১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন ‘চরমপত্র’ অনুষ্ঠানটি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে উপস্থাপন করতেন কে?
A
এম আর আখতার মুকুল
B
আবদুল হান্নান
C
আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী
D
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
No subjects available.
উত্তরের বিবরণ
এম. আর. আখতার মুকুল:
-
এম. আর. আখতার মুকুল ছিলেন সাংবাদিক, লেখক, সম্পাদক এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত সাড়া জাগানো অনুষ্ঠান ‘চরমপত্র’-এর কথক।
-
১৯৮৭ সালে দেশে ফিরে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র সম্পাদনার দ্বিতীয় পর্যায়ে কিছুদিন কাজ করেন।
-
পরে ঢাকায় তিনি সাগর পাবলিশার্স নামে একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
-
প্রকাশনা ও উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:
-
পল্লী এক্সপ্রেস (অনুবাদ, ১৯৬০)
-
রূপালী বাতাস সোনালী আকাশ (১৯৭৩)
-
রূপালী বাতাস (১৯৭২)
-
পঞ্চাশ দশকে আমরা ও ভাষা আন্দোলন (১৯৮৫)
সূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ কত নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন?
Created: 4 weeks ago
A
৪নং
B
৮নং
C
৭নং
D
২নং
মুক্তিযুদ্ধ সেক্টর:
- ল্যান্স নায়েকমুন্সী আব্দুর রব- ১নং সেক্টর।
- সিপাহি মোস্তফা কামাল- ২নং সেক্টর।
- স্কোয়াড্রন ইন্জিনিয়ার রুহুল আমিন- ১০নং সেক্টর।
- ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ- ৮নং সেক্টর।
- সিপাহি হামিদুর রহমান- ৪নং সেক্টর।
- ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গির- ৭নং সেক্টর।
- ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান- কোনো সেক্টরে ছিলেন না।

0
Updated: 4 weeks ago
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কে ছিলেন?
Created: 1 week ago
A
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
B
জেনারেল এম. এ. জি ওসমানী
C
কর্নেল শফিউল্লাহ
D
মেজর জিয়াউর রহমান
মুক্তিযুদ্ধ ও নেতৃত্ব
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
-
তিনি অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
তারই নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয় এবং তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি।
তার রাজনৈতিক জীবন সংক্ষেপে:
-
পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্র লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য (১৯৪৮)
-
পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের যুগ্ম সম্পাদক (১৯৪৯)
-
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (১৯৫৩-১৯৬৬)
-
আওয়ামী লীগের সভাপতি (১৯৬৬-১৯৭৪)
-
অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি (২৬ মার্চ ১৯৭১ – ১১ জানুয়ারি ১৯৭২, অনুপস্থিতিতে)
-
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী (১২ জানুয়ারি ১৯৭২ – ২৪ জানুয়ারি ১৯৭৫)
-
রাষ্ট্রপতি (২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ – ১৫ আগস্ট ১৯৭৫)
তার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও ক্যারিশমার কারণেই বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি একদল সেনা কর্মকর্তার হাতে সপরিবারে নিহত হন। কেবল দুই কন্যা—শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা—বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। বর্তমানে তার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
মুক্তিবাহিনীর সামরিক নেতৃত্ব
অন্যদিকে, মুক্তিযুদ্ধে সেনাবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক ছিলেন জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী।
-
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনের সময় তাকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি করা হয়।
-
৭ জুলাই ১৯৭১ সালে নিয়মিত ব্রিগেড গঠনের অংশ হিসেবে ‘জেড ফোর্স’ গঠন করা হয় যার অধিনায়ক ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান।
-
এরপর সেপ্টেম্বর মাসে ‘এস ফোর্স’ গঠিত হয় (অধিনায়ক লে. কর্নেল কে. এম. সফিউল্লাহ)।
-
১৪ অক্টোবর গঠিত হয় ‘কে ফোর্স’।
উৎসঃ জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 week ago
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব কোনটি?
Created: 1 week ago
A
বীরশ্রেষ্ঠ
B
বীরউত্তম
C
বীরবিক্রম
D
বীরপ্রতীক
-
বীরত্বসূচক খেতাব
-
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান ও বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু সরকার মোট ৬৭৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে চার ধরনের বীরত্বসূচক খেতাব প্রদান করেন।
-
খেতাবসমূহের শ্রেণীবিন্যাস:
-
বীরশ্রেষ্ঠ – সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব, ৭ জনকে প্রদান।
-
বীরউত্তম – দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খেতাব, ৬৮ জনকে প্রদান।
-
বীরবিক্রম – তৃতীয় সর্বোচ্চ খেতাব, ১৭৫ জনকে প্রদান।
-
বীরপ্রতীক – চতুর্থ সর্বোচ্চ খেতাব, ৪২৬ জনকে প্রদান।
-
-
সূত্র: বাংলাপিডিয়া ও প্রথম আলো পত্রিকা

0
Updated: 1 week ago