'জীবনঢুলী' কি?
A
একটি উপন্যাসের নাম
B
একটি কাব্যগ্রন্থের নাম
C
একটি আত্মজীবনীর নাম
D
একটি চলচ্চিত্রের নাম
উত্তরের বিবরণ
জীবনঢুলী
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো জীবনঢুলী। ছবিটি পরিচালনা করেছেন তানভীর মোকাম্মেল এবং এটি মুক্তি পায় ২০১৩ সালে।
চলচ্চিত্রের মূল কাহিনি গড়ে উঠেছে নিম্নবর্ণের এক হিন্দু ঢাকি জীবনকৃষ্ণ দাস ও তার পরিবারের জীবনের চারপাশে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তারা কীভাবে ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়, সেই অভিজ্ঞতাই ছবির প্রধান বিষয়বস্তু।
বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে নির্মিত এ চলচ্চিত্রে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে চুকনগর গণহত্যা। ১৯৭১ সালের ২০ মে পাকিস্তানি সেনারা খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের চুকনগর বাজারে ভয়ংকর হত্যাযজ্ঞ চালায়, যা ইতিহাসে “চুকনগর গণহত্যা” নামে পরিচিত হয়ে আছে।
উৎস: প্রথম আলো, ১৯ জানুয়ারি ২০১৪, জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 1 month ago
প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা কার কর্তৃত্বে প্রযুক্ত হয়?
Created: 1 month ago
A
প্রধানমন্ত্রী
B
রাষ্ট্রপতি
C
মন্ত্রী
D
সচিব
চতুর্থ ভাগ: নির্বাহী বিভাগ
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ: প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভা
অনুচ্ছেদ ৫৫: মন্ত্রিসভা
-
বাংলাদেশের একটি মন্ত্রিসভা থাকবে, যা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী নিজে ও তিনি যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন সেভাবে অন্যান্য মন্ত্রী নিয়ে এই মন্ত্রিসভা গঠিত হবে।
-
প্রধানমন্ত্রী সরাসরি বা তাঁর নির্দেশে সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন।
-
মন্ত্রিসভা যৌথভাবে জাতীয় সংসদের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।
-
সরকারের সব নির্বাহী কাজ রাষ্ট্রপতির নামে সম্পাদিত বলে গণ্য হবে।
-
রাষ্ট্রপতির নামে প্রণীত আদেশ বা চুক্তি কীভাবে স্বাক্ষরিত বা সত্যায়িত হবে, তা রাষ্ট্রপতি নিজেই বিধি দ্বারা নির্ধারণ করবেন। এসব আদেশ বা চুক্তি আদালতে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না, যদি তা যথাযথভাবে স্বাক্ষরিত বা প্রমাণীকৃত হয়।
-
রাষ্ট্রপতি সরকারি কাজের বিভাগ ও পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন করবেন।
তথ্যসূত্র: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 1 month ago
আওয়ামী লীগের ৬-দফা পেশ করা হয়েছিল -
Created: 1 month ago
A
১৯৬৬ সালে
B
১৯৬৭ সালে
C
১৯৬৮ সালে
D
১৯৬৯ সালে
ছয় দফা দাবি (১৯৬৬)
পটভূমি: ১৯৬৬ সালে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন স্বায়ত্তশাসনের ভিত্তি হিসেবে ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করেন।
ঘটনাক্রম:
-
১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে বিরোধী দলগুলোর সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসনের লক্ষ্যে ৬ দফা প্রস্তাব করেন।
-
একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি, আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় ছয় দফা আন্দোলন বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
-
২৩ ফেব্রুয়ারি, বিরোধীদলীয় সম্মেলনে শেখ মুজিব আনুষ্ঠানিকভাবে এ দাবিগুলো পেশ করেন।
-
পরবর্তীতে, ১৮ মার্চ ১৯৬৬, আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রকাশিত “আমাদের বাঁচার দাবি: ৬ দফা কর্মসূচি” শীর্ষক পুস্তিকা ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
ছয় দফার মূল বিষয়বস্তু:
-
প্রথম দফা: রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনতান্ত্রিক প্রকৃতি।
-
দ্বিতীয় দফা: কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের ক্ষমতা বণ্টন।
-
তৃতীয় দফা: মুদ্রা ও অর্থনীতি।
-
চতুর্থ দফা: রাজস্ব ও শুল্কনীতি।
-
পঞ্চম দফা: বৈদেশিক মুদ্রা ও বাণিজ্যনীতি।
-
ষষ্ঠ দফা: প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা।
এ ছয় দফাকে পূর্ব বাংলার “মুক্তির সনদ” বলা হয়, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়।
তথ্যসূত্র: পৌরনীতি ও সুশাসন দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
মাত্র ১টি সংসদীয় আসন-
Created: 1 month ago
A
লক্ষ্মীপুর জেলায়
B
মেহেরপুর জেলায়
C
ঝালকাঠী জেলায়
D
রাঙামাটি জেলায়
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের আসন সম্পর্কিত তথ্য:
-
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে মোট ৩৫০টি আসন রয়েছে।
-
এর মধ্যে ৩০০টি আসন সরাসরি জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন হয়।
-
১ নং আসন: পঞ্চগড়-১
-
৩০০ নং আসন: বান্দরবান
-
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে তিনটি জেলা রয়েছে — রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, এবং খাগড়াছড়ি — এবং প্রত্যেক জেলার জন্য একটি করে সংসদীয় আসন নির্ধারিত আছে।
উৎস: বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট, বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 1 month ago