A
জাপান
B
পেরু
C
কোস্টারিকা
D
সুইজারল্যান্ড
উত্তরের বিবরণ
জাপানের সংবিধান ও ‘শান্তির সংবিধান’
জাপানের সংবিধানকে প্রায়শই ‘শান্তির সংবিধান’ বলা হয়। এর প্রধান কারণ হলো সংবিধানের ৯ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জাপান আত্মরক্ষা ব্যতীত কোনো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
প্রেক্ষাপট:
-
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান পরাজিত হলে বর্তমান সংবিধান প্রণয়ন করা হয়।
-
১৯৪৬ সালের এপ্রিল মাসে জাপানের সংসদ (ডায়েট) সংবিধান প্রস্তাব করে এবং ৩ নভেম্বর ১৯৪৬ সালে এটি গৃহীত হয়।
-
কার্যকর হয় ৩ মে ১৯৪৭ সালে।
-
সংবিধান প্রণয়নে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি প্রভাব ছিল।
-
এটি পূর্বে প্রযোজ্য মেইজি সংবিধান (Meiji Constitution)-এর পরিবর্তে প্রণয়িত হয়।
Article 9 (যুদ্ধ বর্জন):
"Aspiring sincerely to an international peace based on justice and order, the Japanese people forever renounce war as a sovereign right of the nation and the threat or use of force as means of settling international disputes. In order to accomplish the aim of the preceding paragraph, land, sea, and air forces, as well as other war potential, will never be maintained. The right of belligerency of the state will not be recognized."
সংক্ষেপে, এই অনুচ্ছেদ জাপানকে আত্মরক্ষা ব্যতীত কোনো সামরিক আক্রমণ বা যুদ্ধের অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখে।
তবে, ২০১৫ সালে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে কিছু ক্ষেত্রে যুদ্ধ বা সামরিক পদক্ষেপের অনুমতি দেওয়া হয়, যার ফলে অনেকেই এখন জাপানের সংবিধানকে সম্পূর্ণ শান্তির সংবিধান হিসেবে মানতে নারাজ।
উৎস: এনসাইক্লোপেডিয়া ব্রিটানিকা ও জাপানের সরকারি ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 week ago
এসকাপের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
ব্যাংকক
B
সিঙ্গাপুর
C
দিল্লী
D
কলম্বো
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (ECOSOC)
ECOSOC-এর অধীনে পাঁচটি আঞ্চলিক কমিশন রয়েছে। এই কমিশনগুলো বিভিন্ন অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে।
এই পাঁচটি কমিশন হলো:
১. ইউরোপের জন্য অর্থনৈতিক কমিশন (ECE)
– সদর দপ্তর: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।
২. আফ্রিকার জন্য অর্থনৈতিক কমিশন (ECA)
– সদর দপ্তর: আদ্দিস আবাবা, ইথিওপিয়া।
৩. ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের জন্য অর্থনৈতিক কমিশন (ECLAC)
– সদর দপ্তর: সান্টিয়াগো, চিলি।
৪. এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ESCAP)
– সদর দপ্তর: ব্যাংকক, থাইল্যান্ড।
৫. পশ্চিম এশিয়ার জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ESCWA)
– সদর দপ্তর: বৈরুত, লেবানন।
ESCAP সম্পর্কে বিস্তারিত:
-
পূর্ণরূপ: UN Economic and Social Commission for Asia and the Pacific
(বাংলায়: এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন) -
গঠনের তারিখ: ২৮ মার্চ, ১৯৪৭
-
প্রতিষ্ঠানের স্থান: সাংহাই, চীন
-
বর্তমান সদর দপ্তর: ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
-
সদস্য দেশের সংখ্যা: ৫৩টি
তথ্যসূত্র: ESCAP-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago
SDR (Special Drawing Rights) সুবিধা প্রবর্তনের জন্য কত সালে IMF এর গঠনতন্ত্র (Articles) সংশোধন করা হয়েছিল?
Created: 3 days ago
A
১৯৬৯
B
১৯৭১
C
১৯৭৫
D
১৯৭৮
SDR (Special Drawing Rights) সংক্রান্ত সহজ ব্যাখ্যা
-
SDR-এর পূর্ণরূপ: Special Drawing Rights।
-
প্রকৃতি: এটি IMF-এর নিজস্ব এক ধরনের ভার্চুয়াল সম্পদ; কোনো বাস্তব মুদ্রা নয়।
-
মূল উদ্দেশ্য: সদস্য দেশগুলোকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে সহায়তা করা।
-
মূল্য নির্ধারণ: SDR-এর মান মার্কিন ডলার, ইউরো, চীনা রেনমিনবি, জাপানি ইয়েন ও ব্রিটিশ পাউন্ড—এই পাঁচটি মুদ্রার একটি আনুপাতিক গড় হিসেবে নির্ধারিত হয়।
-
ব্যবহার:
-
কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো SDR-এর মানকে তাদের রিজার্ভ হিসাবের অংশ হিসেবে গণনা করতে পারে।
-
যেকোনো দেশের মুদ্রার সঙ্গে SDR বিনিময় করা সম্ভব।
-
-
মূল্য হালনাগাদ: SDR-এর মূল্য প্রতিদিন লন্ডনের স্পট এক্সচেঞ্জ হারের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়।
-
ইতিহাস:
-
১৯৬৯ সালে IMF-এর Articles সংশোধন করা হয় SDR সুবিধা প্রবর্তনের জন্য।
-
১৯৭১ সালে মার্কিন ডলারের সাথে স্বর্ণের সম্পর্ক স্থগিত হওয়ার পর ব্রেটন উডস চুক্তি ভেঙে যায়।
-
১৯৭৩ সালে SDR পুনঃসজ্ঞায়িত করা হয় এবং একাধিক মুদ্রার ঝুড়ির সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়।
-
-
অর্থ সংগ্রহের উৎস: IMF মূলত তিনটি উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহ করে—(১) সদস্যদের চাঁদা, (২) ঋণ গ্রহণ, এবং (৩) দ্বিপক্ষীয় ঋণচুক্তি।
উৎস: IMF ওয়েবসাইট।

0
Updated: 3 days ago
নিম্নের কোনটি গ্রিন হাউজ গ্যাস নয়?
Created: 3 days ago
A
নাইট্রাস অক্সাইড
B
কার্বন ডাই-অক্সাইড
C
অক্সিজেন
D
মিথেন
গ্রিন হাউস এবং গ্রিন হাউস গ্যাস
গ্রিন হাউস:
গ্রিন হাউস হলো কাচ বা স্বচ্ছ উপকরণ দিয়ে তৈরি একটি ঘর, যেখানে উদ্ভিদ বা শাকসবজি চাষ করা হয়। এটি তাপ ধরে রাখে এবং উদ্ভিদ বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। সাধারণত শীতপ্রধান দেশগুলো বা মরুভূমি অঞ্চলে এর ব্যবহার বেশি।
গ্রিন হাউস গ্যাস:
গ্রিন হাউস গ্যাসগুলো এমন গ্যাস যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাপ ধরে রাখে, সূর্য থেকে আসা তাপ বিকিরণকে আটকে দেয় এবং পৃথিবীকে গরম করে। প্রধান গ্রিন হাউস গ্যাসগুলো হলো:
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂)
-
মিথেন (CH₄)
-
নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O)
-
ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (CFCs)
এখানে জেনে রাখা জরুরি: অক্সিজেন গ্রিন হাউস গ্যাস নয়।
গ্রিন হাউস ইফেক্ট:
যখন গ্রিন হাউস গ্যাসগুলো সূর্য থেকে আসা তাপকে আটকে দিয়ে বায়ুমণ্ডলকে গরম করে, তখন সেই প্রক্রিয়াটিকে গ্রিন হাউস ইফেক্ট বলা হয়। এই শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন সুইডিশ রসায়নবিদ সোভান্টে আরহেনিয়াস।
গ্রিন হাউস প্রভাব এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন:
বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে:
-
পৃথিবীর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে (বৈশ্বিক উষ্ণায়ন)।
-
সমুদ্রপৃষ্ঠের পানি বাড়ছে।
-
আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে।
-
প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা ও তীব্রতা বাড়ছে।
-
অনেক প্রাণী এবং উদ্ভিদ প্রজাতি বিলুপ্তির পথে যাচ্ছে।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 3 days ago