'জুম' চাষ পদ্ধতি বাংলাদেশের কোন জেলাসমূহে দেখা যায়?
A
সাতক্ষীরা, যশোহর, কুষ্টিয়া
B
নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ
C
বগুড়া, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম
D
চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাসমূহ
উত্তরের বিবরণ
জুমচাষ (Jhum) পদ্ধতি
-
জুমচাষ বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে, বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
-
জুমচাষ মানে হলো স্থানের পরিবর্তন করে চাষ করা। এর মাধ্যমে কৃষকরা এক জায়গায় কয়েক বছর (প্রায় ১–৩ বছর) ফসল চাষ করেন, তারপর সেই জমিকে দীর্ঘ সময় (১০–৪০ বছর) বনায়ন ও মাটির উর্বরতা পুনরুদ্ধারের জন্য ফেলে দেন।
-
চাষ করার পদ্ধতিতে বন কেটে বা পোড়ানো হয়, তাই এটিকে সাধারণভাবে ‘সুইডেন চাষাবাদ’ বা জঙ্গল পরিষ্কার ও পোড়ানো চাষাবাদ’ বলা হয়।
-
জুমচাষ কেবল বাংলাদেশে নয়, ভারত, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, থাইল্যান্ডসহ অন্যান্য পাহাড়ি দেশে দেখা যায়।
-
বাংলাদেশে এটি প্রধানত রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে হয়। এছাড়া সিলেটের কিছু পাহাড়ি এলাকায়ও জুমচাষ হয়।
-
পার্বত্য অঞ্চলের উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা এবং সংস্কৃতির সঙ্গে জুমচাষের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
জুমচাষের নেতিবাচক প্রভাব:
-
মাটির উর্বরতা হ্রাস।
-
ভূমিক্ষয় ও পাহাড়ি ঢালে ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।
-
বন উজাড় ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল নষ্ট।
-
নদী, হ্রদ ও জলাশয় ভরাট হওয়া।
উৎস: বাংলাপিডিয়া; ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি, সপ্তম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago
একই পরিমাণ বৃষ্টিপাত অঞ্চলসমূহকে যে কাল্পনিক রেখার সাহায্যে দেখানো হয় তার নাম-
Created: 1 month ago
A
আইসােপ্লিথ
B
আইসোহাইট
C
আইসােহ্যালাইন
D
আইসোথার্ম
সমরেখ পদ্ধতি হল একটি মানচিত্রে বিভিন্ন অঞ্চলের সমমান বৈশিষ্ট্য প্রদর্শনের প্রক্রিয়া, যা প্রকৃতিক ও পরিমাণগত উপাত্তের ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনার জন্য ব্যবহৃত হয়।
এ পদ্ধতিতে একই মান বিশিষ্ট বিভিন্ন স্থানের মধ্যে রেখার মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করা হয়, যা তথ্যকে সহজে বোঝার উপযোগী করে।
-
পরিমাণগত বা ঘনত্ব জ্ঞাপক একই মান বিশিষ্ট স্থানের মধ্যে যে রেখা টানা হয় তাকে সমমান রেখা বা Isopleth line বলা হয়।
-
এই রেখা সাধারণত সমমান বিশিষ্ট অঞ্চলগুলোকে অতিক্রম করে।
-
প্রকৃতিক বিষয় যেমন আবহাওয়া, জলবায়ু, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি সংক্রান্ত উপাত্ত প্রদর্শনের জন্য সমরেখ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
-
উদাহরণস্বরূপ, সমতাপ বা সমোষ্ণরেখা, সমচাপ রেখা, সমবর্ষণ রেখা, এবং সমোচ্চরেখা।
বিশেষ রেখাগুলো:
-
সমোষ্ণ রেখা (Isotherm line): ভূপৃষ্ঠের সমান তাপমাত্রার স্থানের মধ্যে যে রেখা টানা হয়।
-
সমচাপ রেখা (Isobar line): বায়ুর সমচাপযুক্ত স্থানের মধ্যে টানা রেখা।
-
সমবর্ষণ রেখা (Isohyet line): সম বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থানের মধ্যে টানা রেখা।
-
সমোচ্চরেখা (Contour line): সমান উচ্চতা বিশিষ্ট স্থানের মধ্যে টানা রেখা।
-
এ সমস্ত রেখা মূলত কাল্পনিক এবং মানচিত্রে তথ্যকে চিত্রায়িত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 1 month ago
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নিম্নের কোন পর্যায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ সবচেয়ে ফলপ্রসূ হবে?
Created: 1 month ago
A
কমিউনিটি পর্যায়ে
B
জাতীয় পর্যায়ে
C
উপজেলা পর্যায়ে
D
আঞ্চলিক পর্যায়ে
কমিউনিটি ভিত্তিক ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
-
কমিউনিটি ভিত্তিক উদ্যোগ:
জাতীয়, উপজেলা বা আঞ্চলিক পর্যায়ের ব্যবস্থার তুলনায় কমিউনিটি পর্যায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ বেশি কার্যকর। কারণ এতে স্থানীয় জনগণ সরাসরি অংশগ্রহণ করে এবং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সহজ হয়।
এছাড়াও, ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতার চেয়ে দলগতভাবে মানুষকে সচেতন করা বেশি ফলপ্রসূ।
উপকূলীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগের চিত্র
-
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল প্রায় ৭১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ।
-
এখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন: সমুদ্র সমতলের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং নদীভাঙন নিয়মিত ক্ষতি সৃষ্টি করে।
-
তাই দুর্যোগ মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উপকূলীয় জনগণের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মূল পদ্ধতি
১. সতর্কবার্তা প্রচার: আবহাওয়ার তথ্যভিত্তিক পূর্বাভাস এবং সতর্কবার্তা সময়মতো জনগণের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া।
২. ভূ-উপগ্রহ ও রাডার বিশ্লেষণ: বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও স্পারসো সংস্থা উপগ্রহ চিত্র ও রাডার চিত্র ব্যবহার করে পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ উন্নত করা।
৩. বন্যা পূর্বাভাস: পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র থেকে বন্যার পূর্বাভাস কার্যক্রম উন্নয়ন করা।
৪. ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি: সরকারি সংস্থা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব ও পরবর্তী সতর্কীকরণ, উদ্ধার ও পুনর্বাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
৫. সামরিক সহযোগিতা: জরুরি সময়ে চিকিৎসা, উদ্ধার, ত্রাণ বিতরণ ও পুনর্বাসনে সামরিক বাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সাহায্য করে।
৬. মিডিয়ার ভূমিকা: বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন দুর্যোগ সংক্রান্ত সতর্কবার্তা প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৭. বেসরকারি সংস্থার অবদান: অক্সফাম, ডিজাস্টার ফোরাম, কেয়ার বাংলাদেশ, কারিতাস, প্রশিকা, সিসিডিবি, বিডিপিসি এবং রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
'পলল পাখা' জাতীয় ভূমিরূপ গড়ে উঠে -
Created: 1 month ago
A
পাহাড়ের পাদদেশে
B
নদীর নিম্ন অববাহিকায়
C
নদীর উৎপত্তিস্থলে
D
নদী মোহনায়
পলল পাখা ভূমিরূপ
-
পলল পাখা সাধারণত পাহাড়ের পাদদেশে তৈরি হয়।
-
যখন কোনো নদী হঠাৎ করে পাহাড়ি অঞ্চল থেকে নেমে সমভূমিতে প্রবেশ করে, তখন সঙ্গে আনা শিলাখণ্ড, বালি ও পলিমাটি পাহাড়ের পাদদেশে জমা হয়।
-
এসব পলল মিলে একটি ত্রিভুজাকার ভূমি গঠন করে, যা হাতপাখার মতো দেখতে। এই বিশেষ পললভূমিকেই বলা হয় পলল পাখা বা পলল কোণ।
মাটির ধরনভেদে পার্থক্য
-
যদি অঞ্চলের মাটি বেশি পানি শোষণ করতে পারে, তবে শিলাচূর্ণ বেশি দূরে যেতে পারে না। ফলে পাহাড়ের পাদদেশেই পলল কোণ তৈরি হয়।
-
আর মাটির পানি শোষণ ক্ষমতা কম হলে, পলল কিছুটা দূরে ছড়িয়ে গিয়ে পলল পাখা তৈরি করে।
উদাহরণ
হিমালয়ের পাদদেশে গঙ্গার বিভিন্ন উপনদীর ধারে এ ধরনের পলল কোণ ও পলল পাখা ভূমিরূপ দেখা যায়।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago