বাংলাদেশের কৃষি কোন প্রকার?
A
ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী
B
ধান-প্রধান বাণিজ্যিক
C
স্বয়ংভোগী মিশ্র
D
স্বয়ংভোগী শষ্য চাষ ও পশুপালন
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের কৃষি ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী ধরনের।
• ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী:
- শুধুমাত্র মানুষ নিজ নিজ প্রয়োজন মেটানোর জন্য যে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে তাকে স্বয়ংভোগী চাষাবাদ বলে।
- আদ্র মৌসুমী ভাবাপন্ন ঘনবসিতপূর্ণ এশিয়ার ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, চীন, জাপানে ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী কৃষি ব্যবস্থা চালু আছে।
• বৈশিষ্ট্যসমূহ:
- ক্ষুদ্রায়তন জমি।
- নিবিড় চাষাবাদ।
- ধানের প্রাধান্য।
- কায়িক শ্রম নির্ভর।
- একাদিক্রমে চাষাবাদ।
- চাষাবাদ প্রকৃতির উপর বেশী নির্ভরশীল।
• বাংলাদেশের কৃষি ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী বলার কারণ:
- আমাদের দেশের কৃষির প্রধান উপখাত হলো- শস্য (ধান) উৎপাদন।
- বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাবার ভাত, আর তাই এই দেশের প্রায় ৮০ ভাগ কৃষি জমিতেই ধান উৎপাদন হয়।
- এছাড়াও গম, ভুট্টা, সহ শাকসবজি উৎপাদন প্রচুর পরিমানে হয়।
- এজন্যই বাংলাদেশকে কৃষি ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী বলা হয়।
---------------------
• বাংলাদেশের জাতীয় কৃষি:
- বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এক সোনালি অধ্যায়ের নাম কৃষি।
- উৎপাদনশীলতা, আয় বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বিশাল জনগোষ্ঠীর সমৃদ্ধির জন্য কৃষির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
- বাংলাদেশে প্রতি বছর ১লা অগ্রহায়ণ 'জাতীয় কৃষি দিবস ও নবান্ন উৎসব' পালিত হয়।
- কৃষিই সমৃদ্ধি এ শ্লোগানকে ধারণ করে ২০০৮ সালের ১৫ নভেম্বর বা '১লা অগ্রহায়ণ, ১৪১৫' সালে প্রথম জাতীয় কৃষি দিবস পালন করা হয়।
- সেই থেকে প্রতিবছর কৃষি দিবস পালিত হয়ে আসছে।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন, বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর অর্থনীতি (২য় পত্র) -মোস্তাফিজুর রহমান, একাদশ শ্রেণির ভূগোল- উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
'সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক ২০১৫-৩০' হচ্ছে একটি-
Created: 1 month ago
A
জাপানের উন্নয়ন কৌশল
B
সুনামি দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস কৌশল
C
দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস কৌশল
D
ভূমিকম্পের ঝুঁকি হ্রাস কৌশল
সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক (Sendai Framework)
-
১৪–১৮ মার্চ, ২০১৫ সালে জাপানের সেন্দাই শহরে জাতিসংঘের তৃতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
-
সম্মেলনের শেষ দিনে "সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন ২০১৫–২০৩০" গৃহীত হয়।
-
এই ফ্রেমওয়ার্কে দুর্যোগ ঝুঁকি কমানোর জন্য ৭টি লক্ষ্য এবং ৪টি অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্র নির্ধারণ করা হয়।
-
মূল উদ্দেশ্য ছিল— টেকসই ব্যবস্থাপনা, যথাযথ বিনিয়োগ, এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
সাতটি লক্ষ্য (Goals of Sendai Framework)
১. ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী দুর্যোগজনিত মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো।
২. ২০৩০ সালের মধ্যে দুর্যোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা কমিয়ে আনা।
৩. ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ক্ষতি জিডিপির তুলনায় হ্রাস করা।
৪. ২০৩০ সালের মধ্যে দুর্যোগে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সেবার ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা।
৫. ২০২০ সালের মধ্যে দেশগুলোতে জাতীয় ও স্থানীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কৌশল গ্রহণের হার বাড়ানো।
৬. ২০৩০ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সহায়তা যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি করা।
৭. ২০৩০ সালের মধ্যে বহু-বিপদ প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থা এবং দুর্যোগ ঝুঁকি সম্পর্কিত তথ্য সবার জন্য সহজলভ্য করা।
উৎস: UNDRR ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন বসতি কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ময়নামতি
B
পুণ্ড্রবর্ধন
C
পাহাড়পুর
D
সােনারগাঁ
মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর বিহার, ময়নামতি ও উয়ারী-বটেশ্বর বাংলাদেশের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্বের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়। এই স্থানগুলো প্রাচীন যুগের রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বাক্ষী।
মহাস্থানগড়:
-
মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি।
-
এর প্রাচীন নাম ছিল পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর।
-
বাংলার সর্বপ্রাচীন জনপদ পুণ্ড্র এই অঞ্চলে অবস্থিত।
-
এক সময় এটি বাংলার রাজধানী ছিল।
-
এখানে মৌর্য, গুপ্ত, পাল ও সেন সাম্রাজ্যের নিদর্শন পাওয়া গেছে।
-
অবস্থান: বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা, বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১০ কিমি উত্তরে।
-
সেন বংশের শেষ রাজা লক্ষ্মণ সেন (১০৮২-১১২৫) গৌড়ের রাজা থাকাকালীন এই গড় অরক্ষিত ছিল।
-
বিস্তীর্ণ ধ্বংসাবশেষ ও প্রাচীর পুন্ড্রবর্ধনভূক্তির রাজধানী পুন্ড্রনগরের প্রায় আড়াই হাজার বছরের ইতিহাসের নিঃশব্দ সাক্ষী।
-
এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন জনপদ।
পাহাড়পুর বিহার:
-
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত।
-
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষ ভাগে বা নবম শতকে এই বিহার নির্মাণ করান।
-
১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।
-
১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
ময়নামতি:
-
ময়নামতি বাংলাদেশের কুমিল্লায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক স্থান।
-
সপ্তম শতাব্দীর শেষ থেকে অষ্টম শতাব্দীর প্রথম ভাগে দেববংশের চতুর্থ রাজা শ্রীভবদেব এই বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ করেন।
উয়ারী-বটেশ্বর:
-
উয়ারী-বটেশ্বর বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থল।
-
নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার কাছাকাছি, প্রায় তিন কিমি পশ্চিমে অবস্থিত উয়ারী ও বটেশ্বর গ্রাম।
-
এই গ্রাম দু’টি দীর্ঘদিন ধরে ছাপাঙ্কিত রৌপ্যমুদ্রার প্রাপ্তিস্থল হিসেবে পরিচিত।
-
প্লাইসটোসিন যুগে গঠিত মধুপুর গড়ের পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত এই স্থানগুলোতে আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন দুর্গ নগরের নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে।

0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোন দুর্যোগটি বাংলাদেশের জনগণের জীবিকা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে?
Created: 1 month ago
A
ভূমিকম্প
B
সমুদ্রের জলস্তরের বৃদ্ধি (Sea level rise)
C
ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস
D
খরা বা বন্যা
সমুদ্রের জলস্তরের বৃদ্ধি ও বাংলাদেশের জীবিকার ওপর প্রভাব
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল প্রায় ৭১৬ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ক্রমেই বাড়ছে।
এর ফলে লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং নদীভাঙনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়মিত আঘাত হানছে। এসব কারণে উপকূলের অসংখ্য নিম্নআয়ের মানুষ জীবিকা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে।
লবণাক্ততা বৃদ্ধি
-
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততা দ্রুত বাড়ছে।
-
কৃষি জমি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খুলনা ও বাগেরহাট জেলায়। গত ৩০ বছরে খুলনায় লবণাক্ততা বেড়েছে প্রায় ২১%, আর বাগেরহাটে ১৫.৮৮%।
-
একসময় নড়াইল, যশোর ও গোপালগঞ্জে লবণাক্ততা প্রায় ছিল না, এখন সেখানেও তা ছড়িয়ে পড়ছে।
-
বর্তমানে উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ১৪ হাজার বর্গকিলোমিটার জমি লবণাক্ত মাটিতে পরিণত হয়েছে।
-
ধারণা করা হচ্ছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা যদি আরও ৪৫ সেন্টিমিটার বাড়ে তবে লবণাক্ততা আরও ভেতরের দিকে প্রবেশ করবে এবং কৃষি উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
-
ঋতুভেদে লবণাক্ততার তারতম্য লক্ষ্য করা যায়—বর্ষায় প্রায় ১০%, আর শুষ্ক মৌসুমে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৪০% (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ২০২০)।
-
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে লবণাক্ত ভূমির পরিমাণ ১৯৭৩ সালে ছিল ৮৩.৩ মিলিয়ন হেক্টর, ২০০০ সালে ১০২ মিলিয়ন হেক্টর, ২০০৯ সালে ১০৫.৬ মিলিয়ন হেক্টর, এবং ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ১০৯.৮ মিলিয়ন হেক্টর (ইউএসবি ও আইপিএস রিপোর্ট, ২০২০)।
সমুদ্রপৃষ্ঠ ও জোয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধি
-
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ক্রমেই বাড়ছে। এর ফলে উপকূলীয় এলাকায় ভাঙন বেড়ে গেছে।
-
কুতুবদিয়া ও সন্দ্বীপের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ইতোমধ্যেই সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
-
পূর্ব হিমালয় থেকে প্রবাহিত পানির প্রায় ৯০% এর বেশি বাংলাদেশের নদীপথ দিয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মেশে।
-
ইউএনডিপি (২০১৯) এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে হাতিয়ার চরচঙ্গা স্টেশনে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়েছে ৫.৭৩ মিমি, আর সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্টে বেড়েছে ৩.৩৮ মিমি।
উৎসঃ বিবিএ বাংলা, বাংলাদেশ স্টাডিজ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago