A
আসাম
B
মিজোরাম
C
ত্রিপুরা
D
নাগাল্যান্ড
উত্তরের বিবরণ
ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত
-
নাগাল্যান্ডের সীমান্ত:
ভারতের নাগাল্যান্ড রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ সরাসরি কোনো সীমান্ত ভাগাভাগি করে না। -
সেভেন সিস্টার্স (Seven Sisters):
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যকে একত্রে “সেভেন সিস্টার্স” বলা হয়।-
এই রাজ্যগুলো হলো: আসাম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা এবং মিজোরাম।
-
-
বাংলাদেশের সঙ্গে সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলোর সীমান্ত:
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের মোট ৫টি রাজ্যের সীমান্ত আছে, যার মধ্যে সেভেন সিস্টার্সের ৪টি রাজ্য রয়েছে।-
এই রাজ্যগুলো হলো:
-
আসাম
-
মেঘালয়
-
ত্রিপুরা
-
মিজোরাম
-
-
উল্লেখ্য: সেভেন সিস্টার্সভুক্ত মনিপুর, অরুণাচল প্রদেশ এবং নাগাল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশ কোনো সীমান্ত ভাগ করে না।
-
এছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অন্য একটি রাজ্য, যা বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে।
-
-
বাংলাদেশের সীমান্তে অন্যান্য তথ্য:
-
বাংলাদেশ মোট ৩২টি জেলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সীমান্তে যুক্ত।
-
ভারতের সঙ্গে: ৩০টি জেলা
-
মিয়ানমারের সঙ্গে: ৩টি জেলা
-
-
বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলা হলো একমাত্র জেলা, যার সঙ্গে উভয় দেশের (ভারত ও মিয়ানমার) সীমান্ত রয়েছে এবং এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা।
-
তথ্যসূত্র: Britannica, ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাস, জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের নিম্নলিখিত জেলাসমূহের মধ্যে কোন জেলায় নিচু ভূমির (Low land) পরিমাণ সবচেয়ে বেশি?
Created: 3 days ago
A
হবিগঞ্জ
B
গোপালগঞ্জ
C
কিশোরগঞ্জ
D
মুন্সীগঞ্জ
নিচু ভূমি বলতে আমরা সাধারণত হাওর, বাওর, বিল ও খালের এলাকায় বিস্তৃত সমতল ও পানিবদ্ধ এলাকা বুঝি। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হাওরভূমি এবং বিলাঞ্চল উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থান করে,
বিশেষ করে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলায়। এ অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি প্রাকৃতিকভাবে সমতল ও পানিবদ্ধ, তাই কিশোরগঞ্জ জেলায় সবচেয়ে বেশি নিচু ভূমি রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
অবস্থান: ২৪°০২' থেকে ২৪°৩৮' উত্তর অক্ষাংশ, উত্তরে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জ, দক্ষিণে নরসিংদী, পূর্বে হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, পশ্চিমে গাজীপুর ও ময়মনসিংহ।
-
নদ-নদী: নরসুন্দা, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা, কালনী, সুতী, ঘোড়াউত্রা, ধনু, বৌলাই, আড়িয়ালখাঁ প্রভৃতি।
-
অর্থনীতি: হাওরের উপর নির্ভরশীল, বিশেষ করে মাছ ধরার জন্য।
-
জলবায়ু: গড় তাপমাত্রা ২৪.৭°C, গ্রীষ্মকালে বেশি বৃষ্টিপাত, বার্ষিক বৃষ্টিপাত ২২৫০ মিমি।
-
প্রশাসন: ১৮৬০ সালে মহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত, ১৯৮৪ সালে জেলা হিসেবে রূপান্তরিত।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 3 days ago
কোন পর্যায়ে দুর্যোগের ক্ষতি মূল্যায়ন করা হয়?
Created: 2 days ago
A
উদ্ধার পর্যায়ে
B
প্রভাব পর্যায়ে
C
সতর্কতা পর্যায়ে
D
পুনর্বাসন পর্যায়ে
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
সাধারণভাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বলতে বোঝায়—দুর্যোগের আগে ও পরে এমন সব পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে ক্ষয়ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা যায়। যেহেতু প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়, তাই ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
নতুবা দুর্যোগে সবকিছু হারিয়ে মানুষের জীবন হয়ে ওঠে অত্যন্ত কষ্টকর। এজন্যই আজকের বিশ্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য
১. দুর্যোগকালে জীবন, সম্পদ ও পরিবেশের ক্ষতি কমানো বা সম্ভব হলে এড়ানো।
২. ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ত্রাণ, চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সহায়তা দেওয়া।
৩. দুর্যোগ পরবর্তী পুনরুদ্ধার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা চক্র (Disaster Management Cycle)
এই চক্রকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়—
ক. দুর্যোগ-পূর্ব ঝুঁকি হ্রাস পর্যায়
খ. দুর্যোগ-পরবর্তী পুনরুদ্ধার পর্যায়
‘‘পুনর্বাসন’’ বলতে বোঝায়—
-
ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামত বা আরও উন্নত অবস্থায় ফিরিয়ে আনা।
-
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে দেওয়া এবং তাদের সংগঠিতভাবে সক্ষম করে তোলা।
-
প্রয়োজনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে অন্যত্র স্থানান্তর করে তাদের জীবিকা নিশ্চিত করা।
-
ক্ষতিগ্রস্ত গবাদিপশু, মাছ ইত্যাদির চিকিৎসা ও খামার পুনর্গঠন করা।
-
পুকুর, খাল, নদী, জলাশয়ে মৃত প্রাণী ও ময়লা দ্রুত অপসারণ করা এবং পানি বিশুদ্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ।
-
এলাকায় জমে থাকা জীবাণু, দুর্গন্ধ ও ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে পরিবেশকে বিষাক্ততা থেকে মুক্ত রাখা।
উৎস: ভূগোল দ্বিতীয় পত্র, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 2 days ago
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নিম্নের কোন পর্যায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ সবচেয়ে ফলপ্রসূ হবে?
Created: 1 week ago
A
কমিউনিটি পর্যায়ে
B
জাতীয় পর্যায়ে
C
উপজেলা পর্যায়ে
D
আঞ্চলিক পর্যায়ে
কমিউনিটি ভিত্তিক ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
-
কমিউনিটি ভিত্তিক উদ্যোগ:
জাতীয়, উপজেলা বা আঞ্চলিক পর্যায়ের ব্যবস্থার তুলনায় কমিউনিটি পর্যায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ বেশি কার্যকর। কারণ এতে স্থানীয় জনগণ সরাসরি অংশগ্রহণ করে এবং সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সহজ হয়।
এছাড়াও, ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতার চেয়ে দলগতভাবে মানুষকে সচেতন করা বেশি ফলপ্রসূ।
উপকূলীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগের চিত্র
-
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল প্রায় ৭১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ।
-
এখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন: সমুদ্র সমতলের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং নদীভাঙন নিয়মিত ক্ষতি সৃষ্টি করে।
-
তাই দুর্যোগ মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উপকূলীয় জনগণের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মূল পদ্ধতি
১. সতর্কবার্তা প্রচার: আবহাওয়ার তথ্যভিত্তিক পূর্বাভাস এবং সতর্কবার্তা সময়মতো জনগণের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া।
২. ভূ-উপগ্রহ ও রাডার বিশ্লেষণ: বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও স্পারসো সংস্থা উপগ্রহ চিত্র ও রাডার চিত্র ব্যবহার করে পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ উন্নত করা।
৩. বন্যা পূর্বাভাস: পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র থেকে বন্যার পূর্বাভাস কার্যক্রম উন্নয়ন করা।
৪. ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি: সরকারি সংস্থা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব ও পরবর্তী সতর্কীকরণ, উদ্ধার ও পুনর্বাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
৫. সামরিক সহযোগিতা: জরুরি সময়ে চিকিৎসা, উদ্ধার, ত্রাণ বিতরণ ও পুনর্বাসনে সামরিক বাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সাহায্য করে।
৬. মিডিয়ার ভূমিকা: বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন দুর্যোগ সংক্রান্ত সতর্কবার্তা প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৭. বেসরকারি সংস্থার অবদান: অক্সফাম, ডিজাস্টার ফোরাম, কেয়ার বাংলাদেশ, কারিতাস, প্রশিকা, সিসিডিবি, বিডিপিসি এবং রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago