A
৭৫.৮%
B
৭৮.১%
C
৭৯.২%
D
প্রায় ৮০%
উত্তরের বিবরণ
বায়ুমণ্ডল (Atmosphere)
পৃথিবীর পৃষ্ঠের চারপাশে থাকা অদৃশ্য বায়বীয় আবরণকে বায়ুমণ্ডল বলা হয়। এটি বিভিন্ন ধরনের গ্যাস এবং জলীয় বাষ্পের সংমিশ্রণে গঠিত।
উপাদান:
যদিও বায়ুমণ্ডল বিভিন্ন গ্যাস এবং বাষ্প দিয়ে তৈরি, এর প্রধান উপাদান দুটি:
-
নাইট্রোজেন (Nitrogen) – সবচেয়ে বেশি পরিমাণে উপস্থিত।
-
অক্সিজেন (Oxygen) – দ্বিতীয় সর্বাধিক পরিমাণে থাকে।
বায়ুমণ্ডলের প্রধান উপাদানগুলোর আনুমানিক শতকরা (%) পরিমাণ:
-
নাইট্রোজেন: ৭৮.০১% (কাছাকাছি ৭৮.১% হিসাবেও ধরা যেতে পারে)
-
অক্সিজেন: ২০.৭১%
-
আর্গন: ০.৮০%
-
জলীয় বাষ্প: ০.৪১%
-
কার্বন-ডাই-অক্সাইড: ০.০৩%
মন্তব্য: কখনও কখনও প্রশ্নপত্রে টাইপিং ভুলের কারণে নাইট্রোজেনের পরিমাণ ৭৮.০১% না হয়ে ৭৮.১% দেখানো হতে পারে। প্রায় একই কারণে কাছাকাছি মানকেই সঠিক উত্তর হিসেবে ধরা হয়।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি, ভূগোল প্রথম পত্র, এইচ এস সি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago
নিম্নে উল্লেখিত ভূমিরূপসমূহের মধ্যে কোনটি হিমবাহের ক্ষয় কার্যের দ্বারা গঠিত?
Created: 1 week ago
A
পার্শ্ব গ্রাবরেখা
B
শৈলশিরা
C
ভি-আকৃতির উপত্যকা
D
ইউ-আকৃতির উপত্যকা
হিমবাহিক ক্ষয় ও ক্ষয়জাত ভূমিরূপ
হিমবাহের চলাচল ও ক্ষয় সাধনের ফলে পৃথিবীর ভূ-আকৃতি পরিবর্তিত হয় এবং নতুন ধরনের ভূমি গঠিত হয়। হিমবাহ যখন পাহাড়ের মধ্য দিয়ে নেমে আসে, তখন এটি পাহাড়ের পাথর ও মাটি কেটে এক বিশেষ ধরনের উপত্যকা তৈরি করে, যা সাধারণত ইউ-আকৃতির উপত্যকা (U-shaped Valley) নামে পরিচিত।
হিমবাহের ক্ষয় প্রক্রিয়া বিভিন্ন ধরনের ভূমির সৃষ্টি করে। প্রধান ক্ষয়জাত ভূমিরূপগুলো হলো:
-
হইমবাহিক উপত্যকা (Glaciated/U-shaped Valley) – হিমবাহের ধ্বসন ও ক্ষয় দ্বারা গঠিত।
-
ঝুলন্ত উপত্যকা (Hanging Valley) – প্রধান উপত্যকার তুলনায় উঁচুতে অবস্থিত ছোট উপত্যকা।
-
সার্ক বা কোরি (Cirque) – ছোট আর গহ্বরাকৃতির হিমবাহিক উদ্ভিদ।
-
এরিটি ও পিরামিডীয় শৃঙ্গ (Arete & Pyramidal Peak) – ধারালো পাহাড়ি শৃঙ্গ।
-
নুনাট্যাক (Nunatak) – হিমবাহের উপরের exposes পাথরের অংশ।
-
রসে মতানো (Roche Moutonnée) – হিমবাহের চাপের কারণে পালিশ ও ছিদ্রযুক্ত পাথর।
-
হিমসিড়ি ও প্যাটার্নস্টার হ্রদ (Kettle & Patterned Lakes) – হিমবাহের গলনের ফলে তৈরি হ্রদ।
-
শৈলময় পর্বত ও অনিয়মিত প্রস্তরখন্ড (Rocky Mountains & Irregular Boulders) – ক্ষয়ে বিভক্ত পাথরের স্তর।
-
ক্রিভাসেস (Crevasses) – হিমবাহে ফাটল বা চিরা।
-
ঢিবি ও পুচ্ছ (Drumlin & Esker) – হিমবাহের গলন এবং চূর্ণকরণের ফলে তৈরি ঢিবি।
-
দানবীর সিঁড়ি (Moraine Steps) – হিমবাহের আগমনের সীমানায় জমে থাকা মাটি ও পাথরের স্তর।
-
ফিয়র্ড (Fjord) – সমুদ্রের সাথে মিলিত হিমবাহিক উপত্যকা।
-
কর্তিত স্পার (Truncated Spur) – হিমবাহের ক্ষয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত পাহাড়ি স্পার।
উৎস: উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় পাঠ্যবই, ভূগোল বিভাগ।

1
Updated: 1 week ago
হিলিয়াম ও হাইড্রোজেন গ্যাসের আধিক্য রয়েছে কোন স্তরে?
Created: 1 week ago
A
ট্রপোমণ্ডল
B
আয়নোমণ্ডল
C
মেসোমণ্ডল
D
এক্সোমন্ডল
এক্সোমন্ডল (Exosphere):
- তাপমন্ডলের উপরে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত যে বায়ুস্তর আছে তাকে এক্সোমণ্ডল বলে।
- এই স্তরে হিলিয়াম ও হাইড্রোজেন গ্যাসের প্রাধান্য দেখা যায়।
- এক্সোমন্ডল, তাপমণ্ডল অতিক্রম করে ৯৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রসারিত হয়।
- এটি ক্রমান্বয়ে আন্তগ্রহ স্থান (Interplanetary Space) এ প্রবেশ করে।
- এ স্তরের তাপমাত্রা প্রায় ৩০০° সেলসিয়াস থেকে ১৬৫০° সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়।
- এ স্তরে খুব সামান্য পরিমাণ গ্যাস যেমন- অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, আর্গন এবং হিলিয়াম ধারণ করে, কেননা মাধ্যাকর্ষণের ঘাটতির কারণে গ্যাস অণু বা কণাগুলো সহজে মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে।

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের নিম্নলিখিত জেলাসমূহের মধ্যে কোন জেলায় নিচু ভূমির (Low land) পরিমাণ সবচেয়ে বেশি?
Created: 3 days ago
A
হবিগঞ্জ
B
গোপালগঞ্জ
C
কিশোরগঞ্জ
D
মুন্সীগঞ্জ
নিচু ভূমি বলতে আমরা সাধারণত হাওর, বাওর, বিল ও খালের এলাকায় বিস্তৃত সমতল ও পানিবদ্ধ এলাকা বুঝি। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হাওরভূমি এবং বিলাঞ্চল উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থান করে,
বিশেষ করে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলায়। এ অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি প্রাকৃতিকভাবে সমতল ও পানিবদ্ধ, তাই কিশোরগঞ্জ জেলায় সবচেয়ে বেশি নিচু ভূমি রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
অবস্থান: ২৪°০২' থেকে ২৪°৩৮' উত্তর অক্ষাংশ, উত্তরে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জ, দক্ষিণে নরসিংদী, পূর্বে হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, পশ্চিমে গাজীপুর ও ময়মনসিংহ।
-
নদ-নদী: নরসুন্দা, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা, কালনী, সুতী, ঘোড়াউত্রা, ধনু, বৌলাই, আড়িয়ালখাঁ প্রভৃতি।
-
অর্থনীতি: হাওরের উপর নির্ভরশীল, বিশেষ করে মাছ ধরার জন্য।
-
জলবায়ু: গড় তাপমাত্রা ২৪.৭°C, গ্রীষ্মকালে বেশি বৃষ্টিপাত, বার্ষিক বৃষ্টিপাত ২২৫০ মিমি।
-
প্রশাসন: ১৮৬০ সালে মহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত, ১৯৮৪ সালে জেলা হিসেবে রূপান্তরিত।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 3 days ago