ম্যানগ্রোভ কি?
A
কেওড়া বন
B
শালবন
C
উপকূলীয় বন
D
চিরহরিৎ বন
উত্তরের বিবরণ
ম্যানগ্রোভ বন
ম্যানগ্রোভ বলতে সাধারণভাবে সেই বিস্তীর্ণ জলাভূমিকে বোঝায় যা জোয়ার-ভাটার সময় প্লাবিত হয়। অর্থাৎ, এটি এমন উপকূলীয় বন যেখানে জোয়ার-ভাটার কারণে জমি মাঝে মাঝে পানিতে ডুবে যায়। ম্যানগ্রোভ বন সাধারণত লবণাক্ত মাটিতে জন্মায়।
সুন্দরবন
-
সুন্দরবন হলো বিশ্বের বৃহত্তম প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বন।
-
এর মোট আয়তন প্রায় ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার।
-
বাংলাদেশের সুন্দরবন প্রায় ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত, যা মোট সুন্দরবনের প্রায় ৬২%।
-
সুন্দরবন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার সঙ্গে সংলগ্ন।
-
প্রধান বৃক্ষ হলো সুন্দরী। এছাড়াও এখানে গরান, গেওয়া, কেওড়া, ধুন্দল, গোলপাতা ইত্যাদি গাছ পাওয়া যায়।
-
১৮৭৮ সালে সুন্দরবনের পুরো এলাকা সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
-
৭ ডিসেম্বর, ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো সুন্দরবনকে বিশ্বের ৭৯৮তম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্থান হিসেবে ঘোষণা করে।
সূত্রঃ বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
সমাজের শিক্ষিত শ্রেণীর যে অংশ সরকার বা কর্পোরেট গ্রুপে থাকে না, কিন্তু সকলের উপর প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা রাখে-
Created: 1 month ago
A
রাজনৈতিক দল
B
সুশীল সমাজ
C
বিচার বিভাগ
D
প্রশাসন বিভাগ
সুশীল সমাজ (Civil Society)
-
সুশীল সমাজ হলো সমাজের শিক্ষিত ও সচেতন মানুষদের একটি অংশ, যারা সরকার বা বড় কোম্পানিতে চাকরি করেন না, তবুও সমাজের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখতে সক্ষম।
-
এটি কোনো রাজনৈতিক দলের বা সরকারের পক্ষপাতিত্বে কাজ করে না এবং নির্দিষ্ট মতাদর্শ প্রচার করা সুশীল সমাজের কাজ নয়।
-
সুশীল সমাজ চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর অংশ হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে।
-
আজকাল সুশীল সমাজ মানবসম্পদ উন্নয়ন, সমাজসেবা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
-
এটি সরকারের জবাবদিহিতা, দায়িত্বশীলতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
-
সুশীল সমাজ সরকারকে গঠনমূলক সমালোচনা করে, যার ফলে সরকার সহজেই তাদের পরামর্শ বা সুপারিশকে উপেক্ষা করতে পারে না।
-
এছাড়া, সমাজে সাম্প্রদায়িক শান্তি বজায় রাখা এবং মানবাধিকার রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করা সুশীল সমাজের দায়িত্ব।
তথ্যসূত্র: পৌরনীতি ও সুশাসন, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, ১ম পত্র, প্রফেসর মো. মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 month ago
জুম চাষ হয়-
Created: 1 month ago
A
বরিশালে
B
ময়মনসিংহে
C
খাগড়াছড়িতে
D
দিনাজপুরে
জুম চাষ (Jhum Cultivation) বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে প্রচলিত এক প্রাচীন চাষাবাদ পদ্ধতি। এর মূল বৈশিষ্ট্য হলো—এক জায়গায় কয়েক বছর চাষ করার পর জমির উর্বরতা পুনরুদ্ধারের জন্য সেটি ফেলে রেখে পাহাড়ের অন্য জায়গায় চাষ শুরু করা। অর্থাৎ জমি পরিবর্তনের মাধ্যমে চাষ করাকেই জুম বলা হয়।
এই চাষের জন্য প্রথমে পাহাড়ের জঙ্গল পরিষ্কার করা হয়, তারপর সেখানে ফসল ফলানো হয়। যারা এই চাষ করেন, তাঁদের বলা হয় জুমিয়া। পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জীবিকার প্রধান ভরসা হলো জুম চাষ। বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হয়।
জুমে সাধারণত যেসব ফসল জন্মে তার মধ্যে রয়েছে—ধান, ভুট্টা, কাউন, তিল, শসা, মিষ্টি কুমড়া, তরমুজ, বরবটি, তুলা, কলা, আদা ও হলুদ।
বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলা—রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানেই মূলত জুম চাষ হয়ে থাকে।
উৎস: বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 month ago
[তৎকালীন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। অনুগ্রহ করে বর্তমান তথ্য দেখে নিন] ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশে নারী-পুরুষের অনুপাত-
Created: 1 month ago
A
১০০ : ১০৬
B
১০০ : ১০০.৬
C
১০০ : ১০০.৩
D
১০০ : ১০০
[তৎকালীন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। অনুগ্রহ করে বর্তমান তথ্য দেখে নিন]
বাংলাদেশের সর্বশেষ (পঞ্চম) আদমশুমারি ২০১১ অনুযায়ী,
- নারীর সংখ্যা ৭,৪৭,৯১,৯৭৮ জন এবং পুরুষের সংখ্যা ৭,৪৯,৮০,৩৮৬ জন।
- নারী ও পুরুষের অনুপাত ১০০ : ১০০.৩।
--------------------
৬ষ্ঠ আদমশুমারির তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশের:
মোট জনসংখ্যা (প্রাথমিক হিসাবে) : ১৬,৫১,৫৮,৬১৬
- পুরুষ জনসংখ্যা : ৮.১৭ কোটি
- নারী জনসংখ্যা : ৮.৩৩ কোটি।
চূড়ান্ত হিসাবে মোট জনসংখ্যা : ১৬,৯৮,২৮,৯১১)
- পুরুষ জনসংখ্যা : ৮.৪০ কোটি
- নারী জনসংখ্যা : ৮.৫৬ কোটি।
- পুরুষ-নারীর অনুপাত ৯৮ : ১০০।
তথ্যসূত্র: ৬ষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রাথমিক প্রতিবেদন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ওয়েবসাইট এবং লাইভ এমসিকিউ সাম্প্রতিক সমাচার।

0
Updated: 1 month ago