বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কে ছিলেন?
A
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
B
জেনারেল এম. এ. জি ওসমানী
C
কর্নেল শফিউল্লাহ
D
মেজর জিয়াউর রহমান
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধ ও নেতৃত্ব
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
-
তিনি অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
তারই নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয় এবং তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি।
তার রাজনৈতিক জীবন সংক্ষেপে:
-
পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্র লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য (১৯৪৮)
-
পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের যুগ্ম সম্পাদক (১৯৪৯)
-
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (১৯৫৩-১৯৬৬)
-
আওয়ামী লীগের সভাপতি (১৯৬৬-১৯৭৪)
-
অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি (২৬ মার্চ ১৯৭১ – ১১ জানুয়ারি ১৯৭২, অনুপস্থিতিতে)
-
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী (১২ জানুয়ারি ১৯৭২ – ২৪ জানুয়ারি ১৯৭৫)
-
রাষ্ট্রপতি (২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ – ১৫ আগস্ট ১৯৭৫)
তার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও ক্যারিশমার কারণেই বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি একদল সেনা কর্মকর্তার হাতে সপরিবারে নিহত হন। কেবল দুই কন্যা—শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা—বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। বর্তমানে তার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
মুক্তিবাহিনীর সামরিক নেতৃত্ব
অন্যদিকে, মুক্তিযুদ্ধে সেনাবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক ছিলেন জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী।
-
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনের সময় তাকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি করা হয়।
-
৭ জুলাই ১৯৭১ সালে নিয়মিত ব্রিগেড গঠনের অংশ হিসেবে ‘জেড ফোর্স’ গঠন করা হয় যার অধিনায়ক ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান।
-
এরপর সেপ্টেম্বর মাসে ‘এস ফোর্স’ গঠিত হয় (অধিনায়ক লে. কর্নেল কে. এম. সফিউল্লাহ)।
-
১৪ অক্টোবর গঠিত হয় ‘কে ফোর্স’।
উৎসঃ জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 month ago
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর কতজন সদস্য আত্মসমর্পণ করে?
Created: 1 month ago
A
৬৩ হাজার
B
৭৩ হাজার
C
৮৩ হাজার
D
৯৩ হাজার
পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ:
-
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) মিত্রবাহিনীর কাছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ করে।
-
এই আত্মসমর্পণের মাধ্যমে ২৬ মার্চ শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধের সফল পরিসমাপ্তি ঘটে।
উল্লেখ্য:
-
মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনী ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।
-
১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান পূর্বাঞ্চলের কমান্ডার জেনারেল এ কে নিয়াজিকে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ ও সশস্ত্র বাহিনীর জীবন রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
-
১৫ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল স্যাম মানেকশ পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সংবরণ করে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান।
-
আত্মসমর্পণ ব্যতীত বিকল্প পথ না থাকায় বিপর্যস্ত পাক-বাহিনী ১৫ ডিসেম্বর নিঃশর্ত আত্মসমর্পণে সম্মত হয়।
-
সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ময়দানে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়।
-
১৬ ডিসেম্বর সকাল সোয়া ৯টার সময় মানেকশ ভারতের পূর্বাঞ্চল বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ মেজর জেনারেল জে এফ আর জেকবকে আত্মসমর্পণের দলিল ও আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত করার জন্য ঢাকায় পাঠান।
-
ঐ দিন বিকাল ৪টা ১৯ মিনিটে পাকিস্তান ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান লে. জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী ৯৩,০০০ সৈন্য ও অস্ত্র-শস্ত্রসহ ভারতীয় ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোর কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
-
নিয়াজী পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন।
-
যৌথ বাহিনীর পক্ষে স্বাক্ষর করেন লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা, জিওসি এবং পূর্বাঞ্চলীয় ভারতীয় বাহিনী ও বাংলাদেশ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক।
-
উল্লেখ্য, আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে নির্বাসিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি; ইতিহাস, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
’গেরিলা’ চলচ্চিত্রটির পরিচালক কে?
Created: 3 weeks ago
A
তারেক মাসুদ
B
সৈয়দ শামসুল হক
C
নাসির উদ্দীন ইউসুফ
D
খান আতাউর রহমান
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্রগুলো কেবল ইতিহাসের দলিল নয়, বরং মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের চিত্রও তুলে ধরে। এ ধরনের চলচ্চিত্র দর্শকদের স্বাধীনতার প্রকৃত তাৎপর্য অনুভব করতে সাহায্য করে।
-
নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা হলো ‘গেরিলা’।
-
সিনেমাটি সৈয়দ শামসুল হক এর উপন্যাস ‘নিষিদ্ধ লোবান’ অবলম্বনে নির্মিত।
-
২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন—জয়া আহসান, ফেরদৌস, এটিএম শামসুজ্জামান, রাইসুল ইসলাম আসাদ, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী ওয়াদুদ, শম্পা রেজা, গাজী রাকায়েত প্রমুখ।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো—
-
‘আবার তোরা মানুষ হ’ — পরিচালনা: খান আতাউর রহমান।
-
‘ওরা ১১ জন’ — স্বাধীনতার পর নির্মিত প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র; পরিচালনা করেছেন চাষী নজরুল ইসলাম।
-
‘মেঘের অনেক রং’ — পরিচালনা: হারুনর রশীদ; মুক্তি পায় ১৯৭৬ সালে।
উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সরকারিভাবে মুক্তিযোদ্ধাগন কী নামে পরিচিত ছিল?
Created: 3 weeks ago
A
মুক্তিবাহিনী
B
নিয়মিত বাহিনী
C
যৌথ বাহিনী
D
অনিয়মিত বাহিনী
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর সরকার সমগ্র স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়ে পরিকল্পিতভাবে যুদ্ধ পরিচালনা করেছিল। মুক্তিবাহিনী গঠন করে দেশব্যাপী শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়।
-
মুক্তিবাহিনী ১৯৭১ সালের ১১ জুলাই গঠিত হয়, যা সামরিক ও বেসামরিক জনগণকে নিয়ে গঠিত ছিল।
-
মুক্তিবাহিনী দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল: নিয়মিত বাহিনী এবং অনিয়মিত বাহিনী।
-
অনিয়মিত বাহিনী:
-
গণবাহিনী বা গেরিলাবাহিনী নামে পরিচিত।
-
ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক ও রাজনৈতিক কর্মীদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণের পর বিভিন্ন সেক্টরে নিয়োগ করা হতো।
-
গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনা করার জন্য সদস্যদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাঠানো হতো।
-
সরকারিভাবে অনিয়মিত বাহিনীকে মুক্তিযোদ্ধা বলা হত।
-
-
নিয়মিত বাহিনী:
-
অন্তর্ভুক্ত ছিল ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের সৈন্যরা।
-
সশস্ত্রবাহিনীর প্রথাগত যুদ্ধে নিয়োজিত ছিলেন।
-
সংগঠনিক নাম ছিল মুক্তিফৌজ।
-
-
-
যুদ্ধাঞ্চল:
-
প্রথমে ৪টি যুদ্ধাঞ্চল ভাগ করা হয়। পরে আরও ৩টি যোগ হওয়ায় মোট যুদ্ধাঞ্চল হয় ৭টি।
-
-
ত্রি-ব্রিগেড ফোর্স: S ফোর্স, K ফোর্স, Z ফোর্স নামে তিনটি ব্রিগেড গঠন করা হয়।
-
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সমগ্র বাংলাদেশ ১১টি সেক্টরে বিভক্ত ছিল, যেখানে মোট ১৬ জন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন।

0
Updated: 3 weeks ago