A
পুনর্বাসন
B
ঝুঁকি (Risk) চিহ্নিতকরণ
C
দুর্যোগ প্রস্তুতি
D
দুর্যোগ প্রশমন কর্মকাণ্ড
উত্তরের বিবরণ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
ঝুঁকি ও দুর্যোগ:
ঝুঁকি বলতে আমরা বুঝি কোনো আপদ বা বিপদের সম্ভাবনা, যা পরিবেশের সঙ্গে মানুষের বা সম্পদের পারস্পরিক সম্পর্কের কারণে ক্ষতি করতে পারে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সবচেয়ে প্রথম কাজ হলো এই ঝুঁকি চিহ্নিত করা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মূল লক্ষ্য:
-
দুর্যোগের ঝুঁকি কমানো।
-
সম্পদ ও পরিবেশে ক্ষতি এড়ানো বা ক্ষতির পরিমাণ কমানো।
-
প্রয়োজন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের দ্রুত ত্রাণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা।
-
দুর্যোগের পর পুনরুদ্ধার কাজ সুচারুভাবে সম্পন্ন করা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত আইন ও নীতিমালা:
-
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২
-
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০১৫
-
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (NPDM) ২০২১–২০২৫
-
বাংলাদেশ দ্বীপ পরিকল্পনা, ২১০০
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি, একাদশ শ্রেণির ভূগোল, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নিম্নের কোন পর্যায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ সবচেয়ে ফলপ্রসূ হবে?
Created: 1 week ago
A
কমিউনিটি পর্যায়ে
B
জাতীয় পর্যায়ে
C
উপজেলা পর্যায়ে
D
আঞ্চলিক পর্যায়ে
কমিউনিটি ভিত্তিক ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
-
কমিউনিটি ভিত্তিক উদ্যোগ:
জাতীয়, উপজেলা বা আঞ্চলিক পর্যায়ের ব্যবস্থার তুলনায় কমিউনিটি পর্যায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ বেশি কার্যকর। কারণ এতে স্থানীয় জনগণ সরাসরি অংশগ্রহণ করে এবং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সহজ হয়।
এছাড়াও, ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতার চেয়ে দলগতভাবে মানুষকে সচেতন করা বেশি ফলপ্রসূ।
উপকূলীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগের চিত্র
-
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল প্রায় ৭১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ।
-
এখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন: সমুদ্র সমতলের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং নদীভাঙন নিয়মিত ক্ষতি সৃষ্টি করে।
-
তাই দুর্যোগ মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উপকূলীয় জনগণের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মূল পদ্ধতি
১. সতর্কবার্তা প্রচার: আবহাওয়ার তথ্যভিত্তিক পূর্বাভাস এবং সতর্কবার্তা সময়মতো জনগণের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া।
২. ভূ-উপগ্রহ ও রাডার বিশ্লেষণ: বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও স্পারসো সংস্থা উপগ্রহ চিত্র ও রাডার চিত্র ব্যবহার করে পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ উন্নত করা।
৩. বন্যা পূর্বাভাস: পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র থেকে বন্যার পূর্বাভাস কার্যক্রম উন্নয়ন করা।
৪. ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি: সরকারি সংস্থা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব ও পরবর্তী সতর্কীকরণ, উদ্ধার ও পুনর্বাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
৫. সামরিক সহযোগিতা: জরুরি সময়ে চিকিৎসা, উদ্ধার, ত্রাণ বিতরণ ও পুনর্বাসনে সামরিক বাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সাহায্য করে।
৬. মিডিয়ার ভূমিকা: বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন দুর্যোগ সংক্রান্ত সতর্কবার্তা প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৭. বেসরকারি সংস্থার অবদান: অক্সফাম, ডিজাস্টার ফোরাম, কেয়ার বাংলাদেশ, কারিতাস, প্রশিকা, সিসিডিবি, বিডিপিসি এবং রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
বিশ্বব্যাংক অনুযায়ী ভবিষ্যতের জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় বিশ্ব সাহায্যের কত শতাংশ বাংলাদেশকে প্রদান করবে?
Created: 6 days ago
A
৩০%
B
৪০%
C
৫০%
D
৬০%
বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি এবং বিশ্ব সাহায্য
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলার জন্য প্রদত্ত বৈশ্বিক সাহায্যের ৩০% বাংলাদেশ পাবে।
বাংলাদেশে ঝুঁকির কারণ:
-
বাংলাদেশের একটি বড় অংশ সমুদ্রপৃষ্ঠের কাছাকাছি হওয়ায় উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের জীবন ও জীবিকা ঝুঁকিতে আছে।
-
দেশের ৬০% ভূমি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৫ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।
-
বিশ্বব্যাংকের সমীক্ষা অনুযায়ী প্রতি ৩–৫ বছরে দেশের দুই-তৃতীয়াংশ অঞ্চল বন্যার কবলে পড়ে।
-
এর ফলে অবকাঠামো, বাসস্থান, কৃষি ও জীবিকায় বড় ক্ষতি হয়।
-
উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকিতেও থাকে।
-
IPCC-এর অনুমান অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশের ১৭% ভূমি এবং ৩০% খাদ্য উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ:
২০১০ সালে বিশ্বব্যাংক প্রণীত ‘Economics of Adaptation to Climate Change: Bangladesh’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে শুধু ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশে ৫,৫১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ এবং ১১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আবর্তক ব্যয় প্রয়োজন।
উৎস: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২২

1
Updated: 6 days ago
সমুদ্রপৃষ্ঠ ৪৫cm বৃদ্ধি পেলে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে climate refugee হবে?
Created: 6 days ago
A
৩ কোটি
B
৩.৫ কোটি
C
৪ কোটি
D
৪.৫ কোটি
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও বাংলাদেশে সম্ভাব্য ফলাফল
মানুষের অতিরিক্ত গ্রিনহাউস গ্যাস (যেমন: কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড) নির্গমনের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ছে। এই পরিবর্তনের ফলে বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটছে, এবং স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছে।
বাংলাদেশ এ ধরনের ঝুঁকির মধ্যে সবচেয়ে অগ্রগামী। অন্যান্য দেশ এখনও বিপদের মুখোমুখি হয়নি, আমাদের দেশ ইতিমধ্যেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব অনুভব করছে।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুযায়ী:
-
আগামী ৫০ বছরে যদি সমুদ্রপৃষ্ঠ ৩ ফুট (প্রায় ৯১ সেন্টিমিটার) বৃদ্ধি পায়, তবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হবে এবং প্রায় ১৭% জমি পানির নিচে চলে যেতে পারে।
-
আনুমানিক ৩–৩.৫ কোটি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে জলবায়ু উদ্বাস্তু হয়ে যেতে পারেন।
-
ইন্টারন্যাশনাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (IPCC) জানিয়েছে, ২০৩০ সালের পর নদীর জল প্রবাহ কমতে পারে, ফলে এশিয়ায় পানির ঘাটতি দেখা দেবে। ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
-
উচ্চ তাপমাত্রার কারণে বন্যা, ঝড়, অনাবৃষ্টি ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি আরও বাড়বে। এই প্রভাব ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে অনুভূত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও তীব্র হবে।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
সমুদ্রপৃষ্ঠের মাত্রা ৪৫ সেন্টিমিটার বাড়লে বাংলাদেশের প্রায় ১০.৯% ভূমি প্লাবিত হবে।
-
এতে উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ৩.৫ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে।
উৎস: World Bank ওয়েবসাইট

1
Updated: 6 days ago