প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নিম্নের কোন পর্যায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ সবচেয়ে ফলপ্রসূ হবে?
A
কমিউনিটি পর্যায়ে
B
জাতীয় পর্যায়ে
C
উপজেলা পর্যায়ে
D
আঞ্চলিক পর্যায়ে
উত্তরের বিবরণ
কমিউনিটি ভিত্তিক ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
-
কমিউনিটি ভিত্তিক উদ্যোগ:
জাতীয়, উপজেলা বা আঞ্চলিক পর্যায়ের ব্যবস্থার তুলনায় কমিউনিটি পর্যায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ বেশি কার্যকর। কারণ এতে স্থানীয় জনগণ সরাসরি অংশগ্রহণ করে এবং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সহজ হয়।
এছাড়াও, ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতার চেয়ে দলগতভাবে মানুষকে সচেতন করা বেশি ফলপ্রসূ।
উপকূলীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগের চিত্র
-
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল প্রায় ৭১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ।
-
এখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন: সমুদ্র সমতলের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং নদীভাঙন নিয়মিত ক্ষতি সৃষ্টি করে।
-
তাই দুর্যোগ মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উপকূলীয় জনগণের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মূল পদ্ধতি
১. সতর্কবার্তা প্রচার: আবহাওয়ার তথ্যভিত্তিক পূর্বাভাস এবং সতর্কবার্তা সময়মতো জনগণের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া।
২. ভূ-উপগ্রহ ও রাডার বিশ্লেষণ: বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও স্পারসো সংস্থা উপগ্রহ চিত্র ও রাডার চিত্র ব্যবহার করে পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ উন্নত করা।
৩. বন্যা পূর্বাভাস: পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র থেকে বন্যার পূর্বাভাস কার্যক্রম উন্নয়ন করা।
৪. ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি: সরকারি সংস্থা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব ও পরবর্তী সতর্কীকরণ, উদ্ধার ও পুনর্বাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
৫. সামরিক সহযোগিতা: জরুরি সময়ে চিকিৎসা, উদ্ধার, ত্রাণ বিতরণ ও পুনর্বাসনে সামরিক বাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সাহায্য করে।
৬. মিডিয়ার ভূমিকা: বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন দুর্যোগ সংক্রান্ত সতর্কবার্তা প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৭. বেসরকারি সংস্থার অবদান: অক্সফাম, ডিজাস্টার ফোরাম, কেয়ার বাংলাদেশ, কারিতাস, প্রশিকা, সিসিডিবি, বিডিপিসি এবং রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
UDMC-এর পূর্ণরূপ হলাে:
Created: 1 month ago
A
United Disaster Management Centre
B
Union Disaster Management Committee
C
Union Disaster Management Centre
D
None of the above
UDMC বা Union Disaster Management Committee ইউনিয়ন পর্যায়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে এবং বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েকজন সদস্য নিয়ে গঠিত হয়।
কমিটি মূলত দুর্যোগ ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ, পূর্বপ্রস্তুতি, সতর্কতা প্রদান, উদ্ধার ও পুনরুদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে। স্বাভাবিক সময়ে প্রতি মাসে অন্তত একবার UDMC এর সভা অনুষ্ঠিত হয়।
-
গঠন: UDMC-এর সদস্যরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, এনজিও কর্মকর্তা, দুর্যোগে প্রভাবিত গোষ্ঠীর প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব এবং ইউনিয়ন পরিষদের সচিব।
-
কার্যক্রম: স্বাভাবিক সময়ে একটি করে সভা অনুষ্ঠিত হয়, তবে দুর্যোগকালীন সময়ে একাধিক সভার মাধ্যমে পরিস্থিতি মূল্যায়ন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
বাংলাদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার পূর্ণরূপ:
-
NDMC: National Disaster Management Council
-
NDMAC: National Disaster Management Advisory Committee
-
DDMC: District Disaster Management Committee
-
UZDMC: Upazila Disaster Management Committee

0
Updated: 1 month ago
সুন্দরবনে বাঘ গণনায় ব্যবহৃত হয় -
Created: 1 month ago
A
পাগ-মার্ক
B
ফুটমার্ক
C
GIS
D
কোয়ার্ডবেট
সুন্দরবনের বাঘ গণনা পদ্ধতি
সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বনভূমি। এর মোট আয়তন প্রায় ১০,০০০ বর্গকিলোমিটার। বাংলাদেশে সুন্দরবনের বিস্তৃত এলাকা আয়তন প্রায় ৬,০১৭ বর্গকিলোমিটার, যা বনটির মোট আয়তনের প্রায় ৬২%।বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলা সুন্দরবনের সঙ্গে সংলগ্ন।
সুন্দরবনের প্রধান বৃক্ষ হলো সুন্দরী, যার নাম থেকেই বনের নামকরণ হয়েছে। এছাড়া এখানে গরান, গেওয়া, কেওড়া, ধুন্দল, গোলপাতা ইত্যাদি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ গাছ পাওয়া যায়। ১৮৭৮ সালে পুরো সুন্দরবন সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ৭ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো সুন্দরবনকে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে ৭৯৮তম World Heritage Site ঘোষণা করে।
সুন্দরবনের বাঘ পর্যবেক্ষণের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো পাগ-মার্ক পদ্ধতি (পায়ের ছাপ দিয়ে গণনা)। তবে এই পদ্ধতিতে ভুলের সম্ভাবনা বেশি থাকে। বর্তমানে ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতি সবচেয়ে নির্ভরযোগ্যভাবে বাঘ গণনার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে, এবং প্রায় সব দেশ এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করে।
উৎস: বাংলাদেশ বনবিভাগ ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago
ভারতীয় কোন রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের কোনো সীমান্ত নেই?
Created: 1 month ago
A
আসাম
B
মিজোরাম
C
ত্রিপুরা
D
নাগাল্যান্ড
ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত
-
নাগাল্যান্ডের সীমান্ত:
ভারতের নাগাল্যান্ড রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ সরাসরি কোনো সীমান্ত ভাগাভাগি করে না। -
সেভেন সিস্টার্স (Seven Sisters):
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যকে একত্রে “সেভেন সিস্টার্স” বলা হয়।-
এই রাজ্যগুলো হলো: আসাম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা এবং মিজোরাম।
-
-
বাংলাদেশের সঙ্গে সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলোর সীমান্ত:
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের মোট ৫টি রাজ্যের সীমান্ত আছে, যার মধ্যে সেভেন সিস্টার্সের ৪টি রাজ্য রয়েছে।-
এই রাজ্যগুলো হলো:
-
আসাম
-
মেঘালয়
-
ত্রিপুরা
-
মিজোরাম
-
-
উল্লেখ্য: সেভেন সিস্টার্সভুক্ত মনিপুর, অরুণাচল প্রদেশ এবং নাগাল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশ কোনো সীমান্ত ভাগ করে না।
-
এছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অন্য একটি রাজ্য, যা বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে।
-
-
বাংলাদেশের সীমান্তে অন্যান্য তথ্য:
-
বাংলাদেশ মোট ৩২টি জেলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সীমান্তে যুক্ত।
-
ভারতের সঙ্গে: ৩০টি জেলা
-
মিয়ানমারের সঙ্গে: ৩টি জেলা
-
-
বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলা হলো একমাত্র জেলা, যার সঙ্গে উভয় দেশের (ভারত ও মিয়ানমার) সীমান্ত রয়েছে এবং এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা।
-
তথ্যসূত্র: Britannica, ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাস, জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 1 month ago