উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠী প্রধানত কোন দেশে বসবাস করে?
A
ইরান
B
চীন
C
ইন্দোনেশিয়া
D
মিয়ানমার
উত্তরের বিবরণ
উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়
-
উইঘুররা হলো অন্তর্দেশীয় এশিয়ার একটি তুর্কি ভাষাভাষী জাতিগোষ্ঠী।
-
প্রধানত বসবাস: চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, জিনজিয়াং উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল।
-
পূর্বে অঞ্চলটি স্বাধীন রাষ্ট্র পূর্ব তুর্কিস্থান নামে পরিচিত ছিল।
-
১৮৮৪ সালে চীনের মাঞ্চু রাজবংশের সঙ্গে আট বছরের যুদ্ধের পর স্বাধীনতা হারায় পূর্ব তুর্কিস্তান; এরপর অঞ্চলটির নামকরণ করা হয় জিনজিয়াং।
ঐতিহাসিক ও সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপট:
-
চীনের কাছে স্বাধীনতা হারানোর পর উইঘুররা ধীরে ধীরে ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য হারাতে শুরু করে।
-
১৯১১ সালে মাঞ্চু সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন শুরু হয়; ১৯৩৩–৪৪ সালে উইঘুররা দুইবার স্বাধীনতা লাভ করে।
-
এই সময় গঠন করা হয় পূর্ব তুর্কিস্তান রিপাবলিক নামে স্বাধীন দেশ।
-
১৯৪৯ সালে কমিউনিস্ট বিপ্লবের পর আবারও স্বাধীনতা হারায় উইঘুররা।
-
২০১৭ সাল থেকে উইঘুররা চীনের দমননীতি ও দমনমূলক কার্যক্রমের লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে।
তথ্যসূত্র: পত্রিকা রিপোর্ট

0
Updated: 1 month ago
কমনওয়েলথের কোন দেশটি যুক্তরাজ্যের রাজা ও রানীকে তাদের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে স্বীকার করে?
Created: 4 months ago
A
অস্ট্রেলিয়া
B
কানাডা
C
সাইগ্রাস
D
মরিসাস
কমনওয়েলথ এবং রাজতন্ত্রভুক্ত দেশসমূহ
কমনওয়েলথ একটি রাজনৈতিক জোট, যা মূলত ব্রিটেনের সাবেক উপনিবেশভুক্ত দেশসমূহ নিয়ে গঠিত। এটি ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ৫৬টি। এই জোটের সিদ্ধান্তসমূহ সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এর সদরদপ্তর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত মার্লবোরো হাউসে। বর্তমানে কমনওয়েলথের প্রধান হলেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস।
বাংলাদেশ ৩২তম সদস্য দেশ হিসেবে ১৮ এপ্রিল ১৯৭২ সালে কমনওয়েলথে যোগদান করে।
ব্রিটেনের রাজা ও কমনওয়েলথ রাজতন্ত্রভুক্ত দেশসমূহ
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পরই তার জ্যেষ্ঠ পুত্র রাজা তৃতীয় চার্লস সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। তিনি কেবল যুক্তরাজ্যেরই নয়, বরং কমনওয়েলথভুক্ত ১৫টি দেশেরও রাষ্ট্রপ্রধান। এসব দেশ স্বাধীন হলেও তারা এখনও যুক্তরাজ্যের রাজাকে সাংবিধানিক রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে স্বীকার করে।
এই ১৫টি দেশ হলো:
১. যুক্তরাজ্য
২. অস্ট্রেলিয়া
৩. কানাডা
৪. নিউজিল্যান্ড
৫. পাপুয়া নিউ গিনি
৬. টুভালু
৭. সলোমন দ্বীপপুঞ্জ
৮. জ্যামাইকা
৯. বেলিজ
১০. বাহামা
১১. গ্রেনাডা
১২. অ্যান্টিগা ও বারবুডা
১৩. সেন্ট লুসিয়া
১৪. সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড গ্রেনাডাইনস
১৫. সেন্ট ক্রিস্টোফার অ্যান্ড নেভিস
এই দেশগুলো সাংবিধানিকভাবে ব্রিটেনের রাজাকে তাদের প্রতীকী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে মান্য করে, যদিও তাদের নিজস্ব স্বায়ত্তশাসন এবং সরকার রয়েছে।
তথ্যসূত্র:
i) Commonwealth অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
ii) The Royal Family ওয়েবসাইট
অপশনে দ্বৈত উত্তর রয়েছে

0
Updated: 4 months ago
'Aksai Chin' অঞ্চলটি নিয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে কত সালে যুদ্ধ সংঘটিত হয়?
Created: 1 week ago
A
১৯৬২ সালে
B
১৯৪৮ সালে
C
১৯৭১ সালে
D
১৯৮৮ সালে
চীন–ভারত যুদ্ধ (Sino-Indian War, 1962)
-
সময়কাল: ২০ অক্টোবর ১৯৬২ – ২০ নভেম্বর ১৯৬২
-
যুদ্ধক্ষেত্র: আক্সাই চিন (Aksai Chin) এবং অরুণাচল প্রদেশ (তৎকালীন নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার এজেন্সি)
-
মূল কারণ: সীমান্ত বিরোধ
-
আক্সাই চিন অঞ্চল নিয়ে দ্বন্দ্ব, যা চীন নিজের অংশ দাবি করে এবং ভারতও এটিকে নিজেদের অংশ মনে করে
-
চীন ১৯৫০-এর দশকের মধ্যে আক্সাই চিনে সড়ক নির্মাণ শুরু করলে ভারত বিরোধিতা করে
-
-
চীনের দাবি:
-
অরুণাচল প্রদেশকে "জ্যাং নান" বলে তিব্বতের অংশ হিসেবে দাবি
-
২৭টি স্থানের নাম চীনা অক্ষর, তিব্বতি ও পিনয়িন ভাষায় প্রকাশ এবং মানচিত্রে স্থানাঙ্কসহ প্রদর্শন
-
-
পরিণতি:
-
১৯৬২ সালের যুদ্ধের পরে চীন ভারতকে ব্যাপকভাবে পরাজিত করে
-
আংশিকভাবে আক্সাই চিনে নিজেদের দখল প্রতিষ্ঠিত করে
-
-
বর্তমান প্রভাব:
-
আক্সাই চিন আজও ভারত–চীনের মধ্যে সীমান্ত বিতর্ক ও উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু
-
অঞ্চলটির কৌশলগত গুরুত্ব দুই দেশের সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে রয়েছে
-

0
Updated: 1 week ago
’লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোল’ কোন দুটি দেশের সীমানা বিভক্তকারী রেখা?
Created: 1 month ago
A
পাকিস্তান - চীন
B
ভারত - পাকিস্তান
C
পাকিস্তান - আফগানিস্তান
D
ভারত - চীন
• ভারত–চীন–পাকিস্তান–আফগানিস্তান সীমান্ত বিভাজক রেখা
-
ম্যাকমেহান লাইন: ভারত–চীন সীমান্ত
-
লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোল (LAC): ভারত–চীন সীমান্তের কার্যকর সীমা
-
লাইন অব কন্ট্রোল (LoC): ভারত–পাকিস্তান সীমান্ত
-
ডুরান্ড লাইন: পাকিস্তান–আফগানিস্তান সীমান্ত
উৎস: ব্রিটানিকা, BBC ✅

0
Updated: 1 month ago