A
রাজশাহী
B
ঢাকা
C
চট্টগ্রাম
D
সিলেট
উত্তরের বিবরণ
সিলেটকে ‘৩৬০ আউলিয়ার দেশ’ বলা হয়
সিলেট অঞ্চলকে ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় কারণে ‘৩৬০ আউলিয়ার দেশ’ হিসেবে পরিচিত করা হয়। এর পেছনের কারণ হলো:
-
হযরত শাহজালাল (র.) ছিলেন উপমহাদেশের একজন বিশিষ্ট দরবেশ ও পীর। তিনি ইসলামের আলো সিলেট অঞ্চলে ছড়িয়ে দেন।
-
সিলেটের প্রথম মুসলমান শেখ বোরহান উদ্দিন (র.) রাজা গৌড়গোবিন্দের অত্যাচারের শিকার হন। এই ঘটনার পর হযরত শাহজালাল (র.) ও তাঁর সফরসঙ্গীসহ ৩৬০ আউলিয়া সিলেটে আগমন করেন।
-
এই কারণে সিলেটকে ৩৬০ আউলিয়ার পুণ্যভূমি হিসেবে অভিহিত করা হয়। কেউ কেউ এই অঞ্চলকে ‘পুণ্যভূমি’ হিসেবেও উল্লেখ করেন।
সিলেট জেলার সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
হযরত শাহজালাল (র.) ও হযরত শাহপরাণ (র.)সহ ৩৬০ আউলিয়ার পুণ্যভূমি।
-
সুলতানী আমলে সিলেটের নাম ছিল জালালাবাদ।
-
ইতিহাসে নানকার বিদ্রোহ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
-
জেলা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৭২ সালের ১৭ মার্চ।
-
দেশের বৃহত্তম হাওর হাকালুকি হাওর এখানে অবস্থিত।
-
দেশের সবচেয়ে বেশি চা উৎপাদন হয় সিলেটে।
-
প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ—গ্যাস, তেল, চুনাপাথর, কঠিন শিলা, বালি প্রভৃতি।
-
সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত লালাখাল এলাকায় হয়।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ কবে পৃথক করা হয়?
Created: 4 weeks ago
A
৩১-১০-০৭
B
১-১১-০৭
C
৩-১১-০৭
D
১-১০-০৭
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা
বাংলাদেশে রাষ্ট্রের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ আছে— আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ। এর মধ্যে বিচার বিভাগ মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার শেষ ভরসাস্থল। এই বিভাগ নাগরিকদের অধিকার রক্ষা এবং আইন অনুযায়ী সঠিক বিচার নিশ্চিত করে।
বাংলাদেশের বিচার বিভাগ প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা:
-
উচ্চতর বিচার বিভাগ (যেমন: সুপ্রিম কোর্ট)
-
অধস্তন বিচার বিভাগ (যেমন: জেলা ও নিম্ন আদালত)
বাংলাদেশের সংবিধানের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে যে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা রাখতে হবে। কিন্তু অনেকদিন ধরে এ দুটি বিভাগ একসঙ্গে কাজ করত। অবশেষে ১ নভেম্বর, ২০০৭ সালে বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণভাবে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করা হয়।
এই দিনে, বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছ থেকে বিচারিক ক্ষমতা বুঝে নেন, যা ছিল স্বাধীন বিচার বিভাগের একটি বড় পদক্ষেপ।

0
Updated: 4 weeks ago
স্বাধীন বাংলাদেশকে কখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দান করে?
Created: 3 months ago
A
ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২
B
২৪ জানুয়ারি, ১৯৭২
C
১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২
D
৪ এপ্রিল, ১৯৭২
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রধান প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগকারী এবং সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য দেশ। ৪ এপ্রিল ১৯৭২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রধান কর্মকর্তা হার্বার্ট স্পাইভ্যাক, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের একটি বার্তা পৌঁছে দেন। বার্তায় বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী। পরে, শেখ মুজিবুর রহমান ৯ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে একটি চিঠি প্রেরণ করেন, যেখানে তিনি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭২ সালের ১৮ মে এবং প্রথম অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ডেভিস ইউজিন বোস্টার নিযুক্ত হন।
২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৬১ মিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ২.০৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৭.৭২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে।
অন্যদিকে, এশিয়ার বাইরে প্রথম দেশ হিসেবে পূর্ব জার্মানি ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৪ এপ্রিল ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের মধ্যে সর্বপ্রথম ভেনিজুয়েলা ২ মে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে প্রথম ব্রিটেন ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ সালে, ফ্রান্স ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ সালে, ব্রাজিল ১৫ মে ১৯৭২ সালে এবং আর্জেন্টিনা ২৫ মে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
সূত্র:
১. বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ওয়েবসাইট
২. পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট

0
Updated: 3 months ago
জাতিসংঘের জনসংখ্যা সংক্রান্ত রিপোর্ট ১৯৯৪ অনুযায়ী জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশের স্থান কত?
Created: 3 weeks ago
A
সপ্তম
B
নবম
C
একাদশ
D
ত্রয়োদশ
জাতিসংঘের জনসংখ্যা সংক্রান্ত রিপোর্ট ১৯৯৪ অনুযায়ী জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশের স্থান নবম।
[এটি তৎকালীন সাম্প্রতিক প্রশ্ন যা বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ নয়। পরিবর্তনশীল তথ্যগুলো অনুগ্রহ করে সাম্প্রতিক তথ্য থেকে দেখে নিন। সাম্প্রতিক আপডেট তথ্য জানার জন্য Live MCQ ডাইনামিক ইনফো প্যানেল, সাম্প্রতিক সমাচার বা অথেনটিক সংবাদপত্র দেখুন।]
উল্লেখ্য,
- বিশ্ব জনসংখ্যা রিপোর্ট প্রকাশ করে UNFPA.
- সর্বশেষ ২০২৪ সালের রিপোর্ট অনুসারে, বাংলাদেশের অবস্থান ৮ম।
⇒ বাংলাদেশ:
- বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার উত্তর পূর্ব অংশে অবস্থিত।
- বাংলাদেশের পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরাম রাজ্য এবং মায়ানমারের পাহাড়ী এলাকা এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর।
- সাংবিধানিক নাম: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ,
- আন্তর্জাতিক ডায়ালিং কোড: +৮৮০,
- আন্তর্জাতিক সময় অঞ্চল: বিএসটি (জিএমটি +৬ ঘণ্টা),
- জনসংখ্যা: ১৬,৯৮,২৮,৯১১ জন,
- জনসংখ্যার দিক দিয়ে পৃথিবীর ৮ম বৃহত্তম দেশ।
উৎস: UNFPA ওয়েবসাইট।

0
Updated: 3 weeks ago