A
কলকাতার ৫নং ফ্রি স্কুল স্ট্রিট
B
কলকাতার ৮নং থিয়েটার রোড
C
কলকাতার ১১নং বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট
D
কলকাতার ১০নং চৌরঙ্গী রোড
No subjects available.
উত্তরের বিবরণ
-
মুজিবনগর সরকার গঠন:
-
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ করা হয়।
-
ঐতিহাসিকভাবে এই দিনটির তাৎপর্য অপরিসীম, কারণ এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম ঘটে।
-
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার ভবেরপাড়া গ্রামের বৈদ্যনাথতলা-এর আম্রকাননে।
-
এটি ‘মুজিবনগর সরকার’ নামে পরিচিত, যা পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে দেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে।
-
এর আগে ১০ এপ্রিল দেশের নামকরণ করা হয় ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’, বঙ্গবন্ধুর সহযোগী তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে চার সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রীসভা ঘোষণা করা হয়।
-
মেহেরপুর মহকুমা পরে জেলা হিসাবে উন্নীত হয় এবং বৈদ্যনাথতলার নাম রাখা হয় মুজিবনগর।
-
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুজিবনগর ছিল স্বাধীন দেশের অস্থায়ী রাজধানী, এবং সচিবালয়/সদরদপ্তর অবস্থান করত কলকাতার ৮ নং থিয়েটার রোডে।
-
সূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি; DMP ও তথ্য অধিদফতর ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 week ago
ঢাকা শহরে অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনায় মূল দায়িত্ব পায়-
Created: 4 weeks ago
A
জেনারেল আবরার হোসেন
B
রাও ফরমান আলী
C
নিয়াজি খান
D
গোলাম মুহাম্মদ
অপারেশন সার্চলাইট:
- ১৮ই মার্চ টিক্কা খান, রাও ফরমান আলী 'অপারেশন সার্চলাইট' পরিচালনার নীলনকশা তৈরি করেন।
- ১৯শে মার্চ থেকে পূর্ব পাকিস্তানে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি সৈন্যদের নিরস্ত্রীকরণ শুরু হয়।
- ২০শে মার্চ সরকার অস্ত্র জমা দেয়ার নির্দেশ জারি করে।
- ঐ দিন জেনারেল ইয়াহিয়া খান তার সামরিক উপদেষ্টা হামিদ খান, জেনারেল টিক্কা খান, জেনারেল পিরজাদা, জেনারেল ওমর প্রমুখকে নিয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সামরিক প্রস্তুতিকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেন।
- এ সময় প্রতিদিন ৬টি থেকে ১৭টি পর্যন্ত পিআইএ ফ্লাইট বোয়িং ৭০৭ বিমান সৈন্য ও রসদ নিয়ে ঢাকা আসে এবং অসংখ্য সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র বোঝাই হয়ে আসা জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে অপেক্ষা করে।
- ২৪শে মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরে এম ভি সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র ও রসদ খালাস শুরু হয়।
- ২৫শে মার্চ গণহত্যার জন্য বেছে নেওয়া হয়।
- মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীকে ঢাকা শহরে অপারেশন সার্চলাইটের মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়।

0
Updated: 4 weeks ago
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শত্রু মুক্ত জেলা কোনটি?
Created: 1 week ago
A
রাঙ্গামাটি
B
কুমিল্লা
C
যশোর
D
ঢাকা
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শত্রু মুক্ত জেলা ছিল যশোর।
মুক্তিযুদ্ধ:
-
অবিভক্ত ভারতের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জেলা যশোর অনেক কিছুর জন্য বিখ্যাত।
-
৭ জন বীরশ্রেষ্ঠর মধ্যে ২ জনই বৃহত্তর যশোর জেলার কৃতি সন্তান।
-
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্তভাবে শেষ হবার কয়েকদিন আগেই স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণপণ লড়াইয়ে যশোরকে দেশের প্রথম শত্রু মুক্ত জেলা হিসেবে গড়ে তোলা হয়।
-
সেই গৌরবময় তারিখটি ছিল ১৯৭১ সালের ৬ই ডিসেম্বর।
-
তাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যশোরই প্রথম শত্রু মুক্ত জেলা।
সূত্র: জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
শেখ মুজিবুর রহমান
B
জেনারেল আতাউল গণি ওসমানি
C
তাজউদ্দিন আহমেদ
D
ক্যাপটেন মনসুর আলী
জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী
জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সশস্ত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি।
-
১৯৭০ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
-
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে অস্থায়ী সরকার গঠনের পর, তাকে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
-
স্বাধীনতা লাভের পর, ২৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তিনি "জেনারেল" পদে উন্নীত হন, যা কার্যকর ধরা হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকে।
অন্যদিকে:
-
মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
-
উপ-সেনাপতির দায়িত্বে ছিলেন এ কে খন্দকার।
-
আর মুক্তিযুদ্ধের সময় চিফ অব স্টাফ ছিলেন কর্নেল এম এ রব।
তথ্যসূত্র:বাংলাপিডিয়া, জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 1 month ago