বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেনের পরিমাণ কত শতাংশ?
A
৭৫.৮%
B
৭৮.১%
C
৭৯.২%
D
প্রায় ৮০%
উত্তরের বিবরণ
বায়ুমণ্ডল (Atmosphere)
পৃথিবীর পৃষ্ঠের চারপাশে থাকা অদৃশ্য বায়বীয় আবরণকে বায়ুমণ্ডল বলা হয়। এটি বিভিন্ন ধরনের গ্যাস এবং জলীয় বাষ্পের সংমিশ্রণে গঠিত।
উপাদান:
যদিও বায়ুমণ্ডল বিভিন্ন গ্যাস এবং বাষ্প দিয়ে তৈরি, এর প্রধান উপাদান দুটি:
-
নাইট্রোজেন (Nitrogen) – সবচেয়ে বেশি পরিমাণে উপস্থিত।
-
অক্সিজেন (Oxygen) – দ্বিতীয় সর্বাধিক পরিমাণে থাকে।
বায়ুমণ্ডলের প্রধান উপাদানগুলোর আনুমানিক শতকরা (%) পরিমাণ:
-
নাইট্রোজেন: ৭৮.০১% (কাছাকাছি ৭৮.১% হিসাবেও ধরা যেতে পারে)
-
অক্সিজেন: ২০.৭১%
-
আর্গন: ০.৮০%
-
জলীয় বাষ্প: ০.৪১%
-
কার্বন-ডাই-অক্সাইড: ০.০৩%
মন্তব্য: কখনও কখনও প্রশ্নপত্রে টাইপিং ভুলের কারণে নাইট্রোজেনের পরিমাণ ৭৮.০১% না হয়ে ৭৮.১% দেখানো হতে পারে। প্রায় একই কারণে কাছাকাছি মানকেই সঠিক উত্তর হিসেবে ধরা হয়।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি, ভূগোল প্রথম পত্র, এইচ এস সি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি জলজ উদ্ভিদ নয়?
Created: 1 month ago
A
হিজল
B
করচ
C
ডুমুর
D
গজারী
জলজ উদ্ভিদ
-
জলজ উদ্ভিদগুলো সহজে পানিতে ভাসতে পারে কারণ এদের কাণ্ডে অনেক বায়ু কুঠুরী (air cavities) থাকে।
-
অধিকাংশ জলজ উদ্ভিদের কাণ্ড ফাঁপা ও হালকা, যা ভাসতে সাহায্য করে।
-
এই বায়ু কুঠুরী পানিতে ভাসতে সাহায্য করার পাশাপাশি অক্সিজেনও সংরক্ষণ করে।
-
উদাহরণ: করচ, হিজল, ডুমুর।
সালোকসংশ্লেষণ সম্পর্কিত তথ্য:
-
জলজ উদ্ভিদ পানিতে দ্রবীভূত কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂) গ্রহণ করে।
-
বায়ুমণ্ডলে CO₂ মাত্র ০.০৩%, কিন্তু পানিতে ০.৩% থাকে। তাই জলজ উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ হার স্থলজ উদ্ভিদের তুলনায় বেশি।
গজারী (শাল)
-
গজারীর অপর নাম শাল।
-
গাছ কাটার পর গোড়া থেকে নতুন চারা জন্মায়, এজন্য গজারী নামটি এসেছে বলে ধারণা করা হয়।
-
লাল মাটির পাহাড় ও ছোট টিলা জমিতে ভালো জন্মায়।
-
গজারী জলজ উদ্ভিদ নয় এবং পানিতে বেশি দিন বাঁচতে পারে না।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
স্ট্রাটোমন্ডল ও মেসোমণ্ডলের মধ্যবর্তী অঞ্চলে তাপমাত্রার স্থিতাবস্থাক কী নামে পরিচিত?
Created: 1 month ago
A
ট্রপোবিরতি
B
স্ট্রাটোবিরতি
C
মেসোবিরতি
D
থার্মোবিরতি
স্ট্রাটোমণ্ডল (Stratosphere)
-
ট্রপোবিরতির উপরের দিক থেকে প্রায় ৫০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
স্ট্রাটোমণ্ডল ও মেসোমণ্ডলের সংযোগস্থলকে স্ট্রাটোবিরতি (Stratopause) বলে।
বৈশিষ্ট্য
-
এখানে ওজোন স্তর (O₃) সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকে।
-
ওজোন সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে।
-
এখানে জলীয়বাষ্প নেই, শুধু অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণা থাকে।
-
ঝড়-বৃষ্টি না থাকায় জেট বিমান সাধারণত এই স্তরের মধ্যে দিয়ে উড়ে।

0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোন দেশটির সাথে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
চীন
B
পাকিস্তান
C
থাইল্যান্ড
D
মায়ানমার
বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, যা দেশের ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য ও কৌশলগত অবস্থানকে স্পষ্ট করে। নিচে এর বিস্তারিত দেওয়া হলো।
-
বাংলাদেশ ২০°৩৪′ উত্তর অক্ষরেখা থেকে ২৬°৩৮′ উত্তর অক্ষরেখার মধ্যে এবং ৮৮°০১′ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৯২°৪১′ পূর্ব দ্রাঘিমা পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
দেশের মাঝখান দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা (২৩°৫′) অতিক্রম করেছে।
-
পূর্ব থেকে পশ্চিমে সর্বোচ্চ বিস্তৃতি ৪৪০ কিলোমিটার এবং উত্তর-উত্তর পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃতি ৭৬০ কিলোমিটার।
-
বাংলাদেশ এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত।
-
দেশের তিনদিকের মূলভাগ ভারত ও মিয়ানমার দ্বারা বেষ্টিত, আর দক্ষিণে রয়েছে বঙ্গোপসাগর।
-
ভারত ও মিয়ানমার উভয় দেশের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে মোট ৩২টি জেলার।
-
এর মধ্যে ভারতের সাথে ৩০টি জেলা এবং মিয়ানমারের সাথে ৩টি জেলা সীমান্ত ভাগাভাগি করেছে।
-
উল্লেখযোগ্যভাবে, রাঙামাটি জেলা ভারতের সাথেও এবং মিয়ানমারের সাথেও সীমান্তযুক্ত।

0
Updated: 1 month ago