A
বন্যা
B
খরা
C
ভূমিকম্প
D
ঘূর্ণিঝড়
উত্তরের বিবরণ
• পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই সংঘটিত হয়- ভূমিকম্প।
-----------------
• ভূমিকম্প:
- ভূ-অভ্যন্তরে আকস্মিক সৃষ্ট কম্পনের দরুণ আকস্মিকভাবে ভূমির যে কম্পন হয় তাকে ভূমিকম্প বলে।
- কোন ধরনের আগাম সতর্ক সংকেত ব্যতীত অর্থাৎ কার্যকর পূর্বাভাস ছাড়া সংঘটিত দুর্যোগ হলো ভূমিকম্প।
- ভূমিকম্প সংঘটনের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল চিহ্নিত করা সম্ভব হলেও ভূমিকম্প সংঘটনের পূর্বে সতর্কতা প্রাপ্তি এখনো সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে,
- বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ও শৈত্যপ্রবাহের ক্ষেত্রে পূর্বাভাস পাওয়া যায়।
----------------------------------
• আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- ১৯৯৩ সালে সমগ্র বাংলাদেশকে তিনটি ভূমিকম্পনীয় সংঘটিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে।
- মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ (উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল), মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ (মধ্য অঞ্চল) এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ (দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল)।
- ভূমিকম্পের ফলে অনেক সময় নদীর গতিপথ পাল্টে যায়।
যেমন, ১৭৮৭ সালে আসামে (ডাউকি ফন্ট) যে ভূমিকম্প হয় তাতে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তলদেশ কিছুটা উচু হয় ফলে তার গতিপথ পাল্টে গিয়ে যমুনা নদী দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে।
- ভূমিকম্প পরিমাপক যন্ত্রের নাম সিসমোগ্রাফ।
- ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ণায়ক যন্ত্রের নাম রিখটার স্কেল।
তথ্যসূত্র: ভূগোল ও পরিবেশ- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের কৃষি কোন প্রকার?
Created: 1 week ago
A
ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী
B
ধান-প্রধান বাণিজ্যিক
C
স্বয়ংভোগী মিশ্র
D
স্বয়ংভোগী শষ্য চাষ ও পশুপালন
বাংলাদেশের কৃষি ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী ধরনের।
• ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী:
- শুধুমাত্র মানুষ নিজ নিজ প্রয়োজন মেটানোর জন্য যে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে তাকে স্বয়ংভোগী চাষাবাদ বলে।
- আদ্র মৌসুমী ভাবাপন্ন ঘনবসিতপূর্ণ এশিয়ার ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, চীন, জাপানে ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী কৃষি ব্যবস্থা চালু আছে।
• বৈশিষ্ট্যসমূহ:
- ক্ষুদ্রায়তন জমি।
- নিবিড় চাষাবাদ।
- ধানের প্রাধান্য।
- কায়িক শ্রম নির্ভর।
- একাদিক্রমে চাষাবাদ।
- চাষাবাদ প্রকৃতির উপর বেশী নির্ভরশীল।
• বাংলাদেশের কৃষি ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী বলার কারণ:
- আমাদের দেশের কৃষির প্রধান উপখাত হলো- শস্য (ধান) উৎপাদন।
- বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাবার ভাত, আর তাই এই দেশের প্রায় ৮০ ভাগ কৃষি জমিতেই ধান উৎপাদন হয়।
- এছাড়াও গম, ভুট্টা, সহ শাকসবজি উৎপাদন প্রচুর পরিমানে হয়।
- এজন্যই বাংলাদেশকে কৃষি ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী বলা হয়।
---------------------
• বাংলাদেশের জাতীয় কৃষি:
- বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এক সোনালি অধ্যায়ের নাম কৃষি।
- উৎপাদনশীলতা, আয় বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বিশাল জনগোষ্ঠীর সমৃদ্ধির জন্য কৃষির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
- বাংলাদেশে প্রতি বছর ১লা অগ্রহায়ণ 'জাতীয় কৃষি দিবস ও নবান্ন উৎসব' পালিত হয়।
- কৃষিই সমৃদ্ধি এ শ্লোগানকে ধারণ করে ২০০৮ সালের ১৫ নভেম্বর বা '১লা অগ্রহায়ণ, ১৪১৫' সালে প্রথম জাতীয় কৃষি দিবস পালন করা হয়।
- সেই থেকে প্রতিবছর কৃষি দিবস পালিত হয়ে আসছে।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন, বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর অর্থনীতি (২য় পত্র) -মোস্তাফিজুর রহমান, একাদশ শ্রেণির ভূগোল- উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
নিম্নে উল্লেখিত ভূমিরূপসমূহের মধ্যে কোনটি হিমবাহের ক্ষয় কার্যের দ্বারা গঠিত?
Created: 1 week ago
A
পার্শ্ব গ্রাবরেখা
B
শৈলশিরা
C
ভি-আকৃতির উপত্যকা
D
ইউ-আকৃতির উপত্যকা
হিমবাহিক ক্ষয় ও ক্ষয়জাত ভূমিরূপ
হিমবাহের চলাচল ও ক্ষয় সাধনের ফলে পৃথিবীর ভূ-আকৃতি পরিবর্তিত হয় এবং নতুন ধরনের ভূমি গঠিত হয়। হিমবাহ যখন পাহাড়ের মধ্য দিয়ে নেমে আসে, তখন এটি পাহাড়ের পাথর ও মাটি কেটে এক বিশেষ ধরনের উপত্যকা তৈরি করে, যা সাধারণত ইউ-আকৃতির উপত্যকা (U-shaped Valley) নামে পরিচিত।
হিমবাহের ক্ষয় প্রক্রিয়া বিভিন্ন ধরনের ভূমির সৃষ্টি করে। প্রধান ক্ষয়জাত ভূমিরূপগুলো হলো:
-
হইমবাহিক উপত্যকা (Glaciated/U-shaped Valley) – হিমবাহের ধ্বসন ও ক্ষয় দ্বারা গঠিত।
-
ঝুলন্ত উপত্যকা (Hanging Valley) – প্রধান উপত্যকার তুলনায় উঁচুতে অবস্থিত ছোট উপত্যকা।
-
সার্ক বা কোরি (Cirque) – ছোট আর গহ্বরাকৃতির হিমবাহিক উদ্ভিদ।
-
এরিটি ও পিরামিডীয় শৃঙ্গ (Arete & Pyramidal Peak) – ধারালো পাহাড়ি শৃঙ্গ।
-
নুনাট্যাক (Nunatak) – হিমবাহের উপরের exposes পাথরের অংশ।
-
রসে মতানো (Roche Moutonnée) – হিমবাহের চাপের কারণে পালিশ ও ছিদ্রযুক্ত পাথর।
-
হিমসিড়ি ও প্যাটার্নস্টার হ্রদ (Kettle & Patterned Lakes) – হিমবাহের গলনের ফলে তৈরি হ্রদ।
-
শৈলময় পর্বত ও অনিয়মিত প্রস্তরখন্ড (Rocky Mountains & Irregular Boulders) – ক্ষয়ে বিভক্ত পাথরের স্তর।
-
ক্রিভাসেস (Crevasses) – হিমবাহে ফাটল বা চিরা।
-
ঢিবি ও পুচ্ছ (Drumlin & Esker) – হিমবাহের গলন এবং চূর্ণকরণের ফলে তৈরি ঢিবি।
-
দানবীর সিঁড়ি (Moraine Steps) – হিমবাহের আগমনের সীমানায় জমে থাকা মাটি ও পাথরের স্তর।
-
ফিয়র্ড (Fjord) – সমুদ্রের সাথে মিলিত হিমবাহিক উপত্যকা।
-
কর্তিত স্পার (Truncated Spur) – হিমবাহের ক্ষয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত পাহাড়ি স্পার।
উৎস: উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় পাঠ্যবই, ভূগোল বিভাগ।

1
Updated: 1 week ago
ভারতীয় কোন রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের কোনো সীমান্ত নেই?
Created: 1 week ago
A
আসাম
B
মিজোরাম
C
ত্রিপুরা
D
নাগাল্যান্ড
ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত
-
নাগাল্যান্ডের সীমান্ত:
ভারতের নাগাল্যান্ড রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ সরাসরি কোনো সীমান্ত ভাগাভাগি করে না। -
সেভেন সিস্টার্স (Seven Sisters):
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যকে একত্রে “সেভেন সিস্টার্স” বলা হয়।-
এই রাজ্যগুলো হলো: আসাম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা এবং মিজোরাম।
-
-
বাংলাদেশের সঙ্গে সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলোর সীমান্ত:
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের মোট ৫টি রাজ্যের সীমান্ত আছে, যার মধ্যে সেভেন সিস্টার্সের ৪টি রাজ্য রয়েছে।-
এই রাজ্যগুলো হলো:
-
আসাম
-
মেঘালয়
-
ত্রিপুরা
-
মিজোরাম
-
-
উল্লেখ্য: সেভেন সিস্টার্সভুক্ত মনিপুর, অরুণাচল প্রদেশ এবং নাগাল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশ কোনো সীমান্ত ভাগ করে না।
-
এছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অন্য একটি রাজ্য, যা বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে।
-
-
বাংলাদেশের সীমান্তে অন্যান্য তথ্য:
-
বাংলাদেশ মোট ৩২টি জেলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সীমান্তে যুক্ত।
-
ভারতের সঙ্গে: ৩০টি জেলা
-
মিয়ানমারের সঙ্গে: ৩টি জেলা
-
-
বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলা হলো একমাত্র জেলা, যার সঙ্গে উভয় দেশের (ভারত ও মিয়ানমার) সীমান্ত রয়েছে এবং এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা।
-
তথ্যসূত্র: Britannica, ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাস, জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 1 week ago