বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ কত নং সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ করেন?
A
৭নং সেক্টর
B
৫নং সেক্টর
C
৬নং সেক্টর
D
৮নং সেক্টর
উত্তরের বিবরণ
বীরশ্রেষ্ঠ ও তাঁদের সেক্টর (উৎস: বাংলাপিডিয়া ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়)
-
ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ: ১নং সেক্টর
-
সিপাহী মোস্তফা কামাল: ২নং সেক্টর
-
সিপাহী হামিদুর রহমান: ৪নং সেক্টর
-
ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর: ৭নং সেক্টর
-
ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ: ৮নং সেক্টর
-
ইঞ্জিন রুম আর্টিফিসার রুহুল আমীন: ১০নং সেক্টর
-
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান: কোনো সেক্টরের অধীনে ছিলেন না

0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধকালীন 'বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল' কত নং সেক্টরে অবস্থিত ছিল?
Created: 2 weeks ago
A
১ নং
B
২ নং
C
৪ নং
D
৯ নং
বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল
-
মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য গড়ে উঠেছিল ফিল্ড হাসপাতাল।
-
২ নং সেক্টরে অবস্থিত এই হাসপাতালটি ‘বাংলাদেশ হাসপাতাল’ নামে পরিচিত।
-
প্রতিটি সেক্টরের হেডকোয়ার্টারের সঙ্গে একটি করে মেডিকেল ইউনিট ছিল। ২ নং সেক্টর বিস্তৃত ছিল বৃহত্তর নোয়াখালী, কুমিল্লা জেলার আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন পর্যন্ত, ঢাকা শহর ও ফরিদপুর জেলার পূর্বাংশ পর্যন্ত।
-
২ নং সেক্টরের হেডকোয়ার্টার: ভারতের আগরতলা (প্রথমে মতিনগর, পরে মেলাঘর)। নেতৃত্বে ছিলেন মেজর খালেদ মোশাররফ। ঢাকায় গেরিলাযুদ্ধের পরিকল্পনা ও পরিচালনা মূলত এই সেক্টর থেকেই করা হতো।
চিকিৎসা ও পরিচালনা:
-
আহতদের জটিল ও সমন্বিত চিকিৎসা মূলত ভারতীয় হাসপাতালে দেওয়া হতো, তবে বাংলাদেশ হাসপাতাল সম্পূর্ণ বাংলাদেশি জনবল ও অর্থায়নে পরিচালিত হয়।
-
হাসপাতালের নেপথ্য কারিগররা: ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডা. এম এ মোবিন, প্রয়াত ডা. আখতার আহমেদ, ডা. নাজিমুদ্দীন আহমেদ ও ডা. সিতারা বেগম।
-
ক্যাপ্টেন আখতার মেজর খালেদের সঙ্গে পরামর্শ করে কুমিল্লা সীমান্তের শ্রীমন্তপুর এলাকায় হাসপাতালের উদ্যোগ নেন।
-
ডা. আখতার কমান্ডিং অফিসার হলেও মূল কাজকর্ম চালাতেন ডা. নাজিম।
-
মে মাসে হাসপাতালে যোগ দেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ডা. এম এ মোবিন।
-
সেপ্টেম্বর মাসে যোগ দেন ক্যাপ্টেন সিতারা বেগম।
-
১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় অর্জন পর্যন্ত সক্রিয় ছিলেন ডা. আখতার, ডা. নাজিম, ডা. সিতারা এবং পরামর্শক হিসেবে ডা. মোবিন।
-
২ নং সেক্টরের সাবসেক্টরগুলোতে ফার্স্ট এইডে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যোদ্ধারা দায়িত্বে থাকতেন।

0
Updated: 2 weeks ago
বাংলাদেশের কোন নারী মুক্তিযোদ্ধা 'মুক্তিবেটি' নামে পরিচিত?
Created: 1 month ago
A
কাঁকন বিবি
B
সিতারা বেগম
C
তারামন বিবি
D
রাবেয়া খাতুন
কাঁকন বিবি (উৎস: ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি : সপ্তম শ্রেণী এবং পত্রিকা রিপোর্ট)
-
নারী মুক্তিযোদ্ধা কাঁকন বিবি খাসিয়া সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন।
-
তিনি ‘মুক্তিবেটি’ নামে পরিচিত ছিলেন।
-
জন্ম: ১৯৪৮ সালে, সুনামগঞ্জ জেলার এক খাসিয়া পরিবারে।
-
পরবর্তীতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে প্রথমে একজন বাঙালি এবং পরে একজন পাকিস্তানিকে বিয়ে করেন।
-
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি ৫ নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করেন।
-
পাক সেনাদের হাতে ধরা পড়লে তার উপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়।
-
১৯৯৭ সালে তাকে মৌখিকভাবে ‘বীর প্রতীক’ খেতাব দেওয়া হলেও এ সংক্রান্ত কোনো গেজেট প্রকাশিত হয়নি।
-
মৃত্যু: ২১ মার্চ, ২০১৮।

0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধে 'চীফ অব স্টাফ' এর দায়িত্ব পালন করেন কে?
Created: 1 month ago
A
খালেদ মোশাররফ
B
এম এ রব
C
এ কে খন্দকার
D
কে এম সফিউল্লাহ
• কর্নেল এম এ রব:
- ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আবদুর রব যুদ্ধে যোগ দেন।
- সিলেট অঞ্চলে ৪ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার মেজর চিত্তরঞ্জন দাশের নেতৃত্বে দুর্ধর্ষ সব যুদ্ধের অন্যতম পরিকল্পনাকারী ছিলেন এম এ রব।
- মুজিবনগর সরকার তাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ ও সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসেবে নিয়োগ দেয়।
- মুক্তিযুদ্ধের পরে লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুর রবকে মেজর জেনারেল পদ দেওয়া হয় এবং বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়।
- ১৯৭৫ সালের ১৪ নভেম্বর শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
অন্যদিকে,
- কে এম সফিউল্লাহ সিলেট অঞ্চলের অধিনায়ক ছিলেন।
- মুক্তিযুদ্ধে উপসেনাপতির দায়িত্ব পালন করেন এ কে খন্দকার।
- ২নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন খালেদ মোশারফ।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago