জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির ব্যাপকতা তুলে ধরার জন্য কোন দেশটি সমুদ্রের গভীরে মন্ত্রিসভার বৈঠক করেছে?
A
ফিজি
B
পাপুয়া নিউগিনি
C
গোয়াম
D
মালদ্বীপ
উত্তরের বিবরণ
মালদ্বীপে সমুদ্রের তলদেশে মন্ত্রিসভার বৈঠক
মালদ্বীপ সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির গুরুত্ব বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিতে একটি অনন্য উদ্যোগ নিয়েছে। ভারত মহাসাগরের তলদেশে ডুবুরির পোশাকে মন্ত্রীসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের নেতৃত্বে মন্ত্রীরা এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকের জন্য বিশেষভাবে টেবিল বসানো হয়, যার চারপাশে প্রবাল এবং উজ্জ্বল রঙের মাছের মধ্য দিয়ে মন্ত্রীরা হাতের ইশারায় আলোচনা করেন এবং দলিলে স্বাক্ষর করেন। যারা স্কুবা ডাইভিং জানতেন না, তাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, এবং প্রত্যেক মন্ত্রীর সঙ্গে একজন প্রশিক্ষক থাকতেন।
বৈঠকের পর জলের ওপর উঠে সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট নাশিদ জানান, এই অভিনব উদ্যোগের মাধ্যমে তারা বিশ্বের কাছে জরুরি বার্তা পাঠাতে চেয়েছেন। বৈঠকে মন্ত্রীসভার একমাত্র মহিলা সদস্যও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, বৈঠক থেকে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গমন কমানোর আহ্বান জানানো হয়।
উল্লেখযোগ্য, ২০০৯ সালে নেপালের প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার এবং অন্যান্য ২২ জন মন্ত্রী হিমালয়ের কালাপাথর শৃঙ্গ থেকে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭,১৯২ ফুট উচ্চতায় বৈঠক করেছিলেন। নেপালের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে হিমালয়ের বরফ বিপজ্জনকভাবে গলছে এবং এতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে নেপাল অন্যতম। তিনি তুষারের স্বাভাবিক চূড়ান্ত দৃশ্য ও তুষারঝড় দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা, ১৭ অক্টোবর ২০০৯; ডয়েচভেলে রিপোর্ট।

0
Updated: 1 month ago
বর্তমান বিশ্বের কোন দেশটির সংবিধানকে 'শান্তি সংবিধান' বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
জাপান
B
পেরু
C
কোস্টারিকা
D
সুইজারল্যান্ড
জাপানের সংবিধান ও ‘শান্তির সংবিধান’
জাপানের সংবিধানকে প্রায়শই ‘শান্তির সংবিধান’ বলা হয়। এর প্রধান কারণ হলো সংবিধানের ৯ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জাপান আত্মরক্ষা ব্যতীত কোনো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
প্রেক্ষাপট:
-
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান পরাজিত হলে বর্তমান সংবিধান প্রণয়ন করা হয়।
-
১৯৪৬ সালের এপ্রিল মাসে জাপানের সংসদ (ডায়েট) সংবিধান প্রস্তাব করে এবং ৩ নভেম্বর ১৯৪৬ সালে এটি গৃহীত হয়।
-
কার্যকর হয় ৩ মে ১৯৪৭ সালে।
-
সংবিধান প্রণয়নে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি প্রভাব ছিল।
-
এটি পূর্বে প্রযোজ্য মেইজি সংবিধান (Meiji Constitution)-এর পরিবর্তে প্রণয়িত হয়।
Article 9 (যুদ্ধ বর্জন):
"Aspiring sincerely to an international peace based on justice and order, the Japanese people forever renounce war as a sovereign right of the nation and the threat or use of force as means of settling international disputes. In order to accomplish the aim of the preceding paragraph, land, sea, and air forces, as well as other war potential, will never be maintained. The right of belligerency of the state will not be recognized."
সংক্ষেপে, এই অনুচ্ছেদ জাপানকে আত্মরক্ষা ব্যতীত কোনো সামরিক আক্রমণ বা যুদ্ধের অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখে।
তবে, ২০১৫ সালে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে কিছু ক্ষেত্রে যুদ্ধ বা সামরিক পদক্ষেপের অনুমতি দেওয়া হয়, যার ফলে অনেকেই এখন জাপানের সংবিধানকে সম্পূর্ণ শান্তির সংবিধান হিসেবে মানতে নারাজ।
উৎস: এনসাইক্লোপেডিয়া ব্রিটানিকা ও জাপানের সরকারি ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago
আন্তর্জাতিক বিচার আদালত রােহিঙ্গা গণহত্যা বিষয়ক অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে মিয়ানমারকে কয়টি নির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছে?
Created: 1 month ago
A
৩টি
B
২টি
C
৫টি
D
৪টি
রোহিঙ্গা ইস্যুতে গাম্বিয়ার করা মামলার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (ICJ) ২৩ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মিয়ানমারের প্রতি চারটি অন্তর্বর্তী নির্দেশনা জারি করে।
এই মামলায় মিয়ানমারকে ২০২১ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তার পক্ষের বক্তব্য আদালতে পেশ করতে বলা হয়। আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত সংক্রান্ত মূল তথ্যগুলো হলো:
-
ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (ICJ) হলো জাতিসংঘের প্রধান বিচার বিভাগীয় সংস্থা।
-
এটি ১৯৪৫ সালে সান ফ্রান্সিসকো সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৪৬ সালে কার্যক্রম শুরু করে।
-
সদরদপ্তর: হেগ, নেদারল্যান্ডস।
-
বর্তমান প্রেসিডেন্ট: নওয়াফ সালাম।
-
বিচারক সংখ্যা: ১৫ জন।
-
বিচারক নির্বাচন করা হয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এবং নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে, একজন বিচারক নির্বাচিত হন ৯ বছরের জন্য, এবং আদালতের সভাপতি নির্বাচিত হন ৩ বছরের জন্য।
-
এই আদালত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং আগ্রাসনমূলক অপরাধের জন্য রাষ্ট্র ও ব্যক্তিদের বিচার করতে সক্ষম।

0
Updated: 1 month ago
এসকাপের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
Created: 2 months ago
A
ব্যাংকক
B
সিঙ্গাপুর
C
দিল্লী
D
কলম্বো
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (ECOSOC)
ECOSOC-এর অধীনে পাঁচটি আঞ্চলিক কমিশন রয়েছে। এই কমিশনগুলো বিভিন্ন অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে।
এই পাঁচটি কমিশন হলো:
১. ইউরোপের জন্য অর্থনৈতিক কমিশন (ECE)
– সদর দপ্তর: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।
২. আফ্রিকার জন্য অর্থনৈতিক কমিশন (ECA)
– সদর দপ্তর: আদ্দিস আবাবা, ইথিওপিয়া।
৩. ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের জন্য অর্থনৈতিক কমিশন (ECLAC)
– সদর দপ্তর: সান্টিয়াগো, চিলি।
৪. এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ESCAP)
– সদর দপ্তর: ব্যাংকক, থাইল্যান্ড।
৫. পশ্চিম এশিয়ার জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ESCWA)
– সদর দপ্তর: বৈরুত, লেবানন।
ESCAP সম্পর্কে বিস্তারিত:
-
পূর্ণরূপ: UN Economic and Social Commission for Asia and the Pacific
(বাংলায়: এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন) -
গঠনের তারিখ: ২৮ মার্চ, ১৯৪৭
-
প্রতিষ্ঠানের স্থান: সাংহাই, চীন
-
বর্তমান সদর দপ্তর: ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
-
সদস্য দেশের সংখ্যা: ৫৩টি
তথ্যসূত্র: ESCAP-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

0
Updated: 2 months ago