১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে 'অপারেশন কিলো ফ্লাইট' পরিচালনা করে কোন বাহিনী?
A
নৌবাহিনী
B
সেনাবাহিনী
C
বিমান বাহিনী
D
কিলো কমান্ডো
উত্তরের বিবরণ
-
অপারেশন কিলো ফ্লাইট:
-
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রথম সামরিক আকাশ অভিযান।
-
ভারত সরকারের দেওয়া তিনটি সিভিলিয়ান বিমানকে যুদ্ধবিমানে রূপান্তর করে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
-
স্কোয়াড্রন লিডার বদরুল আলমসহ মুক্তিযোদ্ধা পাইলটরা চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জে পাকিস্তানি তেলের ডিপোতে সফল হামলা চালান।
-
এই আক্রমণ পাকিস্তানি বাহিনীর যোগাযোগ ও রসদ সরবরাহ ব্যবস্থা ধ্বংস করে।
-
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিমান হামলা হিসেবে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহাসিক মাইলফলক।
-
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বিবিসি নিউজ

0
Updated: 1 month ago
স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনীর ‘ওয়ার স্ট্র্যাটেজি’ কী নামে পরিচিত?
Created: 2 weeks ago
A
তেলিয়াপাড়া স্ট্র্যাটেজি
B
মুজিবনগর স্ট্র্যাটেজি
C
চুকনগর স্ট্র্যাটেজি
D
বাঘাইছড়ি স্ট্র্যাটেজি
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভে বাঙালি সামরিক কর্মকর্তারা স্বাধীনতার জন্য কার্যকর রণকৌশল প্রণয়ন করেন এবং মুক্তিবাহিনী গঠন করেন। এই বাহিনী বাংলাদেশকে মুক্ত করার জন্য সুসংগঠিত ও সশস্ত্রভাবে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য পরিকল্পিতভাবে গঠিত হয়।
-
১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল, সিলেটের তেলিয়াপাড়া চা বাগানে বাঙালি কর্মকর্তাদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
-
এই বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল প্রণয়ন করা হয়, যা পরে তেলিয়াপাড়া স্ট্র্যাটেজি নামে পরিচিত হয়।
-
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, এম এ জি ওসমানী যুদ্ধে নেতৃত্ব দেবেন।
-
বাংলাদেশকে চারটি সামরিক অঞ্চলে ভাগ করে সশস্ত্র যুদ্ধ পরিচালনা করার পরিকল্পনা করা হয়।
-
১২–১৭ জুলাই কলকাতায় মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত একটি দীর্ঘ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
-
সম্মেলনে তিনটি নিয়মিত বাহিনী তৈরি এবং দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

0
Updated: 2 weeks ago
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে চুকনগর গণহত্যা সংঘটিত হয় কবে?
Created: 3 weeks ago
A
২০ মে, ১৯৭১
B
১২ জুন, ১৯৭১
C
১২ মে, ১৯৭১
D
০২ জুন, ১৯৭১
চুকনগর গণহত্যা
-
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণহত্যার ঘটনা।
-
অবস্থান: খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের চুকনগর গ্রাম।
-
তারিখ: ১৯৭১ সালের ২০ মে।
-
হামলাকারী: মাত্র এক প্লাটুন পাকিস্তানি সেনা।
-
হত্যার সময়কাল: প্রায় ৪ ঘণ্টা।
-
নিহতের সংখ্যা: আনুমানিক ১২,০০০ নিরীহ মানুষ; প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি।
-
নিহতদের লাশ ভদ্রা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়, যার ফলে সঠিক সংখ্যা নিরূপণ সম্ভব হয়নি।
পটভূমি ও ঘটনা:
-
মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বৃহত্তর খুলনার বিভিন্ন অঞ্চল যেমন বাগেরহাট, রামপাল, মোড়েলগঞ্জ, কচুয়া, শরণখোলা, মংলা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, চালনা, ফরিদপুর, বরিশাল থেকে হাজার হাজার মানুষ ভারতে পালানোর উদ্দেশ্যে রওনা হন।
-
তারা ট্রানজিট হিসেবে বেছে নেন চুকনগরকে।
-
২০ মে সকাল ১০টায় ৩টি ট্রাকে করে পাকিস্তানি সেনারা চুকনগর বাজারের ঝাউতলায় (পাতখোলা) এসে থামে।
-
দুপুর ৩টা পর্যন্ত তারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা চালিয়ে যায়।

0
Updated: 3 weeks ago
১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে আফসার ব্যাটালিয়ন কোথায় গড়ে উঠে?
Created: 2 weeks ago
A
টাঙ্গাইল
B
সিরাজগঞ্জ
C
পাবনা
D
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার নিভৃত পল্লী মল্লিকবাড়ী গ্রামে মেজর আফসার উদ্দিন আহমেদ একটি পার্টি গঠন করেন, যা একমাত্র রাইফেল দিয়ে পরিচালিত হত। তিনি পাকবাহিনী ও দুষ্কৃতিকারীদের সঙ্গে লড়াই করে তার পার্টির সদস্যদের নেতৃত্ব দেন এবং শত্রুদের যথাযথ শিক্ষা প্রদান করেন। আফসার ব্যাটালিয়ন তার পার্টি থেকে আড়াই হাজারেরও অধিক রাইফেল, ব্রেটাগান, রকেট লান্সার, স্টেনগান, এমএমজি ইত্যাদি উদ্ধার করে। এই বাহিনীতে মোট প্রায় সাড়ে চার হাজার মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
-
আফসার ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে রোগাক্রান্ত মুক্তিযোদ্ধা ও বিপর্যস্ত মানুষের চিকিৎসার জন্য ১৩ জন ডাক্তার এবং ৩ জন নার্স নিয়ে একটি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল স্থাপিত হয়।
-
মুক্ত এলাকা পরিচালনা ও সুষ্ঠু শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা হয়, যা শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
আঞ্চলিক পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর এলাকার বাইরে গড়ে ওঠা উল্লেখযোগ্য বাহিনীসমূহ:
-
কাদেরিয়া বাহিনী (টাঙ্গাইল)
-
আফসার ব্যাটালিয়ন (ভালুকা, ময়মনসিংহ)
-
বাতেন বাহিনী (টাঙ্গাইল)
-
হেমায়েত বাহিনী (গোপালগঞ্জ, বরিশাল)
-
হালিম বাহিনী (মানিকগঞ্জ)
-
আকবর বাহিনী (মাগুরা)
-
লতিফ মীর্জা বাহিনী (সিরাজগঞ্জ, পাবনা)
-
জিয়া বাহিনী (সুন্দরবন)
এছাড়া ঢাকা শহরে ‘ক্র্যাক প্লাটুন’ নামে পরিচিত গেরিলা দল শহরের বড় স্থাপনা, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ব্যাংক ও টেলিভিশন ভবনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শত্রুর ক্ষতি সাধন করেছিল।

0
Updated: 2 weeks ago