দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন কাজকে পর্যায়ক্রম অনুযায়ী সাজাতে হলে কোন কাজটি সর্বপ্রথমে হবে?
A
পুনর্বাসন
B
ঝুঁকি (Risk) চিহ্নিতকরণ
C
দুর্যোগ প্রস্তুতি
D
দুর্যোগ প্রশমন কর্মকাণ্ড
উত্তরের বিবরণ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
ঝুঁকি ও দুর্যোগ:
ঝুঁকি বলতে আমরা বুঝি কোনো আপদ বা বিপদের সম্ভাবনা, যা পরিবেশের সঙ্গে মানুষের বা সম্পদের পারস্পরিক সম্পর্কের কারণে ক্ষতি করতে পারে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সবচেয়ে প্রথম কাজ হলো এই ঝুঁকি চিহ্নিত করা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মূল লক্ষ্য:
-
দুর্যোগের ঝুঁকি কমানো।
-
সম্পদ ও পরিবেশে ক্ষতি এড়ানো বা ক্ষতির পরিমাণ কমানো।
-
প্রয়োজন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের দ্রুত ত্রাণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা।
-
দুর্যোগের পর পুনরুদ্ধার কাজ সুচারুভাবে সম্পন্ন করা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত আইন ও নীতিমালা:
-
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২
-
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০১৫
-
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (NPDM) ২০২১–২০২৫
-
বাংলাদেশ দ্বীপ পরিকল্পনা, ২১০০
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি, একাদশ শ্রেণির ভূগোল, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি জলজ উদ্ভিদ নয়?
Created: 1 month ago
A
হিজল
B
করচ
C
ডুমুর
D
গজারী
জলজ উদ্ভিদ
-
জলজ উদ্ভিদগুলো সহজে পানিতে ভাসতে পারে কারণ এদের কাণ্ডে অনেক বায়ু কুঠুরী (air cavities) থাকে।
-
অধিকাংশ জলজ উদ্ভিদের কাণ্ড ফাঁপা ও হালকা, যা ভাসতে সাহায্য করে।
-
এই বায়ু কুঠুরী পানিতে ভাসতে সাহায্য করার পাশাপাশি অক্সিজেনও সংরক্ষণ করে।
-
উদাহরণ: করচ, হিজল, ডুমুর।
সালোকসংশ্লেষণ সম্পর্কিত তথ্য:
-
জলজ উদ্ভিদ পানিতে দ্রবীভূত কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂) গ্রহণ করে।
-
বায়ুমণ্ডলে CO₂ মাত্র ০.০৩%, কিন্তু পানিতে ০.৩% থাকে। তাই জলজ উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ হার স্থলজ উদ্ভিদের তুলনায় বেশি।
গজারী (শাল)
-
গজারীর অপর নাম শাল।
-
গাছ কাটার পর গোড়া থেকে নতুন চারা জন্মায়, এজন্য গজারী নামটি এসেছে বলে ধারণা করা হয়।
-
লাল মাটির পাহাড় ও ছোট টিলা জমিতে ভালো জন্মায়।
-
গজারী জলজ উদ্ভিদ নয় এবং পানিতে বেশি দিন বাঁচতে পারে না।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
COP 26-এ COP মানে কী?
Created: 2 weeks ago
A
কনফারেন্স অব প্যারিস
B
কনফারেন্স অব দ্য পাওয়ার
C
কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস
D
কনফারেন্স অব দ্য প্রটোকল
The United Nations Framework Convention on Climate Change (UNFCCC) হলো একটি বৈশ্বিক চুক্তি যা পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গৃহীত হয়। নিচে এর মূল তথ্য তুলে ধরা হলো:
-
Adoption: UNFCCC গৃহীত হয় ১৯৯২ সালের ৩–১৪ জুন ব্রাজিলের Rio de Janeiro শহরে অনুষ্ঠিত The United Nations Conference on Environment and Development (Earth Summit) এ।
-
Entry into force: এটি কার্যকর হয় ১৯৯৪ সালের ২১ মার্চ।
-
Membership: বর্তমানে এর ১৯৭টি দেশ অংশীদার রাষ্ট্র হিসেবে যুক্ত আছে।
-
Conference of Parties (CoP): চুক্তির বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতিবছর Conference of Parties (CoP) অনুষ্ঠিত হয়। এতে UNFCCC-তে স্বাক্ষরকারী দেশসমূহ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা অংশগ্রহণ করে।

0
Updated: 2 weeks ago
বাংলাদেশের কোথায় প্লাইস্টোসিন কালের সোপান দেখা যায়?
Created: 1 month ago
A
বান্দরবান
B
কুষ্টিয়া
C
কুমিল্লা
D
বরিশাল
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি মূলত তিনটি ভাগে বিভক্ত, যা গঠনের সময়কাল ও ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়েছে। এই বিভাজনের মধ্যে অন্যতম হলো প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ, যা দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌম বৈশিষ্ট্য হিসেবে পরিচিত।
-
ভূপ্রকৃতি অনুযায়ী বাংলাদেশকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়: টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ, প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ এবং সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি।
-
প্লাইস্টোসিনকাল বলতে আনুমানিক ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কালকে বোঝানো হয়।
-
এই অঞ্চলের মাটি সাধারণত লাল ও ধূসর রঙের হয়ে থাকে।
-
বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশের বরেন্দ্রভূমি, মধ্যভাগের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়, এবং কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড় বা উচ্চভূমি প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহের অন্তর্ভুক্ত।
-
ধারণা করা হয়, এই সমস্ত উচ্চভূমি প্লাইস্টোসিনকালে গঠিত হয়েছিল।

0
Updated: 1 month ago