধুসূদন দত্ত
D
মধুসূদন - কাজী নজরুল ইসলাম
উত্তরের বিবরণ
• বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর (মৃত্যু: ১৭৬০ খ্রিষ্টাব্দ) এবং মাইকেল মধুসূদন দত্তের (জন্ম: ১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দ) মধ্যবর্তী সময়কে যুগসন্ধি বলা হয়। এই সময়টি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে "অবক্ষয় যুগ" বা "যুগ সন্ধিক্ষণ" নামে পরিচিত।
• যুগসন্ধিক্ষণের কবি:
- ১৮০১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগ সূচিত হলেও বাংলা কাব্যসাহিত্যে ১৮৬১ খ্রিষ্টাব্দে 'মেঘনাদবধ কাব্য' রচিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত প্রকৃত অর্থে আধুনিকতা আরম্ভ হয় নি।
- এই ষাট বছর (১৮০১-১৮৬১) কাব্যে আধুনিকতায় পৌছার চেষ্টা চলেছে মাত্র।
- ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের জীবৎকাল ১৮১২ থেকে ১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দ।
- তিনি বড় হয়েছেন কলকাতার নাগরিক পরিবেশে।
- সাংবাদিকতার পাশাপাশি কবিতাচর্চায় তিনি এ সময় মধ্যযুগের দেবদেবীর কথা বা কাহিনি নির্ভর কাব্যরচনা বর্জন করে ব্যক্তি অভিজ্ঞতায় ছোট ছোট কবিতা লেখা শুরু করেন।
- তপ্সে মাছের মতো সামান্য প্রাণীও তাঁর কাব্যের বিষয়বস্তু হয়।
- তাঁর কবিতায় সমাজসচেতনতা বিশেষ করে মাতৃভূমির প্রতি দরদ অর্থাৎ দেশাত্মবোধ স্পষ্ট দেখা যায়।
- আবার কবিওয়ালাদের কাব্য ঢঙ, পয়ার ও ত্রিপদীর ব্যবহারও তাঁর কবিতায় ব্যাপকভাবে লক্ষযোগ্য।
- আসলে মধ্যযুগের শেষ প্রতিনিধি ভারতচন্দ্র এবং আধুনিক যুগের প্রথম পুরুষ মাইকেল মধুসূদন- এই দুই মনীষীর মধ্যবর্তীকালে ঈশ্বর গুপ্তের আবির্ভাব।
- তাঁর মধ্যে মধ্যযুগের কাব্য- বৈশিষ্ট্য ও আধুনিক যুগের সূচনা-বৈশিষ্ট্য দেখে তাকে যুগসন্ধিক্ষণের কবি বলা হয়।

0
Updated: 1 month ago
বিখ্যাত 'ভক্তপ্রসাদ বাবু' চরিত্রের স্রষ্টা কে?
Created: 4 weeks ago
A
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
D
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ হলো মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত একটি প্রহসন, যা প্রাথমিকভাবে ‘ভগ্ন-শিবমন্দির’ নামে পরিচিত ছিল।
-
প্রহসনের মূলকাহিনী: এক লম্পট জমিদারের আচরণ-ব্যবহার এবং দরিদ্র প্রজাদের দ্বারা তাকে উচিত শিক্ষা প্রদান।
উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ:
-
ভক্তপ্রসাদ বাবু
-
পঞ্চানন বাচস্পতি
-
গদাধর
-
পুঁটি
-
ফতেমা
মধুসূদন দত্তের অন্যান্য প্রহসন:
-
একেই কি বলে সভ্যতা

0
Updated: 4 weeks ago
আলাওল রচিত 'পদ্মাবতী' একটি-
Created: 2 weeks ago
A
মৌলিক কাব্য
B
অনুবাদ কাব্য
C
উপন্যাস
D
মহাকাব্য
‘পদ্মাবতী’ কাব্য:
-
পদ্মাবতী কবি আলাওলের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ কাব্য।
-
এটি মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় প্রণয়কাব্য।
-
কাব্যটি প্রখ্যাত হিন্দি কবি মালিক মুহাম্মদ জায়সির ‘পদুমাবৎ’ কাব্যের অনুবাদ।
-
রচনা সাল ও প্রেক্ষাপট: ১৬৫১ সালে আরাকান রাজ সাদ থদোমিন্তার রাজত্বকালে, মন্ত্রী মাগন ঠাকুরের আদেশে রচিত।
-
কাব্যের কাঠামো: দুইটি পর্ব:
১. সিংহলের রাজকন্যা পদ্মাবতীকে লাভ করার জন্য চিতোররাজ রত্নসেনের সফল অভিযান
২. পদ্মাবতীকে লাভের জন্য দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজির ব্যর্থ সামরিক অভিযান
আলাওল:
-
মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি।
-
পদ্মাবতী তাঁর প্রথম ও শ্রেষ্ঠ কাব্য।
আলাওলের অন্যান্য বিখ্যাত গ্রন্থ:
-
পদ্মাবতী
-
তোহফা
-
সপ্তপয়কার
-
সিকান্দারনামা
-
সয়ফুল্মুলুক বদিউজ্জামাল
-
সতীময়না
-
রগতালনামা ইত্যাদি

0
Updated: 2 weeks ago
মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর কোন গ্রন্থটি ভূদেব মুখোপাধ্যায়কে উৎসর্গ করেছেন?
Created: 1 week ago
A
বীরাঙ্গনা
B
ব্রজাঙ্গনা
C
হেক্টরবধ
D
মেঘনাদবধ
‘হেক্টরবধ’ (১৮৭১) হলো মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাংলা ভাষায় রচিত গদ্যভাষার প্রথম হোমারের ‘ইলিয়াড’ অনুবাদ, যা মূলত মহাকাব্যের প্রথম কয়েকটি সর্গের অনুবাদ। এই রচনাটি তিনি ১৮৬৭ সালে শুরু করেন, কিন্তু অসম্পূর্ণ অবস্থাতেই ১৮৭১ সালের ১লা সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়। এটি হোমারের মূল গ্রিক রচনার প্রথম বাংলা অনুবাদ হিসেবে পরিচিত। গ্রন্থটি বিশেষভাবে ভূদেব মুখোপাধ্যায়কে উৎসর্গ করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাব্যরচনা করেছেন—
-
‘মেঘনাদবধ কাব্য’ (১৮৬১)
-
এটি সংস্কৃত মহাকাব্য ‘রামায়ণ’ এর ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ কাহিনী অবলম্বন করে রচিত।
-
১৮৫৭ সালের সিপাহি বিপ্লবের স্বাধীনতামন্ত্রে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি রাবণকে নায়ক এবং রামকে খলনায়ক হিসেবে উপস্থাপন করেন।
-
এটি বাংলা সাহিত্যে আধুনিক মহাকাব্যের সূচনা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।
-
-
‘ব্রজাঙ্গনা’ (১৮৬১)
-
এটি রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক গীতিকাব্য, যা ওড্ জাতীয় গীতিকবিতা রূপে রচিত।
-
কাব্যটি তিনি দুই খণ্ডে ভাগ করার পরিকল্পনা করেছিলেন—বিরহ ও মিলন, কিন্তু ‘মিলন’ খণ্ডটি সম্পন্ন করতে পারেননি।
-
-
‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ (১৮৬২)
-
এটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের পত্রকাব্য, যা বাংলা সাহিত্যে প্রথমবার পত্রাকারে প্রকাশিত কাব্য হিসেবে ইতিহাসে স্থান পেয়েছে।
-
কাব্যটি মূলত প্রেম, বীরত্ব ও মানসিক আবেগের প্রকাশের মাধ্যমে পাঠককে আকৃষ্ট করে।
-
-
এই সব রচনার মাধ্যমে মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যে আধুনিক কাব্যধারা ও নতুন ভাবধারার সূচনা করেন।
-
তাঁর কাব্য ও অনুবাদ কাজ পশ্চিমা সাহিত্যধারার সংমিশ্রণ ঘটিয়ে বাংলা সাহিত্যে নবযুগের ভিত্তি স্থাপন করেছে।

0
Updated: 1 week ago