A
উন্নত জাতের ভুট্টা
B
উন্নত জাতের আম
C
উন্নত জাতের গম
D
উন্নত জাতের চাল
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে বিভিন্ন ফসলের উন্নত জাত কৃষি গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবন করা হয়েছে। এর মধ্যে ভুট্টার উল্লেখযোগ্য উন্নত জাত হলো ‘বর্ণালী’, ‘শুভ্রা’ ও ‘উত্তরণ’, যা উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট।
এছাড়াও অন্য ফসলের বেশ কিছু উন্নত জাত রয়েছে, যেমনঃ
-
ধানের উন্নত জাত: ইরাটম, ব্রি হাইব্রিড–১, চান্দিনা, মালা, বিপ্লব, দুলাভোগ, মোহিনী ও সুফলা।
-
গমের উন্নত জাত: সোনালিকা, আকবর।
-
তামাকের উন্নত জাত: সুমাত্রা, ম্যানিলা।
-
আমের উন্নত জাত: মহানন্দা, ল্যাংড়া, মোহনভোগ।
-
টমেটোর উন্নত জাত: বাহার।
-
মরিচের উন্নত জাত: যমুনা।
-
বেগুনের উন্নত জাত: শুকতারা, নয়নতারা, তারাপুরী, ইসলামপুরী, কাজলা, বিজয়, মুক্তকেশী ও ঝুমকো।
-
আলুর উন্নত জাত: হিরা, আইলসা, পেট্রোনিস, মুল্টা, ডায়ামন্ট, কার্ডিনাল, মন্ডিয়াল, কুফরী সিন্দুরী, চমক, ধীরা, গ্রানোলা, ক্লিওপেট্রা ও চিনেলা।
এভাবে বোঝা যায়, প্রতিটি ফসলের জন্যই কৃষি গবেষণার মাধ্যমে আলাদা আলাদা উন্নত জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে, যা কৃষকদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
উৎস: কৃষি তথ্য সার্ভিস।

0
Updated: 1 week ago
বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ভাষণের সময়কালে পূর্ব পাকিস্তানে যে আন্দোলন চলছিল সেটি হলো:
Created: 6 days ago
A
ইসলামাবাদের সামরিক সরকার পদত্যাগের আন্দোলন
B
পূর্ব পাকিস্তানের অসহযোগ আন্দোলন
C
প্রেসিডেন্ট ইয়াহহিয়ার পদত্যাগ আন্দোলন
D
মার্শাল 'ল' পদত্যাগের আন্দোলন
অসহযোগ আন্দোলন (১৯৭১)
১৯৭১ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেন। এতে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ ক্ষুব্ধ হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই সিদ্ধান্তকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করেন এবং প্রতিবাদস্বরূপ ২ মার্চ ঢাকায় ও ৩ মার্চ সারা পূর্ব পাকিস্তানে হরতালের ডাক দেন। এরপর থেকেই শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন।
👉 এ আন্দোলন চলেছিল ১৯৭১ সালের ২ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত।
👉 আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল কেন্দ্রীয় শাসনের পরিবর্তে বাঙালির স্বশাসন প্রতিষ্ঠা।
👉 আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অনুসারে আন্দোলন পরিচালিত হয় এবং সর্বস্তরের মানুষ এতে যোগ দেয়।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ
৭ মার্চ ১৯৭১ সালে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। এই ভাষণকে ইতিহাসে “বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ” নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ভাষণে তিনি অসহযোগ আন্দোলনের দিকনির্দেশনা দেন এবং ৪ দফা দাবি উত্থাপন করেন—
-
মার্শাল ল প্রত্যাহার,
-
সেনাদের ব্যারাকে প্রত্যাবর্তন,
-
রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার বিভাগীয় তদন্ত,
-
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর।
এই ভাষণ বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করে তোলে এবং মুক্তিযুদ্ধের পথে এগিয়ে দেয়।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 6 days ago
[তৎকালীন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। অনুগ্রহ করে বর্তমান তথ্য দেখে নিন] যে বিভাগে সাক্ষরতার হার সর্বাধিক-
Created: 3 days ago
A
ঢাকা বিভাগ
B
রাজশাহী বিভাগ
C
বরিশাল বিভাগ
D
খুলনা বিভাগ
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী স্বাক্ষরতার হার
-
পরিচালক সংস্থা: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS)
-
শুমারির সময়কাল: ১৫–২১ জুন ২০২২
-
বিশেষত্ব: এটি বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি
-
দেশের সামগ্রিক তথ্য:
-
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার: ১.১২%
-
জনসংখ্যার ঘনত্ব: ১,১১৯ জন/বর্গকিমি
-
৭ বছর বা তার বেশি বয়সের মানুষের সাক্ষরতার হার: ৭৪.৮০%
-
পুরুষ: ৭৬.৭১%
-
মহিলা: ৭২.৯৪%
-
-
-
বিভাগ অনুযায়ী স্বাক্ষরতার হার:
-
সর্বোচ্চ: ঢাকা বিভাগ – ৭৮.২৪%
-
সর্বনিম্ন: ময়মনসিংহ বিভাগ – ৬৭.২৩%
-
-
জেলা অনুযায়ী:
-
সর্বোচ্চ: পিরোজপুর – ৮৫.৫৩%
-
সর্বনিম্ন: জামালপুর – ৬১.৭০%
-
উৎস: পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওয়েবসাইট।

0
Updated: 3 days ago
বাংলা (দেশ ও ভাষা) নামের উৎপত্তির বিষয়টি কোন গ্রন্থে সর্বাধিক উল্লেখিত হয়েছে?
Created: 6 days ago
A
আলমগীরনামা
B
আইন-ই-আকবরী
C
আকবরনামা
D
তুজুক-ই-আকবরী
বাংলা (দেশ ও ভাষা) নামের উৎপত্তি
আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে বাংলা নামের উৎপত্তি প্রসঙ্গে সবচেয়ে বেশি উল্লেখ পাওয়া যায়।
আইন-ই-আকবরী
-
মুঘল সম্রাট আকবরের (১৫৫৬-১৬০৫) রাজদরবারের ঐতিহাসিক আবুল ফজল এই গ্রন্থটি রচনা করেন।
-
এটি মূলত আকবরনামা নামের বৃহৎ ইতিহাসগ্রন্থের তৃতীয় খণ্ড।
-
আকবর যে সব প্রশাসনিক আইন ও নীতি কার্যকর করেছিলেন, সেগুলোর বিস্তারিত বিবরণ এখানে পাওয়া যায়।
-
যদিও এটি আকবরনামার অংশ, তবুও আইন-ই-আকবরী নিজেই একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত।
-
বাংলার ইতিহাস পুনর্গঠনে এ গ্রন্থের তথ্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলা নামের উৎপত্তি
গ্রন্থে উল্লেখ আছে—
-
বাংলার প্রাচীন নাম ছিল বঙ্গাল।
-
কারণ, এই দেশের রাজারা সারাদেশে চওড়া ‘আল’ (উঁচু বাঁধ/মাটি তোলা রাস্তা) নির্মাণ করতেন।
-
তাই ‘বঙ্গ’ + ‘আল’ = ‘বঙ্গাল’, যেখান থেকে বাংলা নামের উৎপত্তি হয়েছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 6 days ago