নিচের কোনটি আপদ (Hazard)-এর প্রত্যক্ষ প্রভাব?
A
অর্থনৈতিক
B
সামাজিক
C
পরিবেশগত
D
অবকাঠামোগত
উত্তরের বিবরণ
আপদ (Hazard)-এর প্রত্যক্ষ প্রভাব- অবকাঠামোগত।
আপদ (Hazard) ও এর প্রকারভেদ
আপদ (Hazard) হলো এমন একটি অস্বাভাবিক ঘটনা যা প্রাকৃতিক নিয়ম, কারিগরি ত্রুটি বা মানুষের ক্রিয়াকলাপের কারণে ঘটে এবং যার প্রভাব মানুষের জীবন, জীবিকা এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ওপর পড়ে। এ ধরনের ঘটনা মানুষের জন্য বিপদ এবং অগত্যা দুঃখ-দুর্দশা সৃষ্টি করে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২ অনুযায়ী:
“আপদ (Hazard) অর্থ এমন কোন অস্বাভাবিক ঘটনা যাহা প্রাকৃতিক নিয়মে, কারিগরি ত্রুটির কারণে অথবা মানুষের দ্বারা সৃষ্ট হইয়া থাকে এবং ফলস্বরূপ বিপর্যয় সংঘটনের মাধ্যমে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপদ ও হুমকির মধ্যে নিপতিত করে এবং জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজনীয় উপাদানসমূহের ভয়াবহ ও অপূরণীয় ক্ষতিসহ দুঃখ দুর্দশার সৃষ্টি করে।”
আপদের মূল বৈশিষ্ট্য:
-
এটি একটি অস্বাভাবিক ঘটনা।
-
প্রাকৃতিক, মানবসৃষ্ট বা কারিগরি কারণে ঘটতে পারে।
-
মানুষের জীবন ও জীবিকার ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে।
-
এর ফলে বিপর্যয় সংঘটিত হয়, যা মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে বিপদে ফেলে।
-
দুর্যোগ যেমন ভূমিকম্প বা বন্যার প্রাথমিক প্রভাব প্রায়শই অবকাঠামোর উপর পড়ে, এবং পুনঃনির্মাণে বড় খরচ হয়।
-
সব চরম ঘটনা আপদ হিসেবে গণ্য করা হয়।
প্রধান দিক:
“আপদ হল দুর্যোগ নয়, বরং দুর্যোগের সম্ভাব্য কারণ।”
আপদের ধরন
-
প্রাকৃতিক আপদ:
-
ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস, বজ্রঝড়, টর্নেডো, বন্যা, ভূমিকম্প, সুনামি, খরা, নদী ভাঙন ইত্যাদি।
-
-
মানবসৃষ্ট আপদ:
-
ভবন ধ্বস, নৌ ও সড়ক দুর্ঘটনা, অগ্নিকান্ড ইত্যাদি।
-
-
কারিগরি আপদ:
-
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ড, শিল্প ও কলকারখানায় দুর্ঘটনা, পারমাণবিক দুর্ঘটনা ইত্যাদি।
-
উৎস: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২

0
Updated: 1 month ago
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে কোন দুর্যোগটির ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে?
Created: 1 month ago
A
ভূমিকম্প
B
ভূমিধস
C
টর্নেডাে
D
খরা
ভূমিকম্প হলো পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা হঠাৎ সংঘটিত হয় এবং পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই মানুষের জীবন ও সম্পদের ক্ষতি সাধন করে। এটি পৃথিবীর অভ্যন্তরে সৃষ্ট ভূ-কম্পনের কারণে ঘটে এবং এর প্রভাব কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়।
-
ভূ-আলোড়ন বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক কারণে ভূ-পৃষ্ঠ হঠাৎ কেঁপে ওঠাকে ভূমিকম্প বলা হয়।
-
ভূ-গর্ভে যেখানে এই কম্পনের সৃষ্টি হয়, তাকে কম্পকেন্দ্র (Centre বা Focus) বলা হয়।
-
কম্পকেন্দ্র বরাবর ভূ-পৃষ্ঠে অবস্থিত বিন্দুটি হলো উপকেন্দ্র (Epicentre)।
-
কম্পকেন্দ্র থেকে ভূমিকম্প ঢেউয়ের মতো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
-
ভূমিকম্প সাধারণত পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই ঘটে।
বাংলাদেশের ভূমিকম্পপ্রবণতা সম্পর্কে বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোড (BNBC) ২০২০ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী সমগ্র দেশকে চারটি ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে।
১. খুবই গুরুতর ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল: উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল (সিলেট, ময়মনসিংহসহ উত্তরাঞ্চল)।
২. গুরুতর ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল: উচ্চ মধ্য, উত্তর-পশ্চিম অংশ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রংপুর ইত্যাদি জেলা)।
৩. মাঝারি ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল: নিম্ন মধ্য এবং উত্তর-পশ্চিম অংশ (ঢাকা, কুমিল্লা, নাটোর, নোয়াখালী, পাবনা, সুন্দরবন ইত্যাদি)।
৪. কম ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল (রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা ইত্যাদি)।
অতিরিক্ত তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলে ভূমিকম্পের হার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই অঞ্চলকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

0
Updated: 1 month ago
‘বেঙ্গল ফ্যান’-ভূমিরূপটি কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
মধুপুর গড়ে
B
বঙ্গোপসাগরে
C
হাওর অঞ্চলে
D
টারশিয়ারি পাহাড়ে
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড (Swatch of No Ground) হলো একটি বিশেষ খাদ আকৃতির সামুদ্রিক অববাহিকা বা গিরিখাত, যা বঙ্গোপসাগরের মহীসোপানকে কৌণিকভাবে অতিক্রম করেছে।
এটি গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র ব-দ্বীপের পশ্চিমে অবস্থান করে এবং গঙ্গা খাদ নামেও পরিচিত। সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের আকার, গভীরতা এবং ভূ-আকৃতি সম্পর্কে মূল তথ্যগুলো নিচে দেওয়া হলো:
-
প্রস্থ: ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার
-
তলদেশ: তুলনামূলকভাবে সমতল
-
পার্শ্ব দেয়াল: প্রায় ১২ ডিগ্রি হেলানো
-
মহীসোপানের কিনারায় গভীরতা: প্রায় ১,২০০ মিটার
-
এটি বঙ্গোপসাগরের ১৪ কিলোমিটার প্রশস্ত গভীর সমুদ্রের উপত্যকা
বেঙ্গল ফ্যানের সাথে সম্পর্কিত তথ্যগুলো হলো:
-
বেঙ্গল ফ্যান ভূমিরূপটি সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডে পাওয়া যায়
-
গবেষণায় দেখা গেছে, সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড অবক্ষেপপূর্ণ ঘোলাটে স্রোত এনে বেঙ্গল ফ্যানে পলল জমা করছে
-
বেঙ্গল ডিপ সি ফ্যানের অধিকাংশ পলল গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র সঙ্গমস্থলে উৎপন্ন
-
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড সাবমেরিন উপত্যকার গভীরতম অংশ প্রায় ১৩৫০ মিটার
-
এই উপত্যকা বেঙ্গল ফ্যান বা বঙ্গ পাখার অংশ, যা বিশ্বের বৃহত্তম সাবমেরিন পাখা হিসেবে পরিচিত

0
Updated: 1 month ago
কোন দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নয়?
Created: 1 week ago
A
সাইপ্রাস
B
আলজেরিয়া
C
ইস্টোনিয়া
D
মাল্টা
ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠনের ইতিহাস ও বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
রোম চুক্তি (Treaty of Rome) এর মাধ্যমে ১৯৫৮ সালের ১ জানুয়ারি ইউরোপীয় ইকোনমিক কমিউনিটি (European Economic Community) প্রতিষ্ঠিত হয়, যা পরবর্তীতে রূপ নেয় বর্তমানের European Union (EU)-এ।
-
প্রতিষ্ঠার সময় ইইউ-এর সদস্য রাষ্ট্র ছিল ৬টি দেশ।
-
বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা ২৭টি।
-
এদের মধ্যে ২০টি দেশ Euro (একক মুদ্রা) গ্রহণ করেছে।
-
সর্বশেষ যে দেশটি ইউরো মুদ্রা গ্রহণ করেছে সেটি হলো Croatia (১ জানুয়ারি, ২০২৩)।
-
ইইউ-এর সদর দপ্তর Brussels, Belgium-এ অবস্থিত।
-
সদস্য রাষ্ট্রগুলো হলো: Austria, Belgium, Bulgaria, Croatia, Republic of Cyprus, Czech Republic, Denmark, Estonia, Finland, France, Germany, Greece, Hungary, Ireland, Italy, Latvia, Lithuania, Luxembourg, Malta, Netherlands, Poland, Portugal, Romania, Slovakia, Slovenia, Spain and Sweden।
-
Algeria হলো আফ্রিকা মহাদেশের একটি দেশ এবং এটি European Union-এর সদস্য নয়।

0
Updated: 1 week ago