জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির ব্যাপকতা তুলে ধরার জন্য কোন দেশটি সমুদ্রের গভীরে মন্ত্রিসভার বৈঠক করেছে?
A
ফিজি
B
পাপুয়া নিউগিনি
C
গোয়াম
D
মালদ্বীপ
উত্তরের বিবরণ
মালদ্বীপে সমুদ্রের তলদেশে মন্ত্রিসভার বৈঠক
মালদ্বীপ সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির গুরুত্ব বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিতে একটি অনন্য উদ্যোগ নিয়েছে। ভারত মহাসাগরের তলদেশে ডুবুরির পোশাকে মন্ত্রীসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের নেতৃত্বে মন্ত্রীরা এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকের জন্য বিশেষভাবে টেবিল বসানো হয়, যার চারপাশে প্রবাল এবং উজ্জ্বল রঙের মাছের মধ্য দিয়ে মন্ত্রীরা হাতের ইশারায় আলোচনা করেন এবং দলিলে স্বাক্ষর করেন। যারা স্কুবা ডাইভিং জানতেন না, তাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, এবং প্রত্যেক মন্ত্রীর সঙ্গে একজন প্রশিক্ষক থাকতেন।
বৈঠকের পর জলের ওপর উঠে সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট নাশিদ জানান, এই অভিনব উদ্যোগের মাধ্যমে তারা বিশ্বের কাছে জরুরি বার্তা পাঠাতে চেয়েছেন। বৈঠকে মন্ত্রীসভার একমাত্র মহিলা সদস্যও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, বৈঠক থেকে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গমন কমানোর আহ্বান জানানো হয়।
উল্লেখযোগ্য, ২০০৯ সালে নেপালের প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার এবং অন্যান্য ২২ জন মন্ত্রী হিমালয়ের কালাপাথর শৃঙ্গ থেকে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭,১৯২ ফুট উচ্চতায় বৈঠক করেছিলেন। নেপালের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে হিমালয়ের বরফ বিপজ্জনকভাবে গলছে এবং এতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে নেপাল অন্যতম। তিনি তুষারের স্বাভাবিক চূড়ান্ত দৃশ্য ও তুষারঝড় দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা, ১৭ অক্টোবর ২০০৯; ডয়েচভেলে রিপোর্ট।

0
Updated: 1 week ago
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস-এর সদর দপ্তর:
Created: 6 days ago
A
ভিয়েনা
B
জেনেভা
C
প্যারিস
D
লন্ডন
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস (Red Cross) সংক্রান্ত তথ্য
-
সম্পূর্ণ নাম: The International Red Cross and Red Crescent Movement (সংক্ষেপে রেড ক্রস)।
-
প্রকৃতি: এটি একটি সেবামূলক মানবিক প্রতিষ্ঠান।
-
মূল লক্ষ্য: যুদ্ধ ও সংঘাতের সময় আহত ও অসহায় মানুষদের সহায়তা করা।
-
প্রতিষ্ঠার তারিখ: ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৮৬৩।
-
প্রতিষ্ঠার স্থান: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।
-
প্রতিষ্ঠাতা: হেনরী ডুনান্ট (Jean Henri Dunant)।
-
সদর দপ্তর: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।
-
বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম: প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংস্থাটি ধীরে ধীরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানবিক কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং মানবতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
হেনরী ডুনান্ট ৮ মে, ১৮২৮ সালে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তাঁর স্মৃতিতে প্রতিবছর বিশ্ব রেড ক্রস/রেড ক্রিসেন্ট দিবস উদযাপন করা হয়।
-
এই দিবসটি বিশ্বব্যাপী ১৯১টি দেশে পালন করা হয়।
উৎস: Red Cross ওয়েবসাইট।

0
Updated: 6 days ago
ব্রিকসের সর্বশেষ শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়-
Created: 1 week ago
A
রাশিয়া
B
ব্রাজিল
C
ভারত
D
দক্ষিণ আফ্রিকা
ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন ২০২৩ ও সম্প্রসারণের তথ্য
ব্রিকস (BRICS) হলো একটি অর্থনৈতিক জোট, যা মূলত পাঁচটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ নিয়ে গঠিত: ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। এই জোটের কোনো স্থায়ী সদর দপ্তর নেই।
১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন (২০২৩):
-
অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়।
-
এটি ছিল জোটের ধারাবাহিক বৈঠকের অংশ।
নতুন সদস্য সংযোজন:
-
সম্মেলনে তিনটি মহাদেশের ছয়টি দেশকে ব্রিকস-এ যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
-
দেশগুলো হলো: সৌদি আরব, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), মিশর, ইথিওপিয়া এবং আর্জেন্টিনা।
-
এই দেশগুলো ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিকসের সদস্য হবে।
-
মূল পাঁচটি দেশ মনে করছে যে এই ছয়টি দেশ বর্তমান সময়ে যোগদানের যোগ্য।
তথ্যসূত্র: প্রথম আলো, ২৫ আগস্ট ২০২৩

0
Updated: 1 week ago
কোনটি নিরস্ত্রীকরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়?
Created: 3 days ago
A
NATO
B
SALT
C
NPT
D
CTBT
পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও সামরিক জোট
1. SALT (Strategic Arms Limitation Talks)
-
উদ্দেশ্য: কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা সীমিত করা।
-
শুরু: ১৯৬৯ সালে, হেলসিংকিতে।
-
পক্ষ: যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন।
-
চুক্তি:
-
SALT-I: ২৬ মে ১৯৭২
-
SALT-II: ১৮ জুন ১৯৭৯
-
-
গুরুত্বপূর্ণ শর্ত: পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা ‘ফ্রিজ’ করা, কোনো পক্ষ সংখ্যা বাড়াতে পারবে না।
-
অনুপ্রেরণা: Anti-Ballistic Missile Treaty।
2. NPT (Nuclear Non-Proliferation Treaty)
-
উদ্দেশ্য: পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ।
-
স্বাক্ষরিত: ১ জুলাই ১৯৬৮
-
কার্যকর: ৫ মার্চ ১৯৭০
-
স্বাক্ষরকারী দেশ: ১৯১টি
-
পারমাণবিক শক্তিধর দেশ: চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া ও ইসরায়েল।
3. CTBT (Comprehensive Nuclear Test Ban Treaty)
-
উদ্দেশ্য: সব ধরনের পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধ করা।
-
গ্রহণ: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬
-
স্বাক্ষরিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬
-
স্বাক্ষরকারী দেশ: ১৮৭টি
4. NATO (North Atlantic Treaty Organisation)
-
স্বরূপ: উত্তর আটলান্টিক চুক্তির ভিত্তিতে তৈরি একটি সামরিক জোট।
-
লক্ষ্য: পশ্চিম ইউরোপে সম্মিলিত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
-
প্রতিষ্ঠিত: ৪ এপ্রিল ১৯৪৯
-
সদস্য:
-
প্রতিষ্ঠাতা: ১২টি
-
বর্তমান: ৩২টি (সর্বশেষ: সুইডেন)
-
-
সদর দপ্তর: ব্রাসেলস, বেলজিয়াম
-
মুসলিম দেশ: আলবেনিয়া ও তুরস্ক
উল্লেখযোগ্য:
-
SALT, NPT, CTBT পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে যুক্ত।
-
NATO পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নয়; এটি একটি সামরিক জোট।
উৎস: Arms Control Association, NATO অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

0
Updated: 3 days ago