A
কর্নেল ওসমানী
B
জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা
C
লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ কে নিয়াজী
D
মেজর জেনারেল রাও ফরমান
উত্তরের বিবরণ
পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ:
-
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) মিত্রবাহিনীর কাছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ করে।
-
তাদের এই আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধের সফল পরিসমাপ্তি ঘটে।
-
উল্লেখ্য:
-
১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান পূর্বাঞ্চলের কমান্ডার জেনারেল এ কে নিয়াজিকে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জীবন রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
-
১৫ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনাবাহনীর প্রধান জেনারেল স্যাম মানেকশ পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সংবরণ করে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান।
-
১৬ ডিসেম্বর সকাল সোয়া নয়টার সময় মানেকশ ভারতের পূর্বাঞ্চল বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ মেজর জেনারেল জে এফ আর জেকবকে আত্মসমর্পণের দলিল ও আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত করার জন্য ঢাকায় পাঠান।
-
অবশেষে মুক্তিযুদ্ধের জয়ী ও পরাজিত দুই পক্ষের মধ্যে ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণের ঐতিহাসিক দলিল স্বাক্ষরিত হয়।
-
যৌথ বাহিনীর পক্ষে স্বাক্ষর করেন লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা, জিওসি এবং পূর্বাঞ্চলীয় ভারতীয় বাহিনী ও বাংলাদেশ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক।
সূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি ও প্রথম আলো।

0
Updated: 1 week ago
১৯৭১ সালে মুক্তিবাহিনীর "এস ফোর্স" এর দায়িত্বে কে ছিলেন?
Created: 1 week ago
A
কর্নেল জিয়াউর রহমান
B
কর্নেল খালেদ মোশাররফ
C
কর্নেল কে. এম সফিউল্লাহ
D
উপরের কেউ নন
এস ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন লেঃ কর্নেল কে. এম. সফিউল্লাহ।
বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনী:
-
যে জনযুদ্ধ এনেছে বাংলাদেশের পতাকা, সেই জনযুদ্ধের দাবিদার এদেশের সাত কোটি বাঙালি।
-
এই সশস্ত্র যুদ্ধ একটি নির্বাচিত সরকারের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়।
-
পরিকল্পিত এই যুদ্ধ পরিচালনার জন্য ১০ই এপ্রিল ১৯৭১ বাংলাদেশ সরকার সমগ্র বাংলাদেশকে ৪টি যুদ্ধঅঞ্চলে বিভক্ত করেন।
-
এই ৪টি অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়ক ছিলেন:
ক) চট্টগ্রাম অঞ্চল: মেজর জিয়াউর রহমান
খ) কুমিল্লা অঞ্চল: মেজর খালেদ মোশাররফ
গ) সিলেট অঞ্চল: মেজর কে. এম. সফিউল্লাহ
ঘ) দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল: মেজর আবু ওসমান চৌধুরী
উল্লেখ্য:
-
পরবর্তীতে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলকে বিভক্ত করে দায়িত্ব দেওয়া হয়:
-
রাজশাহী অঞ্চলে: মেজর নাজমুল হক
-
দিনাজপুর অঞ্চলে: মেজর নওয়াজেস উদ্দিন
-
খুলনা অঞ্চলে: মেজর এম.এ জলিল
-
-
৭ই জুলাই ১৯৭১, যুদ্ধের কৌশলগত কারণে সরকার নিয়মিত পদাতিক ব্রিগেড গঠনের পরিকল্পনায় ‘জেড ফোর্স’ গঠন করেন; অধিনায়ক: লেঃ কর্নেল জিয়াউর রহমান
-
সেপ্টেম্বর মাসে ‘এস ফোর্স’ গঠন করা হয়; অধিনায়ক: লেঃ কর্নেল কে. এম. সফিউল্লাহ
-
১৪ই অক্টোবর ‘কে ফোর্স’ গঠন করা হয়; অধিনায়ক: লেঃ কর্নেল খালেদ মোশাররফ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শত্রু মুক্ত জেলা কোনটি?
Created: 1 week ago
A
রাঙ্গামাটি
B
কুমিল্লা
C
যশোর
D
ঢাকা
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শত্রু মুক্ত জেলা ছিল যশোর।
মুক্তিযুদ্ধ:
-
অবিভক্ত ভারতের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জেলা যশোর অনেক কিছুর জন্য বিখ্যাত।
-
৭ জন বীরশ্রেষ্ঠর মধ্যে ২ জনই বৃহত্তর যশোর জেলার কৃতি সন্তান।
-
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্তভাবে শেষ হবার কয়েকদিন আগেই স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণপণ লড়াইয়ে যশোরকে দেশের প্রথম শত্রু মুক্ত জেলা হিসেবে গড়ে তোলা হয়।
-
সেই গৌরবময় তারিখটি ছিল ১৯৭১ সালের ৬ই ডিসেম্বর।
-
তাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যশোরই প্রথম শত্রু মুক্ত জেলা।
সূত্র: জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 1 week ago
১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর কতজন মুক্তিযোদ্ধাকে খেতাব প্রদান করা হয়?
Created: 1 week ago
A
৫৭৬ জন
B
৪৭৬ জন
C
৬৭৬ জন
D
৭৭৬ জন
-
বীরত্বসূচক খেতাব
-
বীরত্বসূচক খেতাব বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য সাহসিকতা প্রদর্শন এবং আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের প্রদত্ত খেতাব।
-
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি দেওয়া এবং তাদের মধ্যে আত্মত্যাগের প্রেরণা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে বীরত্বসূচক খেতাব প্রদানের প্রস্তাব মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম.এ.জি. ওসমানী মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিপরিষদে মে মাসের প্রথম দিকে উপস্থাপন করেন।
-
১৬ মে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এই প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়।
-
প্রস্তাবে চার পর্যায়ের খেতাব প্রদানের বিধান ছিল:
১. সর্বোচ্চ পদ
২. উচ্চ পদ
৩. প্রশংসনীয় পদ
৪. বীরত্বসূচক প্রশংসাপত্র
-
-
১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর প্রদত্ত খেতাবসমূহ
-
বীরশ্রেষ্ঠ: ৭ জন
-
বীর উত্তম: ৬৮ জন
-
বীর বিক্রম: ১৭৫ জন
-
বীর প্রতীক: ৪২৬ জন
-
সূত্র: বাংলাপিডিয়া এবং প্রথম আলো রিপোর্ট

0
Updated: 1 week ago