A
বীরশ্রেষ্ঠ
B
বীরউত্তম
C
বীরবিক্রম
D
বীরপ্রতীক
উত্তরের বিবরণ
-
বীরত্বসূচক খেতাব
-
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান ও বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু সরকার মোট ৬৭৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে চার ধরনের বীরত্বসূচক খেতাব প্রদান করেন।
-
খেতাবসমূহের শ্রেণীবিন্যাস:
-
বীরশ্রেষ্ঠ – সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব, ৭ জনকে প্রদান।
-
বীরউত্তম – দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেতাব, ৬৮ জনকে প্রদান।
-
বীরবিক্রম – তৃতীয় সর্বোচ্চ খেতাব, ১৭৫ জনকে প্রদান।
-
বীরপ্রতীক – চতুর্থ সর্বোচ্চ খেতাব, ৪২৬ জনকে প্রদান।
-
-
সূত্র: বাংলাপিডিয়া ও প্রথম আলো পত্রিকা

0
Updated: 1 week ago
মুজিবনগর সরকারের সচিবালয় কোথায় ছিলো?
Created: 1 week ago
A
কলকাতার ৫নং ফ্রি স্কুল স্ট্রিট
B
কলকাতার ৮নং থিয়েটার রোড
C
কলকাতার ১১নং বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট
D
কলকাতার ১০নং চৌরঙ্গী রোড
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বধীনতা
মুজিবনগর মন্ত্রণালয় এবং কূটনৈতিক মিশন
No subjects available.
-
মুজিবনগর সরকার গঠন:
-
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ করা হয়।
-
ঐতিহাসিকভাবে এই দিনটির তাৎপর্য অপরিসীম, কারণ এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম ঘটে।
-
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার ভবেরপাড়া গ্রামের বৈদ্যনাথতলা-এর আম্রকাননে।
-
এটি ‘মুজিবনগর সরকার’ নামে পরিচিত, যা পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে দেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে।
-
এর আগে ১০ এপ্রিল দেশের নামকরণ করা হয় ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’, বঙ্গবন্ধুর সহযোগী তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে চার সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রীসভা ঘোষণা করা হয়।
-
মেহেরপুর মহকুমা পরে জেলা হিসাবে উন্নীত হয় এবং বৈদ্যনাথতলার নাম রাখা হয় মুজিবনগর।
-
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুজিবনগর ছিল স্বাধীন দেশের অস্থায়ী রাজধানী, এবং সচিবালয়/সদরদপ্তর অবস্থান করত কলকাতার ৮ নং থিয়েটার রোডে।
-
সূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি; DMP ও তথ্য অধিদফতর ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কে ছিলেন?
Created: 1 week ago
A
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
B
জেনারেল এম. এ. জি ওসমানী
C
কর্নেল শফিউল্লাহ
D
মেজর জিয়াউর রহমান
মুক্তিযুদ্ধ ও নেতৃত্ব
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
-
তিনি অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
তারই নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয় এবং তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি।
তার রাজনৈতিক জীবন সংক্ষেপে:
-
পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্র লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য (১৯৪৮)
-
পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের যুগ্ম সম্পাদক (১৯৪৯)
-
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (১৯৫৩-১৯৬৬)
-
আওয়ামী লীগের সভাপতি (১৯৬৬-১৯৭৪)
-
অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি (২৬ মার্চ ১৯৭১ – ১১ জানুয়ারি ১৯৭২, অনুপস্থিতিতে)
-
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী (১২ জানুয়ারি ১৯৭২ – ২৪ জানুয়ারি ১৯৭৫)
-
রাষ্ট্রপতি (২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ – ১৫ আগস্ট ১৯৭৫)
তার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও ক্যারিশমার কারণেই বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি একদল সেনা কর্মকর্তার হাতে সপরিবারে নিহত হন। কেবল দুই কন্যা—শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা—বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। বর্তমানে তার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
মুক্তিবাহিনীর সামরিক নেতৃত্ব
অন্যদিকে, মুক্তিযুদ্ধে সেনাবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক ছিলেন জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী।
-
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনের সময় তাকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি করা হয়।
-
৭ জুলাই ১৯৭১ সালে নিয়মিত ব্রিগেড গঠনের অংশ হিসেবে ‘জেড ফোর্স’ গঠন করা হয় যার অধিনায়ক ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান।
-
এরপর সেপ্টেম্বর মাসে ‘এস ফোর্স’ গঠিত হয় (অধিনায়ক লে. কর্নেল কে. এম. সফিউল্লাহ)।
-
১৪ অক্টোবর গঠিত হয় ‘কে ফোর্স’।
উৎসঃ জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 week ago
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে আত্মসমর্পণ দলিলে কার স্বাক্ষর ছিল?
Created: 1 week ago
A
কর্নেল ওসমানী
B
জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা
C
লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ কে নিয়াজী
D
মেজর জেনারেল রাও ফরমান
পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ:
-
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) মিত্রবাহিনীর কাছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ করে।
-
তাদের এই আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধের সফল পরিসমাপ্তি ঘটে।
-
উল্লেখ্য:
-
১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান পূর্বাঞ্চলের কমান্ডার জেনারেল এ কে নিয়াজিকে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জীবন রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
-
১৫ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনাবাহনীর প্রধান জেনারেল স্যাম মানেকশ পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সংবরণ করে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান।
-
১৬ ডিসেম্বর সকাল সোয়া নয়টার সময় মানেকশ ভারতের পূর্বাঞ্চল বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ মেজর জেনারেল জে এফ আর জেকবকে আত্মসমর্পণের দলিল ও আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত করার জন্য ঢাকায় পাঠান।
-
অবশেষে মুক্তিযুদ্ধের জয়ী ও পরাজিত দুই পক্ষের মধ্যে ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণের ঐতিহাসিক দলিল স্বাক্ষরিত হয়।
-
যৌথ বাহিনীর পক্ষে স্বাক্ষর করেন লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা, জিওসি এবং পূর্বাঞ্চলীয় ভারতীয় বাহিনী ও বাংলাদেশ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক।
সূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি ও প্রথম আলো।

0
Updated: 1 week ago