A
মুনিদত্ত
B
কীর্তিচন্দ্র
C
কানাহরি দত্ত
D
প্রবোধচন্দ্র বাগচী
উত্তরের বিবরণ
• চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
- ১৯৩৮ সালে ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি ভাষার অনুবাদ আবিষ্কার করেন এবং তা প্রকাশ করে চর্যার জট উন্মোচন করেন।
• চর্যাপদ:
- চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা সংকলন/ গানের সংকলন।
- এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
- ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে এটি আবিষ্কার করেন।
- চর্যাপদের চর্যাগুলো রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
- চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের কথা বলা হয়েছে।
- চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
- ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি ভাষার অনুবাদ আবিষ্কার করেন।

0
Updated: 1 week ago
চর্যাপদ কত সালে আবিষ্কৃত হয়?
Created: 2 weeks ago
A
১৯০৭ সালে
B
১৯০৯ সালে
C
১৯১৩ সালে
D
১৯১৬ সালে
চর্যাপদ
-
আবিষ্কার: ১৯০৭ সালে ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে আবিষ্কার করেন।
-
সংজ্ঞা: বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ / কবিতা সংকলন / গানের সংকলন।
-
সাহিত্যিক গুরুত্ব: বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
রচয়িতা: চর্যাগুলো রচনা করেছেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
-
বিষয়বস্তু: চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের কথা উল্লেখিত।
-
অনুবাদ: চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
- ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতী অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 weeks ago
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ সম্পাদিত চর্যাপদ বিষয়ক গ্রন্থের নাম কী?
Created: 5 days ago
A
Buddhist Mystic Songs
B
চর্যাগীতিকা
C
চর্যাগীতিকোষ
D
হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষার বৌদ্ধগান ও দোহা
চর্যাপদ
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর পর্যবেক্ষণ:
-
চর্যাপদ নিয়ে তার রচিত গ্রন্থের নাম “Buddhist Mystic Songs”।
-
তার মতে, চর্যাপদ ৬৫০-১২০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রচিত।
-
এই গ্রন্থে চর্যাপদের ২৩ জন কবির নাম পাওয়া যায়।
-
এছাড়া চর্যাপদের ধর্মতত্ত্ব এবং বৌদ্ধধর্মের প্রভাবও আলোচিত হয়েছে।
অন্য গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ ও গবেষকরা:
-
“চর্যাগীতিকা” গ্রন্থের রচয়িতা: মুহম্মদ আবদুল হাই।
-
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী রচিত গ্রন্থ: “হাজার বছরের পুরান বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা”।
চর্যাপদ
-
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম গ্রন্থ এবং বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
সুকুমার সেনের “বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস” (প্রথম খন্ড) অনুযায়ী চর্যাপদের ২৪ জন পদকর্তার নাম পাওয়া যায়।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর Buddhist Mystic Songs গ্রন্থে ২৩ জন কবির নাম উল্লেখ আছে।
-
চর্যাপদের প্রথম পদটির রচয়িতা হলেন লুইপা।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে চর্যাপদের মোট পদ সংখ্যা ৫০, তবে সুকুমার সেনের মতে ৫১টি।
-
চর্যাপদের পদগুলো বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন।
-
বিষয়বস্তু প্রধানত বৌদ্ধধর্ম সংক্রান্ত।
-
প্রধান কবিরা: সরহপা, শবরপা, লুইপা, ডোম্বীপা, ভুসুকুপা, কাহ্নপা, কুক্কুরীপা, মীনপা, আর্যদেব, ঢেণ্ঢনপা ইত্যাদি।
-
কাহ্নপা সর্বোচ্চ ১৩টি পদ রচনা করেছেন।
-
ভুসুকুপা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, ৮টি পদ রচনা করেছেন।
-
চর্যাপদে রচিত পদগুলো সন্ধ্যা বা সান্ধ্যাভাষায় লেখা।
-
২৩ নং পদটি খণ্ডিত আকারে পাওয়া যায়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 5 days ago
৮) হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতে চর্যাপদের ভাষা কেমন?
Created: 2 weeks ago
A
সরল ও বোধগম্য
B
পূর্ণরূপে অন্ধকার
C
আলো আঁধারি ভাষা
D
সর্বজনবোধ্য ভাষা
চর্যাপদের ভাষা — সন্ধ্যাভাষা
সন্ধ্যাভাষা কী
-
চর্যাপদের ভাষাকে কেউ কেউ সন্ধ্যাভাষা বা সন্ধাভাষা বলেছেন।
-
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চর্যার ভাষা সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন—
“আলো আঁধারি ভাষা, কতক আলো, কতক অন্ধকার, খানিক বুঝা যায়, খানিক বুঝা যায় না। যাঁহারা সাধন-ভজন করেন, তাঁহারাই সে কথা বুঝিবেন, আমাদের বুঝিয়া কাজ নাই।”
এই কারণেই তিনি একে সন্ধ্যাভাষা বলেছেন। -
তবে তত্ত্বজ্ঞানীদের কাছে চর্যার ভাষা অবোধ্য নয়, তাই এই ব্যাখ্যা সর্বজনীনভাবে সমর্থনযোগ্য নয়।
অন্য মতামত ও ব্যবহার
-
মুনিদত্ত তাঁর টীকায় সন্ধাভাষ, সন্ধাভাষা, সন্ধ্যাবচন, সন্ধ্যাসংকেত, সন্ধ্যা, ও ব্যাজ—এই শব্দগুলো চর্যার রূপকাশ্রিত দুর্বোধ্য অংশ বা প্রতীকী ভাষার ব্যাখ্যায় বারবার ব্যবহার করেছেন।
-
কারও মতে, ‘সন্ধ্যাদেশ’ নামে পরিচিত বিশেষ অঞ্চলের ভাষার সঙ্গে চর্যাপদের ভাষার মিল থাকায় এই নাম হয়েছে।
-
তিব্বতি ভাষায় সন্ধ্যাভাষা বলতে বোঝায়—প্রহেলিকাচ্ছলে প্রকাশিত দুরূহ তত্ত্বের ব্যাখ্যা।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 2 weeks ago