A
গদ্য কাব্য
B
মহাকাব্য
C
চম্পুকাব্য
D
নাট্যকাব্য
উত্তরের বিবরণ
'শূন্যপুরাণ':
- রামাই পণ্ডিত রচিত বৌদ্ধ ধর্মের তত্ত্বীয় গ্রন্থের নাম ‘শূন্যপুরাণ’।
- মূল গ্রন্থে ধর্মপূজার যে বিবরণ আছে তাতে বৌদ্ধধর্মের শূন্যবাদ ও হিন্দু লোকধর্মের মিশ্রণ ঘটেছে।
- শূন্যপুরাণ বিশেষভাবে ধর্মপূজা পদ্ধতি।
- কাব্যগ্রন্থটি ৫১ টি অধ্যায়ে বিভক্ত।
- শূন্যপুরাণ চম্পুকাব্যের নিদর্শন।
- গদ্য ও পদ্য মিশ্রিত কাব্যকে চম্পুকাব্য বলে।
- বিশ্বকোষ প্রণেতা নগেন্দ্রনাথ বসু তিনটি পুথির পাঠ সংগ্রহ করে ১৩১৪ বঙ্গাব্দে ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ’ থেকে শূন্যপুরাণ নামকরণ করে প্রকাশ করে।

0
Updated: 1 week ago
'সন্ধ্যাভাষা' কোন সাহিত্যকর্মের সঙ্গে যুক্ত?
Created: 14 hours ago
A
চর্যাপদ
B
পদাবলি
C
মঙ্গলকাব্য
D
রোমান্সকাব্য
চর্যাপদ
-
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন, যা “চর্যাগীতি” বা “চর্যাগীতিকোষ” নামেও পরিচিত।
-
এটি বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যসংকলন বা গানের সংকলন।
-
চর্যাপদের মূল বিষয়বস্তু বৌদ্ধধর্ম অনুযায়ী সাধনা ও ভজনের তত্ত্ব।
-
চর্যাপদে বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন।
-
১৯০৭ সালে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রয়েল লাইব্রেরি থেকে এটি আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদের ভাষাকে বলা হয় ‘সন্ধ্যা’ বা ‘সান্ধ্য ভাষা’, যা কখনও স্পষ্ট এবং কখনও অস্পষ্ট; তাই একে ‘আলো-আঁধারি ভাষা’ বলাও হয়।
-
প্রাচীন ছন্দে রচিত চর্যাপদের পদগুলোর আধুনিক বিশ্লেষণে মাত্রাবৃত্ত ছন্দ ধরা হয়েছে।
চর্যাপদ বিষয়ে গবেষণা
-
১৯২০ সালে বিজয়চন্দ্র মজুমদার চর্যাপদের ভাষা নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন।
-
১৯২৬ সালে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বৈজ্ঞানিকভাবে চর্যাপদের ধ্বনিতত্ত্ব, ব্যাকরণ ও ছন্দ বিশ্লেষণ করে প্রমাণ করেন যে, চর্যাপদ বাংলা ভাষায় রচিত।
-
এছাড়াও ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, ড. সুকুমার সেন, ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত চর্যাপদের ভাষা ও বিষয়বস্তু নিয়ে গবেষণা করেছেন।
-
১৯৪৬ সালে ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত চর্যাপদের সহজিয়ান প্রসঙ্গে অন্তর্নিহিত তত্ত্ব ব্যাখ্যা করেন।
-
বিহারের পণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়ন বৌদ্ধ সিদ্ধাচর্য, বৈদ্ধ সহজান এবং চর্যাগীতিকা নিয়ে ইংরেজি ও হিন্দিতে বিস্তৃত গবেষণা করেছেন।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম।

0
Updated: 14 hours ago
বাংলা সাহিত্যের জনক হিসেবে কার নাম চির স্মরণীয়?
Created: 1 week ago
A
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
B
রাজা রামমোহন রায়
C
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
D
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
বাংলা সাহিত্যের জনক বলতে কেউ নেই। প্রশ্নে ভুল আছে।
[প্রশ্নে ভুল থাকায় উত্তর গ্রহণ করা হয়নি।]
তবে বাংলা সাহিত্যের জনক হিসেবে মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাম চির স্মরণীয়। ✅
তাঁকে বাংলা সাহিত্যের নবজাগরণের পথিকৃৎ ও আধুনিক কাব্যের জনক বলা হয়।
(রাজা রামমোহন রায় – সমাজ সংস্কারক, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর – শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – উপন্যাস সম্রাট)।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 week ago
চর্যাপদ কোন ছন্দে লেখা ?
Created: 4 weeks ago
A
অক্ষরবৃত্ত
B
মাত্রাবৃত্ত
C
স্বরবৃত্ত
D
অমিত্রাক্ষর ছন্দ
চর্যাপদ
-
চর্যাপদের ভাষাকে বলা হয় ‘সন্ধ্যা’ বা ‘সান্ধ্য ভাষা’, কারণ এই ভাষা কখনো স্পষ্ট, আবার কখনো অস্পষ্ট।
-
তাই একে ‘আলো-আঁধারি ভাষা’ বলেও ডাকা হয়।
-
চর্যাপদের পদগুলো প্রাচীন ছন্দে লেখা হলেও, আজ আমরা ঠিকভাবে বলতে পারি না সেই ছন্দ কী ছিল। তবে আধুনিক ছন্দের দিক থেকে এগুলোকে মাত্রাবৃত্ত ছন্দে লেখা বলা যায়।
চর্যাপদ নিয়ে গবেষণা
-
ড. বিজয়চন্দ্র মজুমদার ১৯২০ সালে প্রথমবার চর্যাপদের ভাষা নিয়ে আলোচনা করেন।
-
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ১৯২৬ সালে বিশ্লেষণ করে বলেন যে চর্যাপদ বাংলা ভাষায় রচিত।
একই বছর তিনি ‘দি অরিজিন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অব দি বেঙ্গলি ল্যাংগুয়েজ’ বইতে বৈজ্ঞানিকভাবে চর্যাপদের ভাষার ধ্বনি, ব্যাকরণ ও ছন্দ বিশ্লেষণ করে প্রমাণ করেন যে চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন।
অনেক ভাষাবিজ্ঞানী তাঁর এই মতকে সমর্থন করেন। -
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী, ড. সুকুমার সেন, ড. শশিভূষণ দাশগুপ্ত- এঁরাও চর্যাপদের ভাষা ও বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করে বলেন যে, চর্যাপদ বাংলা ভাষায় লেখা।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ ১৯২৭ সালে চর্যাপদের ধর্মতত্ত্ব বিশ্লেষণ করেন।
-
ড. শশিভূষণ দাশগুপ্ত ১৯৪৬ সালে চর্যাপদের সহজযান বিষয়ক ভাব ব্যাখ্যা করেন।
-
বিহারের পণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়ন বৌদ্ধ সহজযান, সিদ্ধাচার্য ও চর্যাগীতিকা নিয়ে ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় অনেক গবেষণা করেন।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম।

1
Updated: 4 weeks ago