A
চীনের একটি খাবারের নাম
B
চীনের একটি ধর্মীয় স্থানের নাম
C
চীনের একটি শহরের নাম
D
চীনের একটি সম্প্রদায়ের নাম
উত্তরের বিবরণ
উইঘুর ও জিনজিয়াং
-
উইঘুর: চীনের একটি মুসলিম সম্প্রদায়।
-
জিনজিয়াং প্রদেশ:
-
চীনের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত।
-
রাজধানী হলো উরুমকি।
-
এখানে উইঘুর এবং হানা সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করে।
-
-
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
-
১৯৪৯ সালের আগে জিনজিয়াং একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল, যার নাম ছিল পূর্ব তুর্কিস্থান।
-
স্বাধীনতা হারানোর পর চীনা কমিউনিস্ট সরকার দ্বারা এখানকার মুসলিমদের উপর কঠোর দমন চালানো হচ্ছে।
-
-
বর্তমান পরিস্থিতি:
-
পুনঃশিক্ষা কেন্দ্র বা "বন্দিশিবিরে" প্রায় ১২ লাখ উইঘুর মুসলিম আটক রয়েছেন।
-
এই কারণে জিনজিয়াংকে প্রায়ই “পৃথিবীর বৃহত্তম কারাগার” বলা হয়।
-
রোহিঙ্গাদের পরে উইঘুররা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে পড়ে।
-
তথ্যসূত্র: Amnesty International, Human Rights Watch, ব্রিটানিকা, Council on Foreign Relations (CFR) ও অন্যান্য অনলাইন সূত্র।

0
Updated: 1 week ago
'গ্লাসনস্ত নীতি' কোন দেশে চালু হয়েছিল?
Created: 1 week ago
A
চীন
B
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন
C
হাঙ্গেরি
D
পোল্যান্ড
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে ‘গ্লাসনস্ত’ ও ‘পেরেস্ত্রোইকা’ নীতি
সোভিয়েত ইউনিয়নে ১৯৮৫ সালে মিখাইল গর্বাচেভ ক্ষমতায় আসার পর দুইটি সংস্কারমূলক নীতি চালু করেন: গ্লাসনস্ত এবং পেরেস্ত্রোইকা।
গ্লাসনস্ত নীতি
-
অর্থ: “খোলা দরজা” বা খোলামেলা আলোচনা।
-
উদ্দেশ্য: সোভিয়েত নাগরিকদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
-
এটি ছিল রাজনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি, যার মাধ্যমে সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় গণমত ও স্বচ্ছতা আনতে চাওয়া হয়।
-
গ্লাসনস্ত নীতির আওতায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পদক্ষেপ ছিল:
১. নির্বাচিত কোনো ব্যক্তি একই পদে একের বেশিবার দুবারের বেশি থাকতে পারবে না।
২. “কংগ্রেস অব পিপলস ডেপুটি” হবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব, যার সদস্য সংখ্যা হবে ২২৫০।
৩. ডেপুটিদের মধ্য থেকে একটি স্থায়ী কার্যনির্বাহী “সুপ্রিম সোভিয়েত” নির্বাচিত হবে।
৪. রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে কংগ্রেস অব পিপলস ডেপুটি গোপন ভোটে নির্বাচন করবে। -
উল্লেখযোগ্য: গ্লাসনস্তের জন্য গর্বাচেভ ১৯৯০ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।
পেরেস্ত্রোইকা নীতি
-
অর্থ: অর্থনৈতিক পুনর্গঠন।
-
এটি ছিল অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি, যার লক্ষ্য ছিল সোভিয়েত অর্থনীতিতে আধুনিকীকরণ এবং দক্ষতা বৃদ্ধি।
সূত্র: তারেক শামসুর রেহমান, বিশ্বরাজনীতির ১০০ বছর

0
Updated: 1 week ago
জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির ব্যাপকতা তুলে ধরার জন্য কোন দেশটি সমুদ্রের গভীরে মন্ত্রিসভার বৈঠক করেছে?
Created: 1 week ago
A
ফিজি
B
পাপুয়া নিউগিনি
C
গোয়াম
D
মালদ্বীপ
মালদ্বীপে সমুদ্রের তলদেশে মন্ত্রিসভার বৈঠক
মালদ্বীপ সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির গুরুত্ব বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিতে একটি অনন্য উদ্যোগ নিয়েছে। ভারত মহাসাগরের তলদেশে ডুবুরির পোশাকে মন্ত্রীসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের নেতৃত্বে মন্ত্রীরা এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকের জন্য বিশেষভাবে টেবিল বসানো হয়, যার চারপাশে প্রবাল এবং উজ্জ্বল রঙের মাছের মধ্য দিয়ে মন্ত্রীরা হাতের ইশারায় আলোচনা করেন এবং দলিলে স্বাক্ষর করেন। যারা স্কুবা ডাইভিং জানতেন না, তাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, এবং প্রত্যেক মন্ত্রীর সঙ্গে একজন প্রশিক্ষক থাকতেন।
বৈঠকের পর জলের ওপর উঠে সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট নাশিদ জানান, এই অভিনব উদ্যোগের মাধ্যমে তারা বিশ্বের কাছে জরুরি বার্তা পাঠাতে চেয়েছেন। বৈঠকে মন্ত্রীসভার একমাত্র মহিলা সদস্যও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, বৈঠক থেকে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গমন কমানোর আহ্বান জানানো হয়।
উল্লেখযোগ্য, ২০০৯ সালে নেপালের প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার এবং অন্যান্য ২২ জন মন্ত্রী হিমালয়ের কালাপাথর শৃঙ্গ থেকে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭,১৯২ ফুট উচ্চতায় বৈঠক করেছিলেন। নেপালের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে হিমালয়ের বরফ বিপজ্জনকভাবে গলছে এবং এতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে নেপাল অন্যতম। তিনি তুষারের স্বাভাবিক চূড়ান্ত দৃশ্য ও তুষারঝড় দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা, ১৭ অক্টোবর ২০০৯; ডয়েচভেলে রিপোর্ট।

0
Updated: 1 week ago
Who is known as the 'Lady of the Lamp'?
Created: 1 week ago
A
Sorojini Naidu
B
Hellen Killer
C
Florence Nightingale
D
Madame Teresa
ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল
-
ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল আধুনিক নার্সিং পেশার অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত।
-
তিনি ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে জন্মগ্রহণ করেন ১২ মে, ১৮২০ সালে।
-
‘লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প’ নামেও তার খ্যাতি আছে।
-
১৩ আগস্ট, ১৯১০ সালে তিনি লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন।
নার্সিং এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অবদান:
-
ক্রিমিয়ার যুদ্ধে (১৮৫৩–১৮৫৬) আহত সৈন্যদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তিনি সক্রিয়ভাবে কাজ করেন। দিনে কাজ করে রাতে আহত সৈন্যদের সেবা দেওয়ায় তিনি বিশেষ খ্যাতি পান।
-
লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালে নার্সিং পেশাকে পেশাদার রূপ দেওয়ার জন্য ১৮৬০ সালে তিনি ‘নাইটিঙ্গেল ট্রেনিং স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন। এটি বর্তমানে ‘ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল স্কুল অব নার্সিং’ নামে পরিচিত।
-
ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে তার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
সম্মাননা:
-
১৮৮৩ সালে রানি ভিক্টোরিয়া তাকে ‘রয়েল রেডক্রস’ পদক প্রদান করেন।
-
প্রথম নারী হিসেবে ১৯০৭ সালে তিনি ‘অর্ডার অব মেরিট’ খেতাব লাভ করেন।
-
১৯০৮ সালে লন্ডন নগরী তাকে ‘অনারারি ফ্রিডম’ উপাধি প্রদান করে।
উৎস: Britannica.

0
Updated: 1 week ago