A
নিকট প্রাচ্য
B
পূর্ব আফ্রিকা
C
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া
D
পূর্ব ইউরোপ
উত্তরের বিবরণ
ডমিনো তত্ত্ব (Domino Theory)
-
সংজ্ঞা: ডমিনো তত্ত্ব হলো একটি পররাষ্ট্র নীতি, যা যুক্তরাষ্ট্র স্নায়ুযুদ্ধের সময়ে গ্রহণ করেছিল। তত্ত্বটি বলেছে, “যদি কোনো একটি দেশে সাম্যবাদীরা ক্ষমতায় আসে, তবে কাছাকাছি থাকা অন্যান্য দেশগুলিও ক্রমান্বয়ে সাম্যবাদীদের দখলে চলে যাবে।”
-
লক্ষ্য: মূল লক্ষ্য ছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সাম্যবাদের বিস্তার রোধ করা।
-
ইতিহাস: ১৯৫০ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এই তত্ত্বকে নীতি হিসেবে প্রচার করেছিল। সাবেক প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস. ট্রুম্যান তত্ত্বের প্রবর্তক, কিন্তু এটি প্রথম বাস্তবে প্রয়োগ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার।
-
প্রয়োগ: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র এই নীতি ব্যবহার করেছিল।
উৎস: History.com

0
Updated: 1 week ago
১৯৮৯ থেকে ওজনস্তর বিষয়ক মন্ট্রিল প্রটোকল কতবার সংশোধন করা হয়?
Created: 1 week ago
A
৫
B
৮
C
৪
D
৭
মন্ট্রিয়াল প্রটোকল সংশোধনী (Amendments)
মন্ট্রিয়াল প্রটোকল ১৯৮৭ সালে কানাডার মন্ট্রিয়াল শহরে গৃহীত হয়। এর মূল লক্ষ্য হলো ওজোনস্তর ক্ষয়কারী পদার্থের (Ozone Depleting Substances) উৎপাদন ও ব্যবহার ধাপে ধাপে কমানো এবং পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর রক্ষা করা।
পরবর্তীতে হাইড্রোফ্লোরোক্রোবন (HFCs) নিয়ন্ত্রণের জন্যও প্রটোকল সম্প্রসারিত হয়েছে।
প্রটোকলের আওতায় পার্টিরা প্রতি বছর মিলিত হয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, যার মধ্যে রয়েছে প্রটোকল “adjust” বা “amend” করা। এখন পর্যন্ত মোট ছয়টি সংশোধনী/Amendment করা হয়েছে। তবে, কিছু উৎসে কয়েকটি সংশোধনী তালিকাভুক্ত না থাকায় সংখ্যার মধ্যে সামান্য পার্থক্য দেখা যায়।
সংখ্যা ও সংশোধনীর তালিকা (Sources অনুযায়ী):
-
United Nations Environment Programme (UNEP) অনুসারে: প্রটোকল ৬ বার সংশোধন করা হয়েছে, তবে Amendments-এর তালিকায় মাত্র ৫টি উল্লেখ আছে:
-
London (1990)
-
Copenhagen (1992)
-
Montreal (1997)
-
Beijing (1999)
-
Kigali (2016)
(উৎস: UNEP – Montreal Protocol Amendments)
-
-
Australian Government – Department of Agriculture, Water and the Environment অনুযায়ী: ৬টি Amendment-এর তালিকা দেওয়া হয়েছে:
-
London (1990)
-
Copenhagen (1992)
-
Vienna (1995)
-
Montreal (1997)
-
Beijing (1999)
-
Kigali (2016)
(উৎস: Australia Environment)
-
যেহেতু উৎসগুলোর মধ্যে তালিকাভুক্ত সংশোধনীর সংখ্যা ভিন্ন, তাই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় ৫ বা ৬ দুটোই যৌক্তিক হতে পারে। অধিকাংশ পরীক্ষামূলক প্রশ্নে ৫টি Amendmentকে গ্রহণ করা হয়, কারণ তা UNEP-এর অফিসিয়াল Amendments List অনুযায়ী।

0
Updated: 1 week ago
প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহরের সদর দপ্তর হচ্ছে-
Created: 1 week ago
A
ইউকোসুক
B
হাওয়াই
C
গোয়াম
D
সুবিক বে
প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহর
-
সদর দপ্তর: সপ্তম নৌবহরের প্রধান ঘাটি জাপানের ইয়াকোসুকে অবস্থিত।
-
সংখ্যা ও সক্ষমতা: এতে প্রায় ৬০–৭০টি জাহাজ, ৩০টি বিমান এবং প্রায় ৪০,০০০ নৌসৈনিক, মেরিন কর্পস ও কোস্টগার্ড সদস্য রয়েছেন।
-
প্রধান ভূমিকা: এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক ফ্লিটের অংশ এবং মূল ভূখণ্ডের বাইরে দেশের সবচেয়ে বড় নৌবাহিনী।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর, সপ্তম নৌবহরের কিছু জাহাজ নিয়ে ‘টাস্কফোর্স ৭৪’ গঠন করা হয়।
-
এই জাহাজগুলো সিঙ্গাপুরে মিলিত হয়ে বঙ্গোপসাগরের দিকে যাত্রা শুরু করে।
-
গুরুত্বপূর্ণ জাহাজগুলোর মধ্যে রয়েছে USS Enterprise এবং অ্যাম্ফিবিয়াস অ্যাসল্ট শিপ USS Tripoli।
উৎস: এনসাইক্লোপিডিয়া অব ব্রিটানিকা, কালের কন্ঠ পত্রিকা এবং মার্কিন নৌবাহিনীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 week ago
নিম্নের কোনটি গ্রিন হাউজ গ্যাস নয়?
Created: 3 days ago
A
নাইট্রাস অক্সাইড
B
কার্বন ডাই-অক্সাইড
C
অক্সিজেন
D
মিথেন
গ্রিন হাউস এবং গ্রিন হাউস গ্যাস
গ্রিন হাউস:
গ্রিন হাউস হলো কাচ বা স্বচ্ছ উপকরণ দিয়ে তৈরি একটি ঘর, যেখানে উদ্ভিদ বা শাকসবজি চাষ করা হয়। এটি তাপ ধরে রাখে এবং উদ্ভিদ বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। সাধারণত শীতপ্রধান দেশগুলো বা মরুভূমি অঞ্চলে এর ব্যবহার বেশি।
গ্রিন হাউস গ্যাস:
গ্রিন হাউস গ্যাসগুলো এমন গ্যাস যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাপ ধরে রাখে, সূর্য থেকে আসা তাপ বিকিরণকে আটকে দেয় এবং পৃথিবীকে গরম করে। প্রধান গ্রিন হাউস গ্যাসগুলো হলো:
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂)
-
মিথেন (CH₄)
-
নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O)
-
ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (CFCs)
এখানে জেনে রাখা জরুরি: অক্সিজেন গ্রিন হাউস গ্যাস নয়।
গ্রিন হাউস ইফেক্ট:
যখন গ্রিন হাউস গ্যাসগুলো সূর্য থেকে আসা তাপকে আটকে দিয়ে বায়ুমণ্ডলকে গরম করে, তখন সেই প্রক্রিয়াটিকে গ্রিন হাউস ইফেক্ট বলা হয়। এই শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন সুইডিশ রসায়নবিদ সোভান্টে আরহেনিয়াস।
গ্রিন হাউস প্রভাব এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন:
বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে:
-
পৃথিবীর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে (বৈশ্বিক উষ্ণায়ন)।
-
সমুদ্রপৃষ্ঠের পানি বাড়ছে।
-
আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে।
-
প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা ও তীব্রতা বাড়ছে।
-
অনেক প্রাণী এবং উদ্ভিদ প্রজাতি বিলুপ্তির পথে যাচ্ছে।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 3 days ago