'গ্লাসনস্ত নীতি' কোন দেশে চালু হয়েছিল?
A
চীন
B
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন
C
হাঙ্গেরি
D
পোল্যান্ড
উত্তরের বিবরণ
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে ‘গ্লাসনস্ত’ ও ‘পেরেস্ত্রোইকা’ নীতি
সোভিয়েত ইউনিয়নে ১৯৮৫ সালে মিখাইল গর্বাচেভ ক্ষমতায় আসার পর দুইটি সংস্কারমূলক নীতি চালু করেন: গ্লাসনস্ত এবং পেরেস্ত্রোইকা।
গ্লাসনস্ত নীতি
-
অর্থ: “খোলা দরজা” বা খোলামেলা আলোচনা।
-
উদ্দেশ্য: সোভিয়েত নাগরিকদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
-
এটি ছিল রাজনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি, যার মাধ্যমে সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় গণমত ও স্বচ্ছতা আনতে চাওয়া হয়।
-
গ্লাসনস্ত নীতির আওতায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পদক্ষেপ ছিল:
১. নির্বাচিত কোনো ব্যক্তি একই পদে একের বেশিবার দুবারের বেশি থাকতে পারবে না।
২. “কংগ্রেস অব পিপলস ডেপুটি” হবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব, যার সদস্য সংখ্যা হবে ২২৫০।
৩. ডেপুটিদের মধ্য থেকে একটি স্থায়ী কার্যনির্বাহী “সুপ্রিম সোভিয়েত” নির্বাচিত হবে।
৪. রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে কংগ্রেস অব পিপলস ডেপুটি গোপন ভোটে নির্বাচন করবে। -
উল্লেখযোগ্য: গ্লাসনস্তের জন্য গর্বাচেভ ১৯৯০ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।
পেরেস্ত্রোইকা নীতি
-
অর্থ: অর্থনৈতিক পুনর্গঠন।
-
এটি ছিল অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি, যার লক্ষ্য ছিল সোভিয়েত অর্থনীতিতে আধুনিকীকরণ এবং দক্ষতা বৃদ্ধি।
সূত্র: তারেক শামসুর রেহমান, বিশ্বরাজনীতির ১০০ বছর

0
Updated: 1 month ago
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
Created: 2 months ago
A
লন্ডন
B
ব্রাসেলস
C
বন
D
প্যারিস
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU)
-
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা EU হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক জোট।
-
এটি গঠিত হয়েছে ১ নভেম্বর, ১৯৯৩ সালে।
-
এর প্রধান কার্যালয় বেলজিয়ামের ব্রাসেলস শহরে।
-
শুরুতে এই জোটে ছিল ৬টি দেশ।
-
বর্তমানে EU-ভুক্ত দেশের সংখ্যা ২৭টি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো হলো
অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন এবং সুইডেন।
আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
-
EU-এর একক মুদ্রার নাম ইউরো।
-
ইউরো মুদ্রার ধারণা দিয়েছিলেন অর্থনীতিবিদ রবার্ট মুন্ডেল।
-
ইউরো চালু হয় ১ জানুয়ারি, ১৯৯৯ সালে।
-
EU দেশগুলোর সীমান্ত রক্ষার জন্য একটি বাহিনী রয়েছে, যার নাম FRONTEX।
তথ্যসূত্র: ইউরোপীয় ইউনিয়নের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

0
Updated: 2 months ago
IAEA-এর সদর দপ্তর হচ্ছে:
Created: 1 month ago
A
জেনেভা
B
ভিয়েনা
C
ওয়াশিংটন
D
প্যারিস
IAEA-এর সদর দপ্তর ও তথ্য
IAEA বা International Atomic Energy Agency হলো একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা পারমাণবিক শক্তি সংক্রান্ত নিরাপত্তা, গবেষণা এবং শান্তিপূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে।
-
প্রতিষ্ঠা: ২৯ জুলাই, ১৯৫৭
-
সদস্য দেশ: ১৭৮টি (সর্বশেষ: গিনি)
-
সদর দপ্তর: ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া
-
বর্তমান মহাপরিচালক: রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসি (আর্জেন্টিনা)
-
বিশেষ অর্জন: ২০০৫ সালে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার অর্জন
-
বাংলাদেশের সদস্যপদ: ১৯৭২ সালে
উৎস: IAEA ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago
Who is known as the 'Lady of the Lamp'?
Created: 1 month ago
A
Sorojini Naidu
B
Hellen Killer
C
Florence Nightingale
D
Madame Teresa
ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল
-
ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল আধুনিক নার্সিং পেশার অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত।
-
তিনি ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে জন্মগ্রহণ করেন ১২ মে, ১৮২০ সালে।
-
‘লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প’ নামেও তার খ্যাতি আছে।
-
১৩ আগস্ট, ১৯১০ সালে তিনি লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন।
নার্সিং এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অবদান:
-
ক্রিমিয়ার যুদ্ধে (১৮৫৩–১৮৫৬) আহত সৈন্যদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তিনি সক্রিয়ভাবে কাজ করেন। দিনে কাজ করে রাতে আহত সৈন্যদের সেবা দেওয়ায় তিনি বিশেষ খ্যাতি পান।
-
লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালে নার্সিং পেশাকে পেশাদার রূপ দেওয়ার জন্য ১৮৬০ সালে তিনি ‘নাইটিঙ্গেল ট্রেনিং স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন। এটি বর্তমানে ‘ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল স্কুল অব নার্সিং’ নামে পরিচিত।
-
ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে তার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
সম্মাননা:
-
১৮৮৩ সালে রানি ভিক্টোরিয়া তাকে ‘রয়েল রেডক্রস’ পদক প্রদান করেন।
-
প্রথম নারী হিসেবে ১৯০৭ সালে তিনি ‘অর্ডার অব মেরিট’ খেতাব লাভ করেন।
-
১৯০৮ সালে লন্ডন নগরী তাকে ‘অনারারি ফ্রিডম’ উপাধি প্রদান করে।
উৎস: Britannica.

0
Updated: 1 month ago