A
পার্শ্ব গ্রাবরেখা
B
শৈলশিরা
C
ভি-আকৃতির উপত্যকা
D
ইউ-আকৃতির উপত্যকা
উত্তরের বিবরণ
হিমবাহিক ক্ষয় ও ক্ষয়জাত ভূমিরূপ
হিমবাহের চলাচল ও ক্ষয় সাধনের ফলে পৃথিবীর ভূ-আকৃতি পরিবর্তিত হয় এবং নতুন ধরনের ভূমি গঠিত হয়। হিমবাহ যখন পাহাড়ের মধ্য দিয়ে নেমে আসে, তখন এটি পাহাড়ের পাথর ও মাটি কেটে এক বিশেষ ধরনের উপত্যকা তৈরি করে, যা সাধারণত ইউ-আকৃতির উপত্যকা (U-shaped Valley) নামে পরিচিত।
হিমবাহের ক্ষয় প্রক্রিয়া বিভিন্ন ধরনের ভূমির সৃষ্টি করে। প্রধান ক্ষয়জাত ভূমিরূপগুলো হলো:
-
হইমবাহিক উপত্যকা (Glaciated/U-shaped Valley) – হিমবাহের ধ্বসন ও ক্ষয় দ্বারা গঠিত।
-
ঝুলন্ত উপত্যকা (Hanging Valley) – প্রধান উপত্যকার তুলনায় উঁচুতে অবস্থিত ছোট উপত্যকা।
-
সার্ক বা কোরি (Cirque) – ছোট আর গহ্বরাকৃতির হিমবাহিক উদ্ভিদ।
-
এরিটি ও পিরামিডীয় শৃঙ্গ (Arete & Pyramidal Peak) – ধারালো পাহাড়ি শৃঙ্গ।
-
নুনাট্যাক (Nunatak) – হিমবাহের উপরের exposes পাথরের অংশ।
-
রসে মতানো (Roche Moutonnée) – হিমবাহের চাপের কারণে পালিশ ও ছিদ্রযুক্ত পাথর।
-
হিমসিড়ি ও প্যাটার্নস্টার হ্রদ (Kettle & Patterned Lakes) – হিমবাহের গলনের ফলে তৈরি হ্রদ।
-
শৈলময় পর্বত ও অনিয়মিত প্রস্তরখন্ড (Rocky Mountains & Irregular Boulders) – ক্ষয়ে বিভক্ত পাথরের স্তর।
-
ক্রিভাসেস (Crevasses) – হিমবাহে ফাটল বা চিরা।
-
ঢিবি ও পুচ্ছ (Drumlin & Esker) – হিমবাহের গলন এবং চূর্ণকরণের ফলে তৈরি ঢিবি।
-
দানবীর সিঁড়ি (Moraine Steps) – হিমবাহের আগমনের সীমানায় জমে থাকা মাটি ও পাথরের স্তর।
-
ফিয়র্ড (Fjord) – সমুদ্রের সাথে মিলিত হিমবাহিক উপত্যকা।
-
কর্তিত স্পার (Truncated Spur) – হিমবাহের ক্ষয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত পাহাড়ি স্পার।
উৎস: উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় পাঠ্যবই, ভূগোল বিভাগ।

1
Updated: 1 week ago
নিচের কোনটি আপদ (Hazard)-এর প্রত্যক্ষ প্রভাব?
Created: 1 week ago
A
অর্থনৈতিক
B
সামাজিক
C
পরিবেশগত
D
অবকাঠামোগত
আপদ (Hazard)-এর প্রত্যক্ষ প্রভাব- অবকাঠামোগত।
আপদ (Hazard) ও এর প্রকারভেদ
আপদ (Hazard) হলো এমন একটি অস্বাভাবিক ঘটনা যা প্রাকৃতিক নিয়ম, কারিগরি ত্রুটি বা মানুষের ক্রিয়াকলাপের কারণে ঘটে এবং যার প্রভাব মানুষের জীবন, জীবিকা এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ওপর পড়ে। এ ধরনের ঘটনা মানুষের জন্য বিপদ এবং অগত্যা দুঃখ-দুর্দশা সৃষ্টি করে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২ অনুযায়ী:
“আপদ (Hazard) অর্থ এমন কোন অস্বাভাবিক ঘটনা যাহা প্রাকৃতিক নিয়মে, কারিগরি ত্রুটির কারণে অথবা মানুষের দ্বারা সৃষ্ট হইয়া থাকে এবং ফলস্বরূপ বিপর্যয় সংঘটনের মাধ্যমে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপদ ও হুমকির মধ্যে নিপতিত করে এবং জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজনীয় উপাদানসমূহের ভয়াবহ ও অপূরণীয় ক্ষতিসহ দুঃখ দুর্দশার সৃষ্টি করে।”
আপদের মূল বৈশিষ্ট্য:
-
এটি একটি অস্বাভাবিক ঘটনা।
-
প্রাকৃতিক, মানবসৃষ্ট বা কারিগরি কারণে ঘটতে পারে।
-
মানুষের জীবন ও জীবিকার ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে।
-
এর ফলে বিপর্যয় সংঘটিত হয়, যা মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে বিপদে ফেলে।
-
দুর্যোগ যেমন ভূমিকম্প বা বন্যার প্রাথমিক প্রভাব প্রায়শই অবকাঠামোর উপর পড়ে, এবং পুনঃনির্মাণে বড় খরচ হয়।
-
সব চরম ঘটনা আপদ হিসেবে গণ্য করা হয়।
প্রধান দিক:
“আপদ হল দুর্যোগ নয়, বরং দুর্যোগের সম্ভাব্য কারণ।”
আপদের ধরন
-
প্রাকৃতিক আপদ:
-
ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস, বজ্রঝড়, টর্নেডো, বন্যা, ভূমিকম্প, সুনামি, খরা, নদী ভাঙন ইত্যাদি।
-
-
মানবসৃষ্ট আপদ:
-
ভবন ধ্বস, নৌ ও সড়ক দুর্ঘটনা, অগ্নিকান্ড ইত্যাদি।
-
-
কারিগরি আপদ:
-
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ড, শিল্প ও কলকারখানায় দুর্ঘটনা, পারমাণবিক দুর্ঘটনা ইত্যাদি।
-
উৎস: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী কোনটি?
Created: 3 days ago
A
মেঘনা
B
যমুনা
C
পদ্মা
D
কর্ণফুলী
দেশের দীর্ঘতম নদী: পদ্মা নদী
পদ্মার আরেকটি নাম কীর্তিনাশা।
-
ভারতের মধ্য হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন গঙ্গা নদী বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার উত্তরের দিকে প্রবেশ করে।
-
কুষ্টিয়া থেকে নদী প্রবাহিত হয়ে রাজশাহী অঞ্চলের কাছ দিয়ে যায়।
-
এরপর গোয়ালন্দে যমুনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে পদ্মা নামে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়।
-
চাঁদপুরের কাছে পদ্মা মেঘনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়ে তিন নদীর মিলিত স্রোত বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত হয়।
শাখা নদী:
মধুমতী, আড়িয়াল খাঁ, ভৈরব, মাথাভাঙা, কুমার, কপোতাক্ষ, শিবসা, পশুর (বা পসুর) বড়াল।
উপনদী:
মহানন্দা, ট্যাঙ্গন, পুনর্ভবা, নগর, কুলিক।
দৈর্ঘ্য ও অঞ্চল:
-
বাংলাদেশের তিনটি বিভাগের ১২টি জেলায় পদ্মা নদী প্রবাহিত।
-
নদীর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৪১ কিমি।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী: ইছামতী (৩৩৪ কিমি) এবং সাঙ্গু/শঙ্খ (২৯৪ কিমি)।
-
সবচেয়ে বেশি উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত নদী: মেঘনা (৩৬টি উপজেলা)।
-
সবচেয়ে বেশি নদ-নদী আছে: ঢাকা বিভাগ (২২২টি নদী)।
-
সবচেয়ে বেশি নদী আছে জেলায়: সুনামগঞ্জ (৯৭টি নদী)।
-
দেশের ক্ষুদ্রতম নদী: গাঙ্গিনা নদী (দৈর্ঘ্য ০.০৩২ কিমি)।
উৎস: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, নদী রক্ষা কমিশন।

0
Updated: 3 days ago
বাংলাদেশে কালবৈশাখির ঝড় কখন হয়?
Created: 1 week ago
A
মৌসুমী বায়ু ঋতুতে
B
শীতকালে
C
মৌসুমী বায়ু ঋতুর পরবর্তী সময়ে
D
প্রাক-মৌসুমী বায়ু ঋতুতে
কালবৈশাখী ঝড় ও প্রাক-মৌসুমী উষ্ণ গ্রীষ্মকাল
বাংলাদেশের ঋতু ভিত্তিক চারটি ভাগ:
বাংলাদেশের আবহাওয়া মূলত বায়ু প্রবাহ, তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতের বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে চারটি ঋতুতে বিভক্ত:
-
শুষ্ক শীতকাল
-
প্রাক-মৌসুমী উষ্ণ গ্রীষ্মকাল
-
গ্রীষ্মকালীন বর্ষাকাল
-
শরৎকাল
কালবৈশাখী ঝড় কখন হয়?
-
কালবৈশাখী ঝড় মূলত প্রাক-মৌসুমী উষ্ণ গ্রীষ্মকাল (এপ্রিল-মে, বৈশাখ থেকে জ্যৈষ্ঠ) মাসে হয়।
-
বৈশাখ মাসে এর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
কালবৈশাখী ঝড়ের বৈশিষ্ট্য:
-
এটি বাংলাদেশের একটি পরিচিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
-
ঝড়ের গতিবেগ সাধারণত ৫৫–৮০ কিমি/ঘণ্টা হয়।
-
সংঘটনের কারণ: উত্তর-পশ্চিম থেকে আসা শীতল ও শুষ্ক বায়ু এবং দক্ষিণ-পূর্ব থেকে আসা উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ু একত্রিত হলে ঝড় তৈরি হয়।
উৎস: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (সপ্তম শ্রেণী)

0
Updated: 1 week ago